এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাজ্য দখল করতে এবার পুরনো সভাপতিদের ওপরেই ভরসা বিজেপির!সিদ্ধান্তের নৈপথ্যে কে?

রাজ্য দখল করতে এবার পুরনো সভাপতিদের ওপরেই ভরসা বিজেপির!সিদ্ধান্তের নৈপথ্যে কে?


এবার বিজেপিতে হলো বড়সড় রদবদল। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদ থেকে অমিত শাহ সরে যাচ্ছেন। তাঁর বদলে ওই জায়গায় আসছেন বর্তমান বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডা ওরফে জে পি নাড্ডা। সূত্রের খবর, সর্বভারতীয় সভাপতি পদের নির্বাচনে একমাত্র জে পি নাড্ডা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাই বোঝাই যাচ্ছে, একেবারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জে পি নাড্ডা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে আসীন হতে চলেছেন। অন্যদিকে, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বদল হলেও বেশ কিছু রাজ্যে বিজেপি পুরনো রাজ্য সভাপতিদের উপরেই ভরসা রাখতে চলেছে।

সম্প্রতি, পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় বারের জন্যও রাজ্য সভাপতির পদ অলংকৃত করেছেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষকে নিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় বিতর্ক ছড়ালেও তার ওপরই আস্থা রেখেছে দেশের বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। বিজেপির এই নীতিতে দলের অভ্যন্তরে কোন প্রশ্নই ওঠেনি। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের ওপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজর টিকে রয়েছে বাংলার মসনদ দখল করার উদ্দেশ্যে। আর সেই তত্ত্বে জোর দিয়ে আক্রমণাত্মক দিলীপ ঘোষের উপরেই দ্বিতীয় বার বাংলার কার্যভার নিহিত হয়েছে।

সারা দেশের মধ্যে খুব কম সংখ্যক রাজ্যেই দলীয় সভাপতির ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেসব রাজ্যে দলীয় সভাপতি পরিবর্তন হয়েছে, সেই রাজ্যগুলি হল নাগাল্যান্ড, হিমাচল প্রদেশ, ওড়িশা প্রমুখ। অন্যদিকে, অন্যান্য রাজ্যগুলিতে পুরনো দলীয় সভাপতির ওপর পূর্ণ ভরসা রেখে আগামী দিনের নেতৃত্বের পদে তাঁদের রাখা হয়েছে। যার সব থেকে বড় উদাহরণ হল সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের দলীয় সভাপতি পদে দ্বিতীয়বার বসেছেন দিলীপ ঘোষ। একইভাবে জম্মু-কাশ্মীর, অসমে এবং উত্তরপ্রদেশে রাজ্য সভাপতি পদে পুরনো দলীয় সভাপতি যাঁরা ছিলেন তাঁরাই আবার এসেছেন। যেমন-রবিন্দর রায়না, রঞ্জিত কুমার দাস এবং স্বতন্ত্রদেব সিং দ্বিতীয়বার রাজ্য সভাপতি পদে আসীন হয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের পর সারাদেশের উপনির্বাচন এবং বিধানসভা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার পর ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। যার সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হল, মধ্যপ্রদেশ, ছত্রিশগড় এবং ঝাড়খন্ড। অন্যদিকে, মহারাষ্ট্রে অন্যরকম ধাক্কা খায় বিজেপি তাঁর জোট শরিকের কাছে। আর তার পরেই বিজেপি এই ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। সূত্রের খবর, বিজেপি তাঁর সঙ্গী আরএসএসের পরামর্শকে পাথেয় করে এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। কারণ, আরএসএস আগেই বিজেপিকে সতর্ক করেছিল আঞ্চলিক শক্তির উত্থান এর ব্যাপারে।

প্রসঙ্গত, বিজেপি দলীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী একজন সভাপতি যদি দলীয় নেতৃত্বে নতুন আসেন, তাহলে তাঁর মানিয়ে নিতে এবং তাঁকেও দলের মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় যাবে। তাই সময়ের অপব্যবহার রুখতে এবং দলীয় পরিবেশকে সঠিকভাবে বজায় রাখতে বর্তমান সভাপতিকেই ভরসা করা হচ্ছে। আর তাতে কোনরকম অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে না। বরং সামনের দিনে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরো বেশি সময় দিতে পারবেন পুরনো সভাপতিরা। অন্যদিকে জানা গেছে, রাজ্য সভাপতি নির্বাচনে আরএসএস এর পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। যেমন- পাঞ্জাবের দলীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অশ্বিন শর্মা আর তাঁকে আরএসএস থেকে পূর্ণ সমর্থন দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি আরএসএসের সক্রিয় সদস্য।

এ প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মুহূর্তে বিজেপির লক্ষ্য সর্বভারত অধিগ্রহণ। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি রাজ্য বিজেপির হাতছাড়া হয়েছে। তাই সামনে যে নির্বাচনগুলি রয়েছে সেগুলিকে মাথায় রেখেই দলীয় সভাপতি নিযুক্ত হয়েছেন প্রথম বারের সভাপতিরাই। অন্যদিকে, রাজনৈতিক মহলের একাংশের মন্তব্য পশ্চিমবঙ্গকে নিয়ে। রাজ্য বিজেপির দিলীপ ঘোষ প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক স্বভাবের এবং দিলীপ ঘোষের হাত ধরেই পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি রাজনৈতিক মঞ্চের একদম সামনের সারিতে চলে আসে। তাই তাঁর আক্রমণাত্মক মনোভাবের ওপর ভরসা রেখেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আগামীদিনের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হবার ব্যাপারে।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!