এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বর্ধমান > কর্মীদের ক্ষোভের জেরে বাতিল দলীয় সভা-কর্মসূচি, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

কর্মীদের ক্ষোভের জেরে বাতিল দলীয় সভা-কর্মসূচি, তীব্র অস্বস্তিতে শাসকদল

বিগত নির্বাচনগুলোতে রাজ্যজুড়ে ঘাসফুলের দাপট অব্যাহত থাকলেও নেতৃত্বের প্রতি কর্মীদের ক্ষোভে এখন বেশ কিছু জেলায় তীব্র অস্বস্তিতে তৃনমূল কংগ্রেস। কিছু কিছু ক্ষেত্রে দলীয় বিবাদ এমন জায়গায় পৌঁছাচ্ছে যে সভা করাতেও পেতে হচ্ছে প্রবল বেগ। সূত্রের খবর, কিছুদিন আগেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার কাঁকসা ব্লকের সাতটি অঞ্চলের সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব।

আর এরপর থেকেই সেই নতুন সভাপতি ও কার্যকারী সভাপতিদের নিয়ে দলীয় কর্মীদের একটি বড় অংশে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে অসমের এনআরসিতে বাদ পড়া মানুষগুলির জন্য বাংলায় তৃণমূলের যে ‘কালা দিবস’ পালন কর্মসূচি ছিল, দলীয় নেতৃত্বের নির্দেশে তা সারা রাজ্যে তা পালন হলেও কর্মীদের ক্ষোভে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকে তা ঠিক ভাবে পালিতই হয়নি।

আর তাই কর্মীদের এই ক্ষোভকে প্রশমিত করতে কয়েক জন কার্যকরী সভাপতিকে সরানোর সিদ্ধান্ত নিলেন জেলা তৃনমূল নেতৃত্ব বলে সূত্রের খবর। এ প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘কাঁকসা ব্লকে যা পরিস্থিতি তাতে আমাকেও যদি সভাপতি করা হয়, তাহলেও সেখানকার কর্মীরা মেনে নেবেন না! এ ভাবে কোনও দল চলতে পারে না। ওখানে কারা কোন্দল করছে, কাদের উস্কানিতে কর্মীরা সভাপতি ও কার্যকরী সভাপতিদের মানছে না তা সবই আমাদের জানা’।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

তাঁর আরো বক্তব্য, ‘যারা দলের সিদ্ধান্ত মেনে নেবে না তাদের দলে থাকার কোনও প্রয়োজন নেই। সমস্যা কিছু আছে – সেই কারণে কয়েক জন কার্যকরী সভাপতিকে বদল করা হবে। তবে কোনও অঞ্চল সভাপতিকে বদল করা হবে না’। এদিকে দলে এহেন গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে কাঁকসা ব্লক সভাপতিও নির্বাচন করতে পারেনি জেলা নেতৃত্ব। অপরদিকে এ প্রসঙ্গে ক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের একাংশের দাবি, তোলাবাজ ও অবৈধ কাজের সাথে যুক্ত থাকায় তারা কোনও ভাবেই অঞ্চল সভাপতি পদে এই দলের নিযুক্ত ব্যাক্তিদের মেনে নেবেন না।

তবে এমন পরিস্থিতি কারন হিসাবে অনেকেই মনে করছেন, কাঁকসা ব্লকের তিন তৃণমূল নেতা পল্লব বন্দ্যোপাধ্যায়, দেবদাস বক্সি ও চিন্ময় মণ্ডলকে কোনও দায়িত্ব না দেওয়াতেই এই অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। সব মিলিয়ে কর্মী অসন্তোষ থামাতে এখন ঠিক কী পদক্ষেপ নেয় পশ্চিম বর্ধমানের তৃনমূল নেতৃত্ব সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। কেননা, গত লোকসভা নির্বাচনে এখানে সবাইকে অবাক করে দিয়ে জিতেছিলেন বিজেপির বাবুল সুপ্রিয়। কিন্তু এই লোকসভা নির্বাচনে সেই আসন পুনরুদ্ধারই আপাতত পাখির চোখ শাসকদলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!