এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > সাধের নন্দীগ্রামেও চরমে দুর্নীতি? গরীব মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, তৃণমূল নেতার ৮১ রেশন কার্ড!

সাধের নন্দীগ্রামেও চরমে দুর্নীতি? গরীব মানুষ খেতে পাচ্ছেন না, তৃণমূল নেতার ৮১ রেশন কার্ড!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের প্রায় সমস্ত জায়গাতেই রেশন দুর্নীতি নিয়ে অভিযোগ করছে বিরোধীরা। তবে সেই দূর্নীতির অভিযোগে নন্দীগ্রামেও যে বিদ্ধ হতে হবে রাজ্যের শাসকদলকে, তা সত্যিই কল্পনা করতে পারেননি কেউ। এবার রেশন কার্ড নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হল পরিবর্তনের আঁতুড়ঘর নন্দীগ্রামে।

অভিযোগ, নন্দীগ্রাম 2 ব্লকের আমেদাবাদ 1 নম্বর অঞ্চলের সুবদি গ্রামের বাসিন্দারা গত দু’বছর ধরে রেশন কার্ডের আবেদন করেও, কোনো প্রকার কার্ড পাননি। যার ফলস্বরুপ তারা ব্লক খাদ্য দপ্তরে গিয়ে জানতে পারেন যে, তাদের রেশন কার্ড দিয়ে গত দু’বছর ধরে রেশন তুলছেন নন্দীগ্রাম 2 পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় দিন্দা। আর এতেই তুমুল বিতর্ক ছড়িয়ে পড়েছে।

জানা গেছে, এদিন তৃনমূল নেতার এই দুর্নীতির খবর পেয়েই সেই সঞ্জয় দিন্দার বিরুদ্ধে সরব হয়ে বিডিওকে অভিযোগ জানান বাসিন্দারা। আবেদনকারীরা তাদের রেশন কার্ড পাওয়া নিয়ে ডিলারের কাছে গেলে তিনি সেই তৃনমূল নেতার কাছে 81 টি রেশন কার্ড মজুত আছে বলে জানিয়ে দেন। আর তৃনমূল নেতার এই কুকীর্তিকে এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়েছে ঘাসফুল শিবির।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে রেশন ডিলার প্রকাশ জানা বলেন, “সঞ্জয় দিন্দা রেশন কার্ডের বদলে সই করা কুপনের বিনিময়ে রেশন দেওয়ার জন্য চাপ দিতেন‌। তাই বাধ্য হয়ে সই করা কুপনেই রেশন দিতাম। দুই বছর আগে থেকে কর্মাধ্যক্ষ রেশন কার্ড বা ওর সই করা কুপন দিয়ে রেশন তুলছেন। প্রথমে রেশন না দেওয়ায় হুমকি দিয়েছিল।” আর সাধারন মানুষের যখন রেশন পাওয়ার কথা, তখন নিজের কাছে রেশন কার্ড মজুত করে রেখে তৃনমূল নেতা দলকে অস্বস্তিতে ফেললেন বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে বিরোধীরা তৃনমূলকে আক্রমন শানাতে শুরু করেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে তমলুক জেলা বিজেপির সাংগঠনিক সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, “কাটমানি খেয়েও শাসকদলের নেতাদের পেট ভরছে না। এখন গরিব মানুষের খাদ্যও তারা চুরি করছেন। রেশন নিয়ে যে দুর্নীতি বিজেপির পক্ষ থেকে করা হয়েছিল, অবশেষে তার প্রমান মিলল।” তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সঞ্জয় দিন্দা।

এদিন তিনি বলেন, “একই লোকের নাম দুটো করে রেশন কার্ড ছিল। একজন যাতে দুজনের সুবিধা না পেতে পারেন, সেজন্য সব রেশন কার্ডগুলো নিজের কাছে রেখেছিলাম। 15 দিন আগেই পঞ্চায়েত অফিসে সব রেশন কার্ড জমা দিয়েছি। জনস্বার্থে বেআইনি কাজ করেছি। ব্যাক্তি স্বার্থে নয়।” তবে তৃনমূলের নেতা বাচতেই যে এখন এসব কথা বলছেন, তাতে নিশ্চিত সকলে। তবে তৃনমূলের শক্ত ঘাটি নন্দীগ্রামেও যেভাবে তৃনমূল নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল, তাতে শাসকদলের অস্বস্তি আরও বাড়বে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!