এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নামেই “শহীদ দিবস”, পরোক্ষে কি অভিষেকের বোধন? গুঞ্জন তৃণমূলে!

নামেই “শহীদ দিবস”, পরোক্ষে কি অভিষেকের বোধন? গুঞ্জন তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  যেদিন প্রথম তাকে তৃণমূলের যুব সভাপতি করা হয়েছিল, সেদিন থেকেই তৃণমূল সহ বাংলার প্রতিটি রাজনৈতিক দল ভেবে নিয়েছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরবর্তীতে দলের ব্যাটন যেতে চলেছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই। পরবর্তীতে যতদিন যেতে শুরু করে, ততই দলীয় সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা অর্জন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তো বটেই, এমনকি সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তৃণমূল প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে বলেও অনেক হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা দল ছেড়ে যোগদান করেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে।

তবে এই সমস্ত কিছুতে কান না দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই যে আগামী দিনে দল চলবে, তা সদ্যসমাপ্ত 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের পরে আরও বেশি করে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করে কার্যত অঘোষিত সেকেন্ড-ইন-কমান্ড করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই পরিস্থিতিতে শহীদ দিবসে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে আরও বেশি করে গুরুত্ব পেতে দেখা গেল সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যার জেরে একাংশ বলছেন, শহীদ দিবসের মঞ্চ আসলে শহীদদের সম্মান জানানো নয়।

বরঞ্চ তৃণমূলের রাজনীতিতে কে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠতে পারবেন, এটা আসলে তার পরিকল্পনা। আর সেই কারণেই নেত্রীর বক্তব্যের পরে সভা শেষ হয়ে গেলেও, এবার কার্যত সেই রীতিকে ভেঙে সবশেষে বক্তব্য রাখতে দেখা গেল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। যাকে আগামী দিনে তৃণমূলের সংগঠনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধান মুখ হয়ে নিজের আধিপত্য বিস্তারের কৌশলের ক্ষেত্রেই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তার ট্রেলার তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য আগাগোড়া বিজেপি বিরোধিতার ছাপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। আর তৃণমূল নেত্রী বক্তব্য শেষ করার পরেই সভা শেষ করার কথা বলতে ওঠেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু উপসংহার করার দায়িত্বে থাকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে বেশকিছু রাজনৈতিক বক্তব্যও দিতে দেখা যায়। যেখানে বড়দের আশীর্বাদ প্রার্থনা করার পাশাপাশি আগামী দিনে একসাথে চলার বার্তা দেন তিনি। শুধু তাই নয়, কোনো ভয়ের কাছে যে তারা মাথানত করবেন না, সেই ব্যাপারেও বক্তব্য রাখতে দেখা যায় তৃণমূলের এই তরুণ তুর্কিকে।

যার জেরে একাংশ বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসলে এই শহীদ দিবসের মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেশের অন্যান্য বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীদের কাছে গ্রহণযোগ্য করে তোলার চেষ্টা করলেন। তিনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে এই শহীদ সমাবেশের মঞ্চ থেকেই দলের দায়িত্ব অর্পণ করে দিলেন বুঝিয়ে দিলেন, আগামী দিনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল এগিয়ে যাবে।

অনেকে বলছেন, এমনটা যে হবে, তা অনেক আগেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। দলের পরবর্তী রাশ যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতেই থাকবে, তা প্রথম তাকে যুব সভাপতি করার দিনেই বুঝে গিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। ধীরে ধীরে তার রাজনৈতিক উত্থান এবং 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে তাকে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক করে দেওয়া, সেই প্রবণতাকে আরও স্পষ্ট করতে শুরু করে। আর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা সুকৌশলে আরও বাড়িয়ে দিয়ে আগামী দিনে গোটা দেশে বিস্তার লাভ করতে যে দলের প্রধান মুখ হবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তা স্পষ্ট হয়ে গেল।

তবে তৃণমূলের বড় বাৎসরিক কর্মসূচি থেকে একুশে জুলাইয়ের শহীদ দিবস অপেক্ষা সবথেকে বেশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা কত বাড়ানো যাবে এবং আগামী দিনে তাকে কিভাবে নেতৃত্বে জায়গায় এনে দলকে প্রতিষ্ঠা করা যাবে, সেই চেষ্টাই বেশি করলেন তৃণমূল নেত্রী বলে কটাক্ষ করছেন একাংশ। যার জেরে শহীদ পরিবারগুলোর তৃণমূল নেত্রীর কাছে গৌণ হয়ে ভাইপো এবং পরিবারতন্ত্র বেশি প্রাধান্য পেল বলেই দাবি সমালোচক মহলের।

তবে অতীতেও 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে শত সহস্র সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে নিজের কৌশলী মস্তিষ্ক দিয়ে দলকে সাফল্যের চূড়ান্ত শিখরে পৌঁছে দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে তাকে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য চেষ্টা করার সাথে সাথেই সমালোচক মহলের একাংশ কটাক্ষ করলেও, সেই কটাক্ষকে জবাব দিয়ে আগামী দিনে দলের বিস্তার লাভে কতটা সাফল্য পান অভিষেকবাবু, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!