এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন করে মামলার গেরোয় ফাঁসতে পারে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ,অদ্ভুত সমস্যায় শিক্ষাদপ্তর

নতুন করে মামলার গেরোয় ফাঁসতে পারে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ,অদ্ভুত সমস্যায় শিক্ষাদপ্তর

অন্যান্য শিক্ষক পদের নিয়োগের সঙ্গে ঝুলে রয়েছে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষকের নিয়োগও। শুধুমাত্র উচ্চ মাধ্যমিকে এমপ্যানেল্ডদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। বহুদিন আগে লিখিত পরীক্ষা হয়ে গেলেও এখনও প্রধান শিক্ষক পদের জন্য ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে উঠতে পারল না স্কুল সার্ভিস কমিশন। প্রায় ২ হাজার শূন্যপদে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কবে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তার জবাব এখনো বিশ বাঁও জলে। চিন্তায় কপালে ভাঁজ পড়ছে পরীক্ষার্থীদের।

এতদিন স্কুল পরিচালন কমিটির হাতেই ছিল প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষমতা। স্কুল কমিটিগুলোই সার্ভে করে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদের সংখ্যা স্কুল সার্ভিস কমিশনকে জানাতো। তারপর এসএসসির তরফ থেকে সংশ্লিষ্ট পদের জন বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হত। তারপর পরীক্ষার মাধ্যমে এসএসসি যোগ্য প্রার্থীদের নাম সুপারিশ করে স্কুল গুলোতে পাঠাতো। স্কুলই সেই ব্যক্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে চাকরিতে যোগদান করার জন্য নিয়োগপত্র দিত সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে।

কিন্তু এখন প্রধান শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বদল এসেছে। ৮ ই মার্চ স্কুল কমিটির কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে নতুন বিধি অনুযায়ী মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে সব ধরনের শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর নিয়োগকারী সংস্থা করা হয়েছে। এতে অন্যান্য শিক্ষকপদে নিয়োগ মোটামুটি ঠিকভাবে হলেও প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ প্রক্রিয়া এগোচ্ছে না। গত বছরের ডিসেম্বর লিখিত পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর এবছরের মে মাসে পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়েছে। জুন মাসে সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে তথ্য যাচাই প্রক্রিয়া (ভেরিফিকেশন)। তবুও এখনও নিয়োগ শুরু হল না। কেন এতো জটিলতা? স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

সম্প্রতি বিকাশভবনে গিয়ে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ সংক্রান্ত এই সমস্যার কথা শিক্ষাদপ্তরের নজরে এনেছেন পর্ষদের তরফের এক আধিকারিক। তাতে বলা হয়েছে, এসএসসির সুপারিশ পেয়ে পর্ষদ যদি নিয়োগকারী সংস্থা হিসাবে কাজ করে তাহলে নিয়মগত দিক থেকে সেটা আর সিঙ্গল ক্যাডার পোস্ট থাকে না। আর এই যুক্তিতেই ‘১০০ পয়েন্ট রোস্টার’ মেনে সেইসব পদগুলোকে সংরক্ষণের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের সময় সংরক্ষণের বিষয়টি উল্লেখ করা ছিল না। তাই প্রধানশিক্ষকের পদগুলোকে এবার সংরক্ষণের আওতায় আনলে যেমন মামলা হবে তেমনি না আনতে মামলা হবে।

এটাকেই উভয় সংকট বলো মনে করছেন পর্ষদের কর্মকর্তারা। এই সমস্যার জেরেই প্রধান শিক্ষক পদের নিয়োগ প্রক্রিয়া থমকে আছে। একইরকম ভাবে শূন্যপদের সঠিক হিসাবের অভাবে এবং ইসমামপুর কান্ডের জন্য সংকটে উচ্চ মাধ্যমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়া। যারা ইতিমধ্যে নিয়োগপত্র পেয়ে স্কুলগুলোতে যোগদান করে গিয়েছেন তাঁদের ভবিষ্যতেও আশঙ্কার মেঘ জমেছে। উচ্চ প্রাথমিকে বাড়তি শূন্যপদ যোগ হলেও খুব তাড়াতাড়ি নিয়োগের কোনো সম্ভাবনা নেই। নিয়োগ আটকে রয়েছে মাধ্যমিক স্তরেও। সবমিলিয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের সর্ব স্তরের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তুঙ্গে এখন। যা স্বাভাবিকভাবেই হবু শিক্ষকদের পুজোর আনন্দকে ম্লান করে দিচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!