প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  গত মে মাসের 17 তারিখে নারদ কান্ডে গ্রেপ্তার করা হয় রাজ্যের চার হেভিওয়েটকে। সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর তারপর থেকেই রীতিমত ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয় রাজ্যে। চার হেভিওয়েটের মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেস। এমনকি সিবিআই দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বাভাবিক ভাবেই সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা, এই গোটা ঘটনায় প্রভাব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন রাজ্যের প্রভাবশালীরা। এমনকি এই মামলা যাতে অন্য কোনো রাজ্যে নিয়ে যাওয়া যায়, তার জন্য এই বিষয়টি তুলে ধরে আবেদন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর এই পরিস্থিতিতে নারদ কান্ডে হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করার পর কি কি ঘটনা ঘটেছিল, তা নিয়ে সিবিআইয়ের কাছে জবাবদিহি তলব করল কলকাতা হাইকোর্ট।

সূত্রের খবর, বুধবার কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। আর সেখানেই এই ব্যাপারে সিবিআইয়ের কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়। মূলত, গত 17 মে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে চার হেভিওয়েটকে গ্রেপ্তারের পর অনেক প্রভাবশালীরা প্রভাব সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই বিষয়টি সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে অবহিত হতেই এবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে সিসিটিভি ফুটেজ চাইল কলকাতা হাইকোর্ট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কলকাতা হাইকোর্টের এই পদক্ষেপ নয়া সমীকরণের সৃষ্টি করতে পারে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে কি রিপোর্ট দেওয়া হয়, তা অবশ্যই লক্ষণীয় বিষয়। আর সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে দেওয়া রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতেই নারদ মামলার ভবিষ্যত নির্ভর করছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। যাকে কেন্দ্র করে এখন ব্যাপক গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। সব মিলিয়ে হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চের নির্দেশ অনুসারে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।