2007 এর 25 আগষ্টে হায়দারাবাদের গোকুল চাট ও লুম্বিনি পার্কে একই সময় জোড়া বিস্ফোরনে রক্ত আর আর্তনাদে কেপে উঠেছিল গোটা শহর। আর সেই সময়েই সেই গোকুল চাট এলাকার পাশ দিয়ে হিন্দু দম্পতি পাপালাল ও তাঁর স্ত্রী যাচ্ছিল। জানা যায়,সেই সময়ই বিস্ফোরোনে আহত বছর দুয়েকের এক শিশুকন্যাকে কাদতে দেখে তারা সেই বাচ্চাটিকে কোলে তুলে নিলে অনেকদিন অপেক্ষার পর সেই বাচ্চার কোনো অভিভাবক না থাকায় সেই হিন্দু দম্পতি এই বাচ্চাটিকে দত্তক নেয়। সূত্রের খবর, এই শিশুর বাবা- মা ছিলেন মুসলিম। তাই এরপর থেকেই অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, একজন হিন্দু ঘরে কেন মানুষ হবেন মুসলিম কন্যা?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

আর সেই প্রশ্ন ধীরে ধীরে হুমকি থেকে হামলার দিকে পৌছোয়। জানা যায়,  মুসলিম মেয়েকে দত্তক নেওয়ার অপরাধে গত 1জুন সেই হিন্দু পিতা পাপালাল রবিকান্তকে 16 বার ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়। বর্তমানে হায়দারাবাদের ওসামানিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ব্যাক্তি শারিরীক অবস্থা সম্পর্কে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, বর্তমানে বিপদ কেটে গিয়েছে। তবে মানবতার ধর্মে বিশ্বিসী পাপালাল যে দুস্কৃতিদের এই চরম আঘাত সত্তেও নিজের দত্তক নেওয়া মেয়েকে ছাড়তে রাজি নন তা কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, দত্তক নেওয়ার পর এই শিশুকন্যার নাম রাখা হয় সোনিয়া। আর নিজের স্বামী এবং পরিবারকে এহেন হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সোনিয়ার পালিতা মা জয়শ্রীদেবী বলেন, “ধর্মের কারনে ওই নিষ্পাপ শিশুটির ওপরও অত্যাচার করা হচ্ছে। একই রক্ত সকলের শরীরে। আমাদের যদি কোনো সমস্যা না থাকে তবে সমাজ এ ব্যাপারে প্রশ্ন তোলার কে?  এখানেই অনেকেই মনে করছেন, ভারতবর্ষ তো সর্বধর্ম সমন্বয়ের দেশ। তাই সে দেশে বিশ্বাসের অপর নাম “মুসলমান” এর শিশুকন্যাকে যদি ভালোবাসার অপর নাম “হিন্দু” নিজের ভেবে প্রতিপালন করে তাহলে তো সমাজেরই উন্নতি হবে। সেখানে এই কট্টোর মৌলবি ও পুরোহিতদের দ্বন্দ্বের প্রয়োজনটা কি?