এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > দিদির অনুপ্রেরণায় নবনির্বাচিত কমিটির রিপোর্ট কি হবে? আগাম “ফাঁস” করে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়!

দিদির অনুপ্রেরণায় নবনির্বাচিত কমিটির রিপোর্ট কি হবে? আগাম “ফাঁস” করে দিলেন বাবুল সুপ্রিয়!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মাঝেমধ্যেই সরব হন যে, রাজ্য সরকারের সমস্ত সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতিক্রমেই হয়। বিরোধীদের আরও অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি অন্যায্য কোনো কথাও বলেন, তাহলে সেটাকেও মেনে নিতে হয় সরকারকে। অর্থাৎ তার কথা ছাড়া সরকারের একটি সিদ্ধান্তও পাশ হয় না। আর বিরোধীদের এহেন বক্তব্য নিয়ে নানা মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। বিভিন্ন সময় সরকারের পক্ষ থেকে বিরোধীদের এই বক্তব্যকে খন্ডন করা হয়েছে।

কিন্তু এবার জাতীয় শিক্ষা নীতির বিরোধিতা করে কমিটিকে কি রিপোর্ট দিতে হবে, তা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলে দিয়েছিলেন বলে সরব হলেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।স্বাভাবিকভাবেই বাবুলবাবুর এহেন বিস্ফোরক মন্তব্য এখন তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। সূত্রের খবর, সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে রাজ্য সরকার ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই বিষয়ে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বলেন, “আগে বিরোধিতা করব, তারপর কমিটি বিরোধিতার কারণ ঠিক করা হবে, এটা ঠিক নয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যারা কমিটির সদস্য হয়েছেন তাদের প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, তাদের কি লিখতে হবে এবং তাদের কমিটির রিপোর্ট কি হবে, এটা অনেক আগেই মাননীয়া ওদের লিখে দিয়ে নির্দেশ দিয়ে দিয়েছেন।ওনার অনুপ্রেরণায় কি কি লিখতে হবে, তখনই বলে দিয়েছেন। এই যে হাস্যকর পরিস্থিতি পশ্চিমবঙ্গে চলছে, এটার কারণ হতে পারে বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি।” বস্তুত রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষাবিদদের নিয়ে গঠিত একটি কমিটি আগামী 15 ই আগস্টের মধ্যে রাজ্য সরকারের কাছে তাদের রিপোর্ট জমা দেবে স্বাভাবিকভাবেই এদিনেই রিপোর্ট সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যা বলে দিয়েছেন তাই লেখা হয়েছে বলে দাবি করলেন বিজেপি বাবুল সুপ্রিয়।

এদিন তিনি বলেন, “বিরোধিতা করা হবে এই সিদ্ধান্ত আগেই নেওয়া হয়েছে। জাতীয় শিক্ষা নীতির মধ্যে কি কি ভুল আছে! কেন জাতীয় শিক্ষানীতির পশ্চিমবঙ্গ সরকার বিরোধিতা করছে? এটা কি মজা হচ্ছে!এই ঘোষণাগুলো যখন শিক্ষামন্ত্রী ঘোষণা করেন, তখন বোঝেন না যে, আসলে তিনি কতটা হাসির খোরাকে পরিণত হচ্ছেন। তৃণমূল সবেতেই বিরোধীতা করে। পশ্চিমবঙ্গের বড় কথা, ওরা পশ্চিমবঙ্গের জনগণের বিরোধিতা করেন।”

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবুল সুপ্রিয় এই কথা বলে বুঝিয়ে দিলেন যে, রাজ্য সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে বিরোধিতা করবে এবং তার রিপোর্ট এখন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কমিটিকে তৈরি করার কথা বলেছেন। তবে বাবুল সুপ্রিয়র এই কথা যদি সত্যি হয়, যদি সত্যি সত্যিই বাস্তবে জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধিতা করে রাজ্য, তাহলে কিছুটা হলেও অস্বস্তিতে পড়তে হতে পারে রাজ্য সরকারকে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, বাবুল সুপ্রিয়র এই বক্তব্য বাস্তবের সঙ্গে কতটা মেলে এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য সরকার কতটা অস্বস্তিতে পড়ে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!