এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে এবার অ্যাক্টিভিটি টাস্কের ওপর জোর

পড়ুয়াদের ভবিষ্যত নির্ধারণ করতে এবার অ্যাক্টিভিটি টাস্কের ওপর জোর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – করোনা পরিস্থিতি আসার পর থেকেই সারাদেশে শিক্ষাব্যবস্থায় বদল এসে গেছে। বাদ যায়নি এ রাজ্যও। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা এ বছরেও বাতিল করতে হয়েছে। আগামী বছরে কি পরিস্থিতি আসবে, তা এখনই বলা যাচ্ছেনা। সেক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের অন্য ক্লাসে তোলার সময় সমস্যা হচ্ছে নাম্বার নিয়ে। আর তাই এবার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে অ্যাক্টিভিটি টাস্কের। এতদিন পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাক্টিভিটি টাস্ক দেওয়া হলেও তা নিয়ে বিশেষ মাথা ঘামাতেন না শিক্ষক-শিক্ষিকারা। কিন্তু মূল্যায়ন যে কতটা জরুরি তা এই পরিস্থিতিতে ভালই টের পাচ্ছেন তাঁরা। তাই এবার থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের অ্যাক্টিভিটি টাস্কের মূল্যায়ন করা হবে বলে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে স্কুলশিক্ষা দপ্তর থেকে।

তবে সেক্ষেত্রে নাম্বার নয়, গ্রেডেশন দিয়ে মূল্যায়ন হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, মিড ডে মিল নেওয়ার সময় স্কুলের অভিভাবকেরা ক্লাস টিচারের কাছ থেকে এই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক সংগ্রহ করে নিয়ে যাচ্ছেন নির্দেশানুযায়ী। আবার পরে তাঁরাই এসে স্কুলে জমা দিয়ে যাচ্ছেন টাস্ক। কিন্তু নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা যেহেতু মিড-ডে-মিল পায়না, তাই তাদের জন্য অন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে। একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করা হয়েছে, যে সময় নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের গার্জিয়ানরা আসছেন এবং অ্যাক্টিভিটি টাস্ক নিয়ে যাচ্ছেন। জমাও হচ্ছে একই পদ্ধতিতে। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ক্ষেত্রে এই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে তা ভালোমতন বোঝা যাচ্ছে বর্তমান পরিস্থিতিতে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত আভ্যন্তরীণ মূল্যায়নের মাধ্যমে যেহেতু ফল ঘোষণার পরিকল্পনা হয়, তখনই প্রশ্ন ওঠে মূল্যায়ন হবে কিসের ভিত্তিতে? কারণ গত বছরেও দশম এবং দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের কোন মূল্যায়ন হয়নি। এবং তখনই স্পষ্ট হয় অ্যাক্টিভিটি টাস্কের প্রয়োজনীয়তা। তবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, অ্যাক্টিভিটি টাস্কের পাশে কোন নাম্বার দেওয়া না থাকায় কিভাবে মূল্যায়ন হবে তা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাঁদের আবেদন শিক্ষা দপ্তরের একটি নির্দিষ্ট নির্দেশিকা থাকলে কাজ করতে আরও সুবিধা হবে।

পাশাপাশি পড়ুয়াদের ক্ষেত্রেও বুঝতে সুবিধা হবে, কোন বিষয়ে তাঁদের দখল রয়েছে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যাচ্ছে, করোনা থাকুক কিংবা যাক তাই নিয়ে আর মাথা ঘামাতে রাজি নয় শিক্ষা মহল। সেক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যত এখন সবথেকে বড় চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আপাতত গ্রেডেশন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন হিসেবে কতটা সহায়ক হয়ে উঠতে পারে এই অ্যাক্টিভিটি টাস্ক মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলের ক্ষেত্রে, সেদিকে কড়া নজর রাখছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!