ডিও/বিএলও ডিউটির অতিরিক্ত ১৫ দিনের নতুন নির্দেশিকা, ঝড় তুলতে চলেছে শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চ কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য November 1, 2018 দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং শেষমেশ নির্বাচন কমিশনে ধর্ণা দিয়ে রাজ্যের হাজার হাজার প্রাথমিক শিক্ষক ডিও, বিএলও বা সুপারভাইজার-এর ডিউটি থেকে মুক্তি পেয়ে ছিলেন বলে ধরে নিয়েছিলেন। কিন্তু গতকাল এক নতুন নির্দেশিকায় নতুন করে এই ডিউটি আরো ১৫ দিন অতিরিক্ত করানোর কথা জানানো হয়েছে। আর তাই নিয়েই ঝড় উঠে গেছে রাজ্য রাজনীতিতে। কেননা বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী স্পষ্ট তাঁর রায়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন যে শিক্ষকরা শিক্ষা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত রাখবেন – নির্বাচন সংক্রান্ত কাজ তখনই তাঁদের দিয়ে করানো যাবে যখন এই কাজে অন্যান্য সরকারি কর্মচারী ও ব্যাঙ্ক কর্মীদের ব্যবহার করেও কর্মী সংখ্যা অপ্রতুল হবে। ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন মামলায় দেওয়া রায়ও সেই একই কথা বললেও কার্যত তাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়েই নতুন করে এই নির্দেশিকা। আর তার ফলে চূড়ান্ত বিক্ষোভ শুরু হয়ে গেছে শিক্ষকদের মধ্যে। কেননা মাত্র দুদিন আগেই শহীদ মিনারের পাদদেশে পিআরটি স্কেল নিয়ে রীতিমত ঝড় উঠে গেলেও – রাজ্য সরকার কার্যত এই ব্যাপারে নিজেদের উদাসীনতা দেখিয়েছে। যেখানে এক মঞ্চে বিজেপি-বাম-কংগ্রেস মিলে গিয়ে শিক্ষকদের এই মানবিক দাবিকে সম্পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে – সেখানে শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব – কখনো শিক্ষকদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তো কখনো অন্য রাজ্যের তথ্য প্রমান জমা দিতে বলেছেন তো কখনো জানিয়েছেন রাজ্যের কোষাগারের উন্নতি না হলে দেওয়া সম্ভব নয়। আর তাই সবমিলিয়ে শিক্ষকদের এই পিআরটি স্কেলের দাবিতে নেতৃত্ত্ব দেওয়া অন্যতম নেতা ও শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের শীর্ষনেতা মইদুল ইসলাম রীতিমত ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি দেওয়ার বেলায় সরকার সামান্যতমও সংবেদনশীল নয়, অথচ আদালতের রায়কে উপেক্ষা করে দিনের পর দিন অনৈতিক ভাবে শিক্ষকদের শিক্ষা বহির্ভূত কাজ করানো হচ্ছে। আমরা এই নিয়ে আদালতে গিয়ে জয় ছিনিয়ে আনলেও, এই সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতের সেই রায়কেও মানতে রাজি নয় – অর্থাৎ আদালত অবমাননা করেই এই রাজ্যের এইসব কাজ চলছে। আর তাই, এবার শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার অঙ্গীকার রক্ষার্থে আগামীকাল আমরা নির্বাচন কমিশনের সামনে বৃহত্তম ধর্ণা ও আন্দোলনের পথে যাচ্ছি। আপনার মতামত জানান -