পৌরসভা দখলে রণকৌশল ঠিক করে ফেললো বিজেপি, জেনে নিন বিস্তারিত! উত্তরবঙ্গ কলকাতা রাজ্য January 21, 2020 একসময় উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলা তৃণমূলের শক্তঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই সেই জেলায় তৃণমূল তাদের শক্তি হারাতে শুরু করে। প্রথমে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি দখল করার পরেই সেই জেলায় বিজেপির দাপট বাড়তে শুরু করে। আর এবার পৌরসভা নির্বাচনের আগে কোচবিহার পৌরসভা দখল করায় বিজেপির কাছে প্রধান টার্গেট হয়ে দাঁড়িয়েছে। বস্তুত, ইতিমধ্যেই পৌরসভা নির্বাচনের আসন সংরক্ষণের খসড়া তালিকা প্রকাশ হয়ে গিয়েছে। আর এবার কাকে কোন ওয়ার্ডে প্রার্থী করে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া যায়! তার জন্য রণকৌশল শুরু করে দিয়েছে পদ্ম শিবির। বিজেপির একাংশের দাবি, গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার পৌরসভার 20 টি ওয়ার্ডেই লিড পেয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এই লিড পৌরসভা নির্বাচনে যাতে থাকে এবং কোচবিহার পৌরসভা যাতে দখল করা যায় তার জন্য এখন থেকেই পরিশ্রম করতে শুরু করেছে দল। অন্যদিকে সাংগঠনিক দিক থেকে দলের নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করা এবং ভালো ব্যাক্তিদের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিয়ে আসতে উদ্যোগী হয়েছে গেরুয়া শিবির। শুধু তাই নয়, এতদিন তৃণমূল পরিচালিত এই কোচবিহার পৌরসভায় বেহাল দিকগুলো তুলে ধরে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আগামী 21 শে জানুয়ারি রাজ্যে আসছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আর তাই দীলিপবাবুর আগমনের আগে এদিন সেই ব্যাপারে প্রস্তুতিপর্ব নিয়ে একটি বৈঠক করেন কোচবিহার জেলা বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায়। যেখানে জেলা বিজেপির সভানেত্রী বলেন, “গত লোকসভা ভোটে আমরা কোচবিহার পৌরসভার সব ওয়ার্ডেই লিড পেয়েছিলাম। এবার আমাদের মূল লক্ষ্য কোচবিহার পৌরসভা দখল। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলীয় নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। 21 তারিখ রাজ্য সভাপতি আসবেন। সেই সভার প্রস্তুতি নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।” বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলছেন, ইতিমধ্যেই ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা প্রকাশিত হয়ে যাওয়ায় অনেক ওয়ার্ডে তৃণমূলের অনেক কাউন্সিলররা দাঁড়াতে পারবেন না। যার ফলে তৃণমূল কিছুটা হলেও চিন্তায় রয়েছে। কিন্তু এতে কোনো চিন্তা নেই ভারতীয় জনতা পার্টির। আর তাইতো ওয়ার্ড সংরক্ষণের তালিকা দেখে নিয়ে এখন তারা নিজেদের মত করে কাকে প্রার্থী করলে ভালো হয়! তার ব্যাপারে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। সব মিলিয়ে এবার কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র দখলের পর তৃণমূলকে চাপে রেখে এখন থেকেই কোচবিহার পৌরসভা দখলে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। তবে শেষ পর্যন্ত বিজেপির সেই লক্ষ্য সার্থক হয় কিনা! সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -