এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > দলনেত্রীর অভয়বানীতে বালুরঘাট কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী সমস্যার সমাধান করলেও, ভোট সমস্যা মিটবে কি? জল্পনা অব্যাহত

দলনেত্রীর অভয়বানীতে বালুরঘাট কেন্দ্রে শাসকদলের প্রার্থী সমস্যার সমাধান করলেও, ভোট সমস্যা মিটবে কি? জল্পনা অব্যাহত

লোকসভা নির্বাচনের আবহ তৈরী হতেই বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রে কে প্রার্থী হবেন তা নিয়ে তীব্র জল্পনা শুরু হয়ে যায় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরে। নাটকের শহর পরিচিত বালুরঘাটে গতবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রার্থী করেছিলেন পরিচিত নাট্যব্যক্তিত্ব অর্পিতা ঘোষকে। রাজ্যজোড়া প্রবল ঘাসফুল হাওয়ায় বালুরঘাট থেকে জিতে প্রথমবার দিল্লিতে সাংসদ হিসাবে যেতে বিশেষ বেগও পেতে হয় নি অর্পিতাদেবীকে। কিন্তু বিগত বেশ কয়েক মাস ধরে জল্পনা – এই কেন্দ্র থেকে আর অর্পিতাদেবী নন, টিকিট পেতে চলেছেন জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র।

আর এই নিয়ে বিপ্লববাবু ও অর্পিতাদেবীর অনুগামীদের লড়াই শাসকদলের গন্ডি ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ার ওয়ালেও। দু তরফের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় এখন রীতিমত চর্চার বিষয় বালুরঘাট জুড়ে। মাঝে তো এমন কোথাও শোনা যায়, বিপ্লববাবু নাকি স্বয়ং দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে দাবি করেছেন, বর্তমান এমপিকে (অর্পিতা ঘোষ) এবার প্রার্থী করা হলে তাঁকে জেতানো সম্ভব হবে না। যদিও বিপ্লববাবু প্রকাশ্যে এই অভিযোগ একেবারেই ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু, এনিয়ে জেলাজুড়ে রীতিমত আলোড়ন পড়ে যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিপ্লববাবুর অনুগামীরা প্রকাশ্যেই দাবি করতে থাকেন, বহিরাগত কাউকে নয়, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী করতে হবে জেলার ভূমিপুত্র বিপ্লববাবুকেই। তবে এখানেই শেষ নয়, এরই মাঝে জেলার আরেক হেভিওয়েট প্রাক্তন বিধায়ক ও মন্ত্রী শঙ্কর চক্রবর্তীর নামও প্রবলভাবে ভেসে উঠতে থাকে বালুরঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী হিসাবে। কিন্তু, গতকাল দলের বর্ধিত কোর কমিটির সভায়, দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, যাঁরা ভালো কাজ করেছে তাঁরাই প্রার্থী থাকবেন। আর এই ঘোষণার পরে রাজনৈতিক মহলের ধারণা – জল্পনা-কল্পনার ঘটিয়ে অর্পিতাদেবীই আবারো টিকিট পেতে চলেছেন বালুরঘাট কেন্দ্রে।

কেননা তাঁর অনুগামীদের দাবি, সংসদ সদস্যের এলাকা উন্নয়ন তহবিলের ১০০% টাকা খরচ করে অর্পিতাদেবীই রাজ্যে প্রথম হয়েছেন – ফলে, দলনেত্রীও নাকি বুঝছেন তিনিই সংসদ সদস্য থাকলে জেলার ভালো হবে। এই প্রসঙ্গে অর্পিতাদেবী নিজে বলেছেন, নিজের লোকসভা কেন্দ্রে পাকাপাকি ভাবে থেকে সংগঠন মজবুত করার জন্য দলনেত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশ মতো আমি মঙ্গলবারই বালুরঘাটে পৌঁছে যাব, তিনি যাকে মনে করবেন তাঁকে প্রার্থী করবেন।

অন্যদিকে, বিপ্লববাবুর বক্তব্য, দলের নেত্রী একজন, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি যাঁকে প্রার্থী করবেন তাঁকে জেতানোর দায়িত্ব আমার। জেলা সভাপতি হিসেবে সেই দায়িত্ব পালন করব। তবে, মুখে যে যাই বলুন না কেন, নিজেদের পছন্দমত প্রার্থী না পেলে অর্পিতাদেবী ও বিপ্লববাবুর অনুগামীরা আসন্ন নির্বাচনে কি ভূমিকা পালন করবেন তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান। সুতরাং, প্রার্থী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সমস্যা মিটলেও – সংগঠন কতটা কাজ করবে, তার উপরেই কিন্তু অনেকাংশে নির্ভর করছে বালুরঘাটের ভাগ্য – কেননা এই জেলাতে বিজেপির তীব্র উত্থান চোখ এড়াচ্ছে না কারোরই!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!