এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নির্বাচন কমিশন দিল পুরনির্বাচনের খরচের খতিয়ান, আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে

নির্বাচন কমিশন দিল পুরনির্বাচনের খরচের খতিয়ান, আপাতত প্রস্তুতি তুঙ্গে


আর কিছুদিনের মধ্যেই শুরু হতে চলেছে পুরসভার নির্বাচন। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে রাজ্যের শাসক শিবির ও বিরোধীদের মধ্যে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নেওয়ার তাগিদ দেখা গেছে। তবে এই তাগিদ শুধুমাত্র পুরসভার নির্বাচনের জন্য নয়, সামনেই আসছে বিধানসভার নির্বাচন সে কথা মাথায় রেখেও রাজনৈতিক দলগুলি ময়দানের যুদ্ধ প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এর মধ্যেই নির্বাচন কমিশনার রাজ্যের পুরদপ্তরের কাছে পুরসভার নির্বাচন হেতু খরচের পরিমাণ জানিয়ে দিল। অন্যদিকে, লোকসভা নির্বাচনের পর রাজ্যের যুযুধান রাজনৈতিক শিবিরগুলি নিজেদের আসন ধরে রাখতে কিংবা বাড়াতে তৎপর এই পৌরসভা নির্বাচনে।

আপাতত পৌরসভা নির্বাচনের খরচ স্থির হয়েছে 175 কোটি টাকা। এই মর্মে এদিন নির্বাচন কমিশন পুর দপ্তরের কাছে হিসাব পাঠিয়েছে। অন্যদিকে, জানা যাচ্ছে দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকশন কমিশন অ্যাক্টের 1998 এর 8 নম্বর ধারা অনুযায়ী পুরভোটের দিনক্ষণ ঠিক করার পূর্ণ দায়িত্ব রাজ্য সরকারের।  সে কথা মাথায় রেখেই পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গের জেলাশাসকদের সর্বদা প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, রাজ্য প্রশাসন থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও জেলাশাসকদের পুলিশের সাথে যোগাযোগ রেখে চলার আবেদন জানানো হয়েছে।

এখন প্রশ্ন, পুরসভা নির্বাচনে এত টাকার প্রয়োজন কেন? নির্বাচন যেভাবেই হোক না কেন ভোটের কাজে প্রতিটি ক্ষেত্রেই টাকার প্রয়োজন পড়ে। অন্যদিকে জানা গেছে, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম হল লোকসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ খরচ দেবে কেন্দ্র, বিধানসভা নির্বাচনের সম্পূর্ণ খরচ দেয় রাজ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্পূর্ণ খরচ দেয় পঞ্চায়েত দপ্তর এবং পুরসভা নির্বাচন এর সম্পূর্ণ খরচের ভার বহন করে পুরদপ্তর। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে খরচের চিঠি পাওয়া মাত্রই পুরদপ্তরে শুরু হয়ে গেছে তোড়জোড় টাকা পৌঁছানোর। টাকা পৌঁছালে তবেই সেই টাকা জেলায় জেলায় পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে। আপাতত আগামী পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণার অপেক্ষায় রাজনৈতিক মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে পুরসভার নির্বাচনের দিন স্থির করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এবার অপেক্ষার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি জারির। নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি আসার পর 25 থেকে 28 দিন পরে যেকোনো দিন পুরভোট হবার সম্ভাবনা প্রবল। রাজনৈতিক মহলের গুঞ্জন, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী 12 ই এপ্রিল থেকে পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সরকারিভাবে শুরু হবার প্রবল সম্ভাবনা। সূত্রের খবর, বর্তমান কলকাতা পৌরসভার শেষ বোর্ড মিটিং হয়েছিল 2015 সালের 8 মে।

তাঁদের অবশ্যই 2020 সালের 8 মে। এর মধ্যে সরকার গঠন করতে হবেই কারণ পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সে দিক থেকে দেখতে গেলে কলকাতা ছাড়াও বাকি 94 টি পুরসভার মেয়াদ শেষ হচ্ছে মে জুন মাসে। জানা গেছে, মহেশতলা সহ বহু পুরসভার শেষ বোর্ড মিটিং হয়েছিল 2015 সালের 14 ই মে। অতএব এই এপ্রিলেই অবশ্যই করতে হবে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন এবং 14 ই মে এর আগে অন্যান্য পুরসভার নির্বাচন অবশ্যম্ভাবী।

রাজ্যের দরজায় এই মুহূর্তে কড়া নাড়ছে পুরসভা নির্বাচন। আর তাই নিয়েই পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক শিবিরের ইতিমধ্যে সাজো সাজো রব। নির্বাচনে নামার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে রাজ্যের রাজনৈতিক দলগুলি। অন্যদিকে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগেই পুরসভা নির্বাচন হয়ে যাওয়ায় আগামী দিনের রাজনৈতিক প্রতিচ্ছবি বেশ কিছুটা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আর এই প্রতিচ্ছবি যাতে নিজেদের হয় সে ব্যাপারে সদাসতর্ক মনোভাব নিয়ে চলেছে। রাজ্যের প্রতিটি রাজনৈতিক দল সে কথা মাথায় রেখেই এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ত পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক শিবিরগুলোতে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে রাজ্যের ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!