এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > রাহুলের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃনমূলে যোগদান ছেড়েই কি দিল্লীতে দুই বিধায়ক? জল্পনা তুঙ্গে

রাহুলের ডাকে সাড়া দিয়ে তৃনমূলে যোগদান ছেড়েই কি দিল্লীতে দুই বিধায়ক? জল্পনা তুঙ্গে

“বিধায়ক তুমি কার?”- এ নিয়ে যেন দড়ি-টানাটানি চলছে রাজ্যে তৃনমূল ও কংগ্রেসের মধ্যে। অবশ্য চলাটাই তো স্বাভাবিক। কারন কদিন আগেই মুর্শিদাবাদ জেলার তিন কংগ্রেস বিধায়ক তৃনমূলে যোগদান করবেন বলে খবর ছিল। জানা যায়, কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান, মইনুল হক ও আখরারুজ্জামান এ নিয়ে জেলা তৃনমূলের পর্যবেক্ষক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর সাথে বৈঠকও করেছেন। আর এই তিন জনের মধ্যে দুই জন অর্থ্যাৎ মইনুল হক ও আখরুজ্জামান দিল্লীতে কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতির ডাকা বৈঠকে যোগ দিতে আজ সকালের উড়ানেই রাজধানীর উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, মইনুল হক কংগ্রেসের এআইসিসির পদাধিকারী। দিন কয়েক আগেই তিনি মালদার কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরীকে নিয়ে তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন।

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে মুর্শিদাবাদের আরেক কংগ্রেস বিধায়ক আবু তাহের খান তাঁর গতিবিধি কাউকে না জানালেও পাকাপাকিভাবে মুর্শিদাবাদের অধীর গড়ের এই তিন কংগ্রেস বিধায়কের তৃনমূলে যাওয়ার খবর প্রায় নিশ্চিত ছিল। এখন এই তিনের মধ্যে আবু তাহের খান বাদে মইনুল হক ও আখরুজ্জামান দিল্লীর সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধীর ডাকা বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়ে নতুন সমীকরনের ইঙ্গিত পাচ্ছে রাজনৈতিক মহল। অনেকে মনে করছেন, দলত্যাগ নিয়ে নিজেরাই দোলাচলে রয়েছেন। তাই এই বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন। তবে একাংশের ধারনা, কোনো দোলাচল নয়। রাজ্যের তৃনমূল কংগ্রেস সম্পর্কে রাহুল গান্ধীর মনোভাব বুঝতেই এই বিধায়করা কংগ্রেস হাইকমান্ডের ডাকা এই বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন। আর তাই সবমিলিয়ে এই তিন কংগ্রেস বিধায়কের পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছে তীব্র কৌতূহল – কেননা রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পর যদি এই তিন বিধায়ক কংগ্রেসে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তাহলে তা রাজ্যের শাসকদলের বিরোধীশূন্য বাংলা গড়ার যে আত্মবিশ্বাস সেখানে বড়সড় ধাক্কা খেতে বাধ্য। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকের পরেও যদি এই নেতারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে নাম লেখান তাহলে রাজ্যের বাকি জনপ্রতিনিধিদের ধরে রাখা কংগ্রেসের কাছ কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে, যা তাদের রক্তচাপ বাড়িয়ে অস্তিত্ত্বের সঙ্কট তৈরী করতে বাধ্য।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!