এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ‘কেক ওয়াক’ নয়, তিন আসন নিয়ে বড়সড় দাবি কংগ্রেসের ‘রবিনহুডের’, নাহলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস?

মুর্শিদাবাদে তৃণমূলকে ‘কেক ওয়াক’ নয়, তিন আসন নিয়ে বড়সড় দাবি কংগ্রেসের ‘রবিনহুডের’, নাহলে রাজনীতি থেকে সন্ন্যাস?


এককালে কংগ্রেস গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদ জেলায় এখন ধীরে ধীরে ফুটতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবিরের দাপট। জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ভেঙে পড়েছে কংগ্রেসের অধীর চৌধুরীর গড় বলে দাবি শাসকদলের। কিন্তু নিজের গড় হাতছাড়া হয়েছে একথা এখনো মানতে রাজি নন রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী।

আর তাই আগামী লোকসভায় এই মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি লোকসভা কেন্দ্রই নিজের দখলে রাখার চ্যালেঞ্জ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের উদ্দেশ্যে ছুঁড়ে দিলেন তিনি। সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে রানীনগরের একটি জনসভায় শাসক দলের উদ্দেশ্যে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বহরমপুরের হেভিওয়েট সাংসদ অধীর চৌধুরী দাবি করেন – আসন্ন লোকসভা ভোটে মুর্শিদাবাদ জেলার তিনটি কেন্দ্রেই কংগ্রেস জয়লাভ করবে।

আর এরপরেই কার্যত তিনি রাজ্য-রাজনীতিকে চমকে দিয়ে বলেন, আর যদি তা না হয় তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। রাজনৈতিক মহলের মতে, তৃনমূল কংগ্রেসের শুভেন্দু অধিকারীরই পাল্টা জবাব দিলেন এদিন কংগ্রেসের অধীর চৌধুরী। কেননা দায়িত্ব নিয়েই শুভেন্দু অধিকারী এই মুর্শিদাবাদ জেলায় বিরোধীদের উদ্দেশ্য হুংকার ছেড়ে বলেছিলেন – এই জেলায় তৃনমূল ছাড়া অন্য কোনো দল থাকবে না।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার সালারে ও শুক্রবার রানীনগর ব্লকে কংগ্রেসের সভা করার কথা থাকলেও পুলিশ ও প্রশাসন সেই ব্যাপারে কোনরূপ অনুমতি দেয়নি বলে অভিযোগ। পরবর্তীকালে ৯ ই ডিসেম্বর ডোমকলে সভার জন্য প্রানীসম্পদ বিকাশের হল ভাড়া নেওয়া হলেও তা পরে বাতিল করা হয়। এদিন সেই প্রসঙ্গেও শাসকদল ও পুলিশ প্রশাসনকে একযোগে কটাক্ষ করতে ছাড়েন না রাজ্য প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী।

এদিন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “মুর্শিদাবাদ জেলায় কংগ্রেস নেই বলে প্রচার করা হচ্ছে। কিন্তু জেলায় যে কংগ্রেস আছে তা তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতাও জানেন। আমাদের সভার জন্য কোনোরূপ অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। গ্রামেগঞ্জে তান্ডব চালাচ্ছে শাসকদল। তাই, পুলিশ এবং তৃনমূলের এই সন্ত্রাস বন্ধ না হলে আগামী দিনে পুলিশের সামনে অবস্থান ও অনশন আন্দোলনে বসব”। সব মিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে নিজের ভেঙে পড়া গড় মুর্শিদাবাদের হাতকে শক্ত করতে উদ্যোগী কংগ্রেসের অধীররঞ্জন চৌধুরী।

প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের ঝড় বইলেও – মুর্শিদাবাদ জেলায় সেভাবে দাঁত ফোটাতে পারে নি শাসকদল। আর, তারপরেই তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এই জেলার দায়িত্ত্ব দেন বিশ্বস্ত সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারীকে। আর, দায়িত্ত্ব পেয়েই শুভেন্দুবাবু এই জেলায় কংগ্রেসকে ‘সাইনবোর্ড’ করে দেওয়ার কথা বলেন প্রকাশ্যেই। এমনকি সেই উদ্দেশ্যে তিনি একের পর এক কংগ্রেস ও বাম বিধায়ককে শাসকদলে শামিল করেন।

বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও দেখা গেছে – এক সময় যে জেলাকে গড় বলে ধরা হত, সেখানে সেইভাবে প্রার্থীই দিতে পারেনি কংগ্রেস। ফলে, জেলা পরিষদ প্রায় হাসতে হাসতে কংগ্রেসের থেকে দখল নিয়েছে শাসকদল। আগেই গিয়েছিল জেলার পুরাসভাগুলিও। আর এবার কিছুদিন আগেই স্বয়ং শুভেন্দুবাবু লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাবাদের কোনো একটি আসনে প্রার্থী হওয়ার জল্পনা নিজেই বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর তারপরেই অধীরবাবুর এই রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ – ফলে সবমিলিয়ে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুর্শিদাবাদে তীব্র রাজনৈতিক লড়াইয়ের সম্ভাবনাই দেখছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!