এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > সারদা-নারদা তদন্ত ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় কি তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া নেতারা? বাড়ছে জল্পনা

সারদা-নারদা তদন্ত ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় কি তীব্র অস্বস্তিতে গেরুয়া নেতারা? বাড়ছে জল্পনা

সম্প্রতি সিবিআই কর্তাদের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে আসায় দোষের বোঝা গিয়ে পড়েছে বিজেপির উপর। অলোক ভার্মা রাকেশ আস্থানা দের মতো জাদরেল তদন্তকারী অফিসাররা যেভাবে পরস্পরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তুলে কাদা ছোঁড়াছুড়িতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন তাতে রীতিমতো অস্বস্তিতে গেরুয়াশিবির কর্তারা। যাঁরা এ রাজ্যের সারদা-নারদা-রোজভ্যালির মতো চিটফান্ড কান্ডের তদন্তের ভার নিয়েছিলেন তাঁরাই এখন হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্টের দোরে দোরে ঘোরাঘুরি করছেন ব্যক্তিগত কারণে। এমতাবস্থায় কী হবে চিটফান্ড কান্ডের ভবিষ্যৎ? তা নিয়ে স্বাভাবিক প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়েছে বিজেপি নেতৃত্বের।

চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে সিবিআইরা প্রকাশ্যে এনেছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল হেভিওয়েটদের নাম। এই আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে যাদের মধ্যে ইতিমধ্যেই হাজতবাস করেছেন বিধায়ক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়,তাপস পাল সহ একাধিক তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা। রাজ্য বিজেপির আশা ছিল, সিবিআই-দের মাধ্যমে ১৯’ এর লোকসভা ভোটের আগেই আরো বেশ কিছু শাসকদলের কেষ্ট-বিষ্টুদের জেলের ঘানি টানাবেন। এর জেরে তৃণমূলের ভাবমূর্তি নষ্ট করে ভোটের আগেই বাজিমাত করার পরিকল্পনা ছিল দিলীপ ঘোষ-মুকুল রায়েদের। কিন্তু সিবিআয়ের গৃহযুদ্ধ সামনে আসায় বঙ্গ বিজেপি সে আশা আদেও পূরণ হবে কিনা তা আপাতত আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বাহিনীকে আভ্যন্তরীন কলহেই কি চিটফান্ড কান্ড বিশ বাও জলে? এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিকমহলে।

তবে রাজ্য বিজেপি সভাপতি অন্য যুক্তি সামনে রাখলেন। সিবিআই কর্তাদের পারস্পারিক দ্বন্দ্বের দায় বিজেপির ঘাড়ে নিতে নারাজ তিনি। দাবীতে জানালেন,ইউপিএ আমল থেকেই সিবিআই কার্যত ঘুঘুর বাসার পরিনত হয়েছিল। তাঁদের হাল ফিরেছে নরেন্দ্র মোদীর সুশাসনে। তাঁর যুক্তিকে আরো শক্তিশালী করতে তুলে ধরলেন অলোক ভার্মাকে বর্তমান সিবিআই প্রধানের পদ থেকে প্রধানমন্ত্রীর বহিষ্কারের প্রসঙ্গটি। আর প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টও। অর্থাৎ নরেন্দ্র মোদী যে নিজের দায়িত্ব কতোটা ঠিকভাবে পালন করছেন সেটাই যুক্তিসহকারে সামনে রাখলেন তিনি। তাঁর মতে সিবিআই দের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী গোয়েন্দাবিভাগের শীর্ষকর্তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ মোটেই কাম্য নয়।

পাশাপাশি এটাও জানালেন,বিজেপি কখনোই নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে সিবিআইকে ব্যবহার করে না। আর সিবিআই-দের এই অন্তর্দ্বন্দ্বের প্রভাব চিটফান্ড কান্ড কখনোই পড়বে না এটাও সাফ কথায় জানিয়ে দিলেন তিনি। তদন্ত চলছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) তত্ত্বাবধানে,ফলত চিন্তার কোনো কারণই নেই৷ সঠিক সময়ে দুধ কা দুধ, পানি কা পানি হয়ে যাবে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

আর সিবিআই -দের ভূমিকা নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান,অভিযোগ উঠেছে এই সংস্থার দুজন অফিসারের উপর। সেক্ষেত্রে সিবিআই-দের সমস্ত কর্মকর্তাদের অভি্যোগের কাঠগড়ায় তোলার কোনো মানেই হয় না। দিলীপ বাবু আরো জানান,চিটফান্ড তদন্তের সূত্র ধরে অভিযোগের তালিকায় শাসকদলের হেভিওয়েটদের নাম অতীতেও এসেছে,আগামীতে আসবে বলে তাঁর বিশ্বাস। আইনি পথে হেঁটেই প্রতারকদের শাস্তি দেওয়া হবে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন তিনি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!