প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ নন্দীগ্রাম মামলা থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। তবে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে প্রকাশ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেবার কারণে এই জরিমানা ধার্য করা হয়েছে। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, এই জরিমানা পরিকল্পিত। হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। সুপ্রিম কোর্টে যাবেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি অভিযোগ করেছেন, মানুষের ভোটে নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে জরিমানা করা যায় না। বিচারপতি সরে যাবার আগে যে জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন, তা পূর্ব পরিকল্পিত।

নন্দীগ্রামের ভোটের ফলাফলকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই মামলা থেকে বিচারক কৌশিক চন্দ্রকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বিজেপির সঙ্গে যোগ রয়েছে বিচারপতি কৌশিক চন্দের। আজ মামলা থেকে তিনি সরে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন, একজনের কথামতো বিচারপতি কখনোই পক্ষপাত দুষ্ট হয়ে যান না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আদালতকে কলুষিত করার তিনি অভিযোগ করেছেন। যে জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা দায়ের করেছেন তিনি।

নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান জানালেন, কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বিচারপতির যোগাযোগ আছে। তাই তাঁরা এজলাস বদলের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের কারণে যেহেতু বিচারপতি এই মামলা ছেড়ে দিয়েছেন। সেখানে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা ঘোষণার বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছেন না। এর বিরুদ্ধে তাঁরা সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও জানিয়ে দিয়েছেন যে, এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন। তাঁরা জরিমানা দেয়ার পক্ষপাতী নন। কেন জরিমানা ধার্য করা হয়েছে? প্রশ্ন করেছেন তিনি।

তিনি অভিযোগ করেছেন, এই জরিমানা সম্পূর্ণ পরিকল্পিতভাবে ধার্য করা হয়েছে। যেহেতু নিজের এজলাস থেকে মামলা ছেড়ে দিতে হচ্ছে, এ কারণেই এই ঘোষণা করা হয়েছে। যা মেনে নিতে পারছেন না তিনি। এজন্য সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। তিনি অভিযোগ করেছেন, সম্পূর্ণ ইচ্ছাকৃতভাবে এই জরিমানা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কালিমালিপ্ত করতে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তাঁকে হাইলাইট করার জন্য এ কাজ করা হয়েছে বলে, অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্যদিকে, নন্দীগ্রাম মামলা থেকে বিচারপতি কৌশিক চন্দ সরে যাবার কারণে এই মামলা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে চলে যাবে। এবার তিনি ঠিক করবেন, কোন বিচারপতির এজলাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে।