এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া > বালি নিয়ে দুর্নীতি কি এবার বন্ধ হবে? প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা

বালি নিয়ে দুর্নীতি কি এবার বন্ধ হবে? প্রশাসনের নতুন পদক্ষেপে বাড়ছে জল্পনা

বালি খাদান এবং দুর্নীতি এই রাজ্যে চর্চার চর্চিত বিষয়। মাঝেমধ্যেই রাজ্যের বিরোধীদলের নেতারা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই বিষয়ে শাসক দলের নেতাদের কাঠগড়ায় তোলেন। তবে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিভিন্ন জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে গিয়ে এই বালি খাদানের ব্যাপারে সরব হতে দেখা গেছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। আর এবার বালি নিয়ে দুর্নীতি রুখতে ঝাড়গ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হল।

সূত্রের খবর, “নিরীক্ষণ ঝাড়গ্রাম” এই অ্যাপটি আজ পয়লা ডিসেম্বর রবিবার থেকে চালু করা হচ্ছে। জানা গেছে, এই অ্যাপের মাধ্যমে খাদান এলাকা ছাড়া অন্য এলাকা থেকে বালি তোলা হলে তা যেমন ধরা পড়বে, ঠিক তেমনই অবৈধ চালানও আটকানো যাবে। ইতিমধ্যেই জেলার আটটি ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক এবং জেলার আধিকারিকদের এই অ্যাপে কাজ করবার জন্য অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল সেট দেওয়া হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই জেলার সমস্ত বালি খাদান মালিককে ডেকে বৈঠক করে তাদেরকেও সতর্ক করে দিয়েছে প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ঝাড়গ্রাম জেলা হওয়ার আগে এখানে 68 টি খাদানের অনুমতি ছিল। পরবর্তীতে ঝাড়গ্রাম পৃথক জেলা হওয়ার পর সেখানে আরও নতুন করে পাঁচটি খাদানের অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে দীর্ঘদিন ধরেই এখানে বালি খাদানে অনিয়ম নজরে আসছিল। আর তাই এবার তার দুর্নীতি আটকাতে অ্যাপ চালু করতে চলেছে প্রশাসন।

জানা গেছে, ঝাড়গ্রাম জেলার সব খাদান মালিককে ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথায় কত বালি যাচ্ছে, গাড়ির নম্বর, সমস্ত কিছু এই অ্যাপে আপলোড করতে বলা হয়েছে। যার ফলে সেই অ্যাপ খুললে সহজেই আধিকারিকরা দেখে নিতে পারবেন যে, সেই বালি চালান বৈধ নাকি অবৈধ! এদিন এই প্রসঙ্গে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক আয়েশা রানি এ বলেন, “পয়লা ডিসেম্বর থেকে অ্যাপটি চালু হবে। অ্যাপ চালু হলে বৈধ খাদান যেমন সনাক্তকরণ করতে সুবিধা হবে, তেমনই রাস্তায় লরি চেকিংয়ের সময় অ্যাপ খুলেই চালানের তথ্য জানা যাবে।”

তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বালি নিয়ে দুর্নীতি রোধ করার জন্য ঘটা করে অ্যাপ তৈরি হলেও, তা কতটা কার্যকরী হয়, সেদিকেই নজর রয়েছে সকলের। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের বক্তব্য, সর্ষের মধ্যেই তো ভূত আছে! শাসকদল ও প্রশাসনের বৃহদংশের মদত না থাকলে কি রমরমিয়ে বালি নিয়ে দুর্নীতি হতে পারত? এইসব প্রশাসনিক পদক্ষেপ আসলে ভালো সাজার চেষ্টা – পিছনে এই দুর্নীতি এইভাবেই চলতে থাকবে! এখন দেখার প্রশাসন বিরোধীদের এই দাবি উড়িয়ে সত্যিই এই ব্যাপারে স্বচ্ছতা আনতে পারে কিনা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!