এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > লোকসভার আগে একাধিক প্রভাবশালীর ঘুম উড়িয়ে চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে ‘কড়ক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কেন্দ্রের

লোকসভার আগে একাধিক প্রভাবশালীর ঘুম উড়িয়ে চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে ‘কড়ক সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ কেন্দ্রের


বেজে গেছে লোকসভা নির্বাচনের দামামা – এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা না হলেও, রাজনৈতিক দলগুলি পুরোপুরি ঢুকে গেছে ‘ইলেকশন মোডে’। আর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে, বিশেষ করে বাংলায়, ‘চিটফান্ড কান্ড’ বেশ বড়সড় প্রভাব বিস্তার করতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা, রাজ্যের চিটফান্ড কাণ্ডে বেশ বড়সড় ‘রাঘববোয়ালরা’ জড়িত বলে নিশ্চিত সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। আর এই প্রসঙ্গে বিরোধীরা সরাসরি আঙুল তুলেছে শাসকদলের নেতাদের দিকে।

যদিও, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ‘স্ট্রেট ব্যাটে’ তা মাঠের বাইরে পাঠিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন – চিটফান্ডগুলি তৈরী হয়েছিল বাম আমলেই। তিনি ক্ষমতায় আসার পর চিটফান্ড কাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছেন। কিন্তু, সেই চিটফান্ডকান্ডেই সিবিআইয়ের সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া ফলফনামায় বারবার উঠে এসেছে তদন্তে রাজ্য সরকারের অসহযোগিতার কথা। এমনকি, চিটফান্ড তদন্তে গঠিত সিটের প্রধান তথা কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকরা পৌঁছালে – তাঁদের কার্যত ঘাড় ধরে ও চ্যাংদোলা করে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।

ঘটনাস্থলে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছুটে এসে সিবিআইয়ের এই ‘অগণতান্ত্রিক ব্যবহারের’ বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে ধর্মতলায় মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসে যান। যা নিয়ে তীব্রভাবে ক্ষুব্ধ সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা, এমনকি এই নিয়ে অভিযোগ জমা পড়েছে খোদ সুপ্রিম কোর্টে। কিন্তু, সিবিআইয়ের চিটফান্ড কাণ্ডে এইভাবে হেনস্থা হওয়ার দিন এবার শেষ হতে চলল – নেপথ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা অর্ডিন্যান্স। সূত্রের খবর, চিটফান্ড তদন্ত নিয়ে ক্রমেই অত্যন্ত কড়া মনোভাব নিচ্ছে কেন্দ্র সরকার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর, রাজীব কুমারের বাড়িতে সিবিআই আধিকারিকদের হেনস্থা, যেন আগুনে ঘৃতাহুতি করেছে। ফলে, লোকসভায় পাশ হয়ে যাওয়ার পর চিটফান্ড সম্পর্কিত নয়া আইন রাজ্যসভায় পেশ হওয়ার অপেক্ষায় ছিল। কিন্তু তার আগেই কেন্দ্র সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করে জানিয়ে দিল, এবার থেকে চিটফান্ড মামলার তদন্তে রাজ্যগুলির খবরদারির করার আর সুযোগ থাকল না। সিবিআইয়ের তরফে বারবার অভিযোগে জানানো হয়েছে, এর আগে চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে স্থানীয় থানায় করা মামলার জের ধরে রাজ্য অনেক সময়েই তদন্তে হস্তক্ষেপ করত – নতুন অর্ডিন্যান্সের ফলে সেই সুযোগ আর থাকল না।

এই অর্ডিন্যান্সের ফলে, একদিকে যেমন চিটফান্ড তদন্তে সিবিআইয়ের কাজকর্মে রাজ্যের নাক গলানোর প্রক্রিয়া বন্ধ হতে চলেছে। তেমনই, সিবিআই চাইলে রাজ্য সরকার, পুলিশ, ইডি – যে কোন সংস্থার কাছ থেকে তদন্তের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। এমনকি, তদন্তে কেউ বাধা সৃষ্টি করলে ‘বলপ্রয়োগের’ অধিকারও সিবিআইয়ের হাতে দেওয়া হল। তাছাড়া এই অর্ডিন্যান্সের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হতে চলেছে, প্রাপ্য ফেরতের প্রশ্নে বিনিয়োগকারীরাই অগ্রাধিকার পাবেন।

তারপর আয়কর, বিক্রয়কর দপ্তর ও পুরসভাগুলি নিজেদের প্রাপ্যের কথা জানাতে পারবে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের কোনো আইন যদি সিবিআইয়ের তদন্তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে তাহলে এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় আইনই মান্যতা পাবে। সবমিলিয়ে, চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্তে সিবিআইয়ের এতদিনের অভিযোগ – ‘রাজ্যের প্রতিবন্ধকতা’- এর অবসান হতে চলেছে। নতুন আইনে বলীয়ান হয়ে সিবিআই এখন কোন কোন প্রভাবশালীকে নিজেদের জালে তোলে -সেদিকেই এখন তাকিয়ে আমি জনতা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!