এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > মাদ্রাসা শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

মাদ্রাসা শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণ নিয়ে বড়সড় সিদ্ধান্ত জানাল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ

নির্বাচনের মরসুমে এবার মাদ্রাসা শিক্ষকদের শূন্যপদ পূরণ নিয়ে শুক্রবার বড়মাপের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সূত্রের খবর, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চ গত শুক্রবার এই ব্যাপারে একটি নির্দেশ জারি করে জানান, ২০১৩ সাল পর্যন্ত যে সমস্ত মাদ্রাসা তাদের শূন্যপদের খবর মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনকে জানিয়েছিল একমাত্র তারাই ২০১৪ সালে তৈরি প্রার্থী প্যানেল থেকে শিক্ষক পাবে। আর পরবর্তীকালে তৈরি হওয়া শূন্যপদের জন্য সেখান থেকে মাদ্রাসা কোনোরূপ শিক্ষক পাবে না।

এদিন ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষ থেকে নিম্ন আদালতের রায় খারিজ করে এই নির্দেশ জারি করার ফলে ২০১৫ সালের পরবর্তীকালে যে সমস্ত শূন্য শিক্ষকপদ এই মাদ্রাসাগুলিতে তৈরি হয়েছিল সেখানে নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়া অনেকটাই সমস্যা হয়ে পড়ল বলে মনে করছে আইনজীবী মহলের একাংশ। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত ২০১৪ সালে কমিশনের নেতৃত্বে শিক্ষক পদপ্রার্থীদের নিয়ে যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল তাকে কেন্দ্র করে কলকাতা হাইকোর্টে একটি মামলা হয়।

যেখানে সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠান হিসেবে এখানে নিজেরাই নিজেদের শিক্ষক পছন্দ করে নিয়োগ করতে পারে বলে দাবি জানানো হলে, মাদ্রাসা রিক্রুটমেন্ট রুলস ২০০৭ খারিজ করে দেয় হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় কমিশনের পক্ষ থেকে তার আগেই সেই প্যানেল তৈরি করে ফেলা হয়। আর তা নিয়েই শুরু হয় তীব্র জটিলতা। ফলে সেই জটিলতাকে থামিয়ে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকেও সেই প্যানেলের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে দেওয়া হয়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু এর পরেও প্রায় ২৫ টি মাদ্রাসা দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়ে নির্দিষ্ট প্যানেল থেকেই তাদের শিক্ষক নিয়োগ করতে দেওয়া হোক বলে দাবি জানায়। ফলে গত ২০১৮ সালের ১৭ ই মে শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে এক রায়ে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, রাজ্যের মাদ্রাসাগুলোতে প্রায় ২,৬০০ শূন্য পদ রয়েছে। ফলে যে সমস্ত মাদ্রাসা ২০১৩ সাল পর্যন্ত তাদের শূন্য শিক্ষক পদে কমিশন তৈরি করেছে তারা ২০১৪ সালে তৈরি প্যানেল থেকে আবেদন জমা করলেই শিক্ষক পাবে।

আর সেই কারণেই প্যানেলটি প্রকাশ করতেই হবে। আর এর ফলে আরো জটিলতা বেড়ে যায়। কেননা ২০১৪ পরবর্তী সময়ে মাদ্রাসাগুলিতে যে সমস্ত শূন্যপদ সৃষ্টি হয়েছে তারাও এবার শিক্ষক চেয়ে কমিশনে আবেদন জানাতে শুরু করে। কিন্তু কমিশনের পক্ষ থেকে সেই সমস্ত আবেদন নাকচ করে দেওয়া হলে মাদ্রাসা এই ব্যাপারে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেয়। এদিকে গত ২০১৮ সালের ৩০ শে জুলাই মাদ্রাসা যে আবেদন করবে, তাকেই শিক্ষক দিতে হবে বলে জানিয়ে দেয় হাইকোর্টের একক বিচারপতি।

অন্যদিকে এই দপ্তরের শীর্ষ কর্তার তীব্র সমালোচনা করে “উনি আইন বোঝেন না” বলে ওই পদে উপযুক্ত আমলাকে বসানোর আবেদনও জানানো হয়। আর এরপরই কমিশনের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করা হয়। সূত্রের খবর, আইনজীবী কমলেশ ভট্টাচার্যের পক্ষ থেকে গোটা ঘটনাটি আদালতে পেশ করলে আদালতের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০১৫ সালের পরবর্তী শূন্যপদের জন্য এই প্যানেল থেকে আর নতুন করে নিয়োগের কোনো সুযোগ নেই। তাই একক বিচারপতির এই রায়কে খারিজ করে দেয় আদালত।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!