এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > শুভেন্দু, অভিষেক, পিকের ২ঘন্টা গোপন বৈঠক, ফোন গেল মমতার কাছেও, সব মিটিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলেই?

শুভেন্দু, অভিষেক, পিকের ২ঘন্টা গোপন বৈঠক, ফোন গেল মমতার কাছেও, সব মিটিয়ে শুভেন্দু তৃণমূলেই?


আপনাদের সুবিধার্থে খবরের শেষে বিধানসভা ২০২১ উপলক্ষে আমাদের করা সর্বশেষ সমীক্ষার প্রতিটির লিঙ্ক দেওয়া আছে।

আপনার মতামত জানান -

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – মন্ত্রী পদ ছেড়ে দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীকে তৃণমূলের একাংশ যেভাবে আক্রমণ করতে শুরু করেছিলেন, তাতে মনে করা হয়েছিল, শুভেন্দু অধিকারীর তৃণমূলে সক্রিয় হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শুভেন্দু অধিকারীর বৈঠকে রীতিমত হতচকিত হয়ে ওঠে গোটা রাজনৈতিক মহল।

সূত্রের খবর, এতিম উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারের কাছে একটি বাড়িতে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক হয় শুভেন্দু অধিকারীর। যেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সৌগত রায়, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর এবং শুভেন্দু অধিকারী। আর এই বৈঠকের পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যে দূরত্ব তৈরি হয়েছিল, তা সম্পূর্ণরূপে মিটে গিয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি সমস্যা মিটে গেছে?

জানা গেছে, এদিনের বৈঠকে শুরুতেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে বলেন, সকলে মিলে যেন দল চালানো হয়। দলের ভালোর জন্য নির্বাচনের আগে অন্তত সেটাই যেন করা হয়। আর তারপরেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ফোন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন শুভেন্দু অধিকারীকে। আর তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে বলেন, “সামনে নির্বাচন। এখন সকলে মিলে একসাথে কাজ করতে হবে।” তবে এর জবাবে শুভেন্দু অধিকারী কি বলেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। কিন্তু মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর এখন শুভেন্দু অধিকারীকে দলের সক্রিয় করতে যে উঠেপড়ে লেগেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব, তা এদিনের বৈঠক থেকেই পরিষ্কার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত, তৃণমূলের সাংগঠনিক গুরুদায়িত্ব না পাওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতার। দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে বিভিন্ন তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে। কিছুদিন আগেই মন্ত্রী পদ থেকে ইস্তফা পর্যন্ত দিয়ে দেন তিনি। আর তারপরেই শুভেন্দু অধিকারীর দলবদলের জল্পনা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে শুরু করে। পরবর্তীতে শুভেন্দু অধিকারীকে এই ধরনের আচরণের জন্য কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত তৃণমূল নেতারা। যার ফলে মনে করা হয়েছিল, তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশ মোতাবেক দলের সঙ্গে যাতে শুভেন্দু অধিকারীর দূরত্ব তৈরি হয়, তার জন্য কল্যানবাবুরা এই সমস্ত মন্তব্য করতে শুরু করেছেন।

সম্প্রতি সাতগাছিয়ার সভা থেকে নাম না করে সেই শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরে বিশেষজ্ঞরা কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দলের দূরত্ব অতি সহজে মিটবে না। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলে যে বড় সমস্যা হতে পারে, তা অনুধাবন করেই হয়ত বা এবার তার সঙ্গে সরাসরি বৈঠকে বসলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ও প্রশান্ত কিশোর বৈঠকে বসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূলের কর্মীরা বলতে শুরু করেছেন, “ভাইয়ে ভাইয়ে বেঁধেছে জোট, তৃণমূলে সব ভোট।”

যে সমস্যা তৈরি হয়েছিল, সেই সমস্যা কি মিটলো? কোথায় দাঁড়ালো গোটা পরিস্থিতি? জানা গেছে, এদিন ফোনে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলিয়ে দেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেন্দু অধিকারীকে জানিয়ে দেন, আগামী 7 ডিসেম্বর মেদিনীপুরে যে সভা রয়েছে, সেখানে যেন শুভেন্দুবাবু উপস্থিত হন। তবে এর জবাবে শুভেন্দু অধিকারী কি বলেছেন, তা অবশ্য জানা যায়নি। এদিকে এই গোটা বৈঠক প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “আমরা সকলেই দলকে ভালবাসি। একসঙ্গে দল করতে চাই। আমি অভিষেক, শুভেন্দু দু’জনকেই খবর দিয়েছিলাম। দু’জনের একসঙ্গে বসার প্রয়োজন ছিল। যেটা হওয়ার সেটা মিটে গিয়েছে।, বৈঠক ভালো হয়েছে।”

অন্যদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারীর পিতা তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির অধিকারী বলেন, “সমস্যা ছিল। তবে সমস্যা মিটে গেলে ভালো। দলের মঙ্গল হবে।” কিন্তু এতদিন তিনি যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে কটাক্ষ করে এসেছিলেন, তাতে তার মন্তব্যের জন্য আবার শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্ব বৃদ্ধি পাবে না তো! এদিন এই প্রসঙ্গে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “এর চেয়ে ভালো খবর আর কিছু হতেই পারে না। আমি এই বৈঠককে স্বাগত জানাচ্ছি। তবে আমি অতীতের পুনরাবৃত্তি চাই না।” তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সৌগত রায় সমস্যা মিটে গেছে বলে জানালেও, আগামী 7 ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় উপস্থিত হচ্ছেন কিনা, তার ওপরেই গোটা পরিস্থিতি নির্ভর করবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

 

একনজরে দেখে নিন আমাদের সর্বশেষ বিধানসভা ২০২১ ওপিনিয়ন পোল –

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – দ্বিতীয় পর্ব – 

# মুর্শিদাবাদ জেলার ওপিনিয়ন পোল – প্রথম পর্ব – 

# মালদহ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# উত্তর দিনাজপুরে জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙ জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# আলিপুরদুয়ার ও দার্জিলিং জেলার ওপিনিয়ন পোল –

# কুচবিহার জেলার ওপিনিয়ন পোল –

আপনার মতামত জানান -
আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!