প্রতিশ্রুতি রক্ষা বিজেপির! জল্পনা-কল্পনার উড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে শেষপর্যন্ত এই হেভিওয়েটই! জাতীয় বিজেপি রাজনীতি November 14, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য শেষ হলো বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। গত ১০ ই নভেম্বর ছিল তার ফল প্রকাশ। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হল এনডিএ শিবির। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ অবশ্য ভোটে আশানুরূপ ফল করতে পারেনি। কিন্তু বিজেপির পূর্ব প্রতিশ্রুতি মতো তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হতে চলেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার জেডিইউ সভাপতি নীতিশ কুমার জানালেন যে, খুব তাড়াতাড়ি এনডিএর নেতা বাছাই প্রক্রিয়া শেষ করতে তাঁর সঙ্গে আলোচনায় বসতে চলেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। তবে, এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, শপথ অনুষ্ঠানের দিন এখনো স্থির করা হয়নি। বর্তমান সরকারের মেয়াদ রয়েছে ২৯ সে নভেম্বর পর্যন্ত। এর পূর্বেই আইনসভার দলীয় বৈঠক করবে জেডিইউ। তারপর নেতা বাছাইয়ের কাজ শুরু করবে এনডিএ। অন্যদিকে জেডিইউর এবারের ফলাফল একেবারেই আশানুরূপ নয়। দলের ফলাফল সম্পর্কে নীতিশ কুমার জানালেন যে, গণতন্ত্রে শেষ কথা বলার অধিকারী জনগণ। তবে, এক্ষেত্রে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী যদি নীতীশ কুমার হন, তবে তার অর্থ দাঁড়াবে, বিহারের জনগণ ভোটের মাধ্যমে জোটকে ক্ষমতা এনেছেন। কারণ, গত ১৫ বছরের ইতিহাসে, বিধানসভা নির্বাচনে এবারে সবচেয়ে খারাপ ফল জেডিইউর। মাত্র ৪৩ টি আসনে জয়লাভ করেছে তারা। অনেকেই বলছেন যে, প্রতিষ্ঠান বিরোধীতার একটা জোর হাওয়া কাজ করেছে জেডিইউর উপরে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গতকাল বৃহস্পতিবার জেডিইউর কার্যালয়তে সদ্য নির্বাচিত দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন নীতিশ কুমার। এরপর সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতকারে তিনি জানালেন যে, কেন্দ্রে এলজেপিকে এনডিএ জোটে রাখা হবে কিনা? সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিজেপি। অন্যদিকে, নির্বাচনের ফল প্রকাশ পেলে, এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে নীতীশ কুমারের ঘনিষ্ঠ কিছু নেতা জানিয়েছেন, চিরাগ পাসোয়ান যেভাবে জেডিইউর বিরুদ্ধে সরব হয়েছে, তা তাঁকে আঘাত করেছে। তার ফলে নীতিশ কুমার যথেষ্ট কষ্ট পেয়েছেন। এ প্রসঙ্গে বিজেপির এক প্রবীণ নেতা জানালেন যে, এ কারণে নীতিশ কুমার গভীরভাবে বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। তাঁর মন খুব খারাপ ছিল একারণে যে, চিরাগ পাসোয়ান অন্তত ২৫ থেকে ৩০ টি আসনে জেডিইউর জয়ের সম্ভাবনাকে নষ্ট করে দিয়েছেন। গতকাল এলজেপি প্রধান চিরাগ পাসোয়ানের সরাসরি নাম না করেই, নীতিশ কুমার জানালেন যে, তাঁর দল ও বিজেপির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত নির্বাচনের পূর্বে নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে একাধিক বিষেদাগার করেছিলেন চিরাগ পাসোয়ান। এমনকি নীতিশ কুমারকে বিশ্বাসঘাতক পর্যন্ত বলেছিলেন তিনি। আপনার মতামত জানান -