এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিধানসভা ভোটের পর আর পার্টিটাই থাকবে না! বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষের দাবিতে তুমুল ঝড় রাজ্য জুড়ে!

বিধানসভা ভোটের পর আর পার্টিটাই থাকবে না! বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষের দাবিতে তুমুল ঝড় রাজ্য জুড়ে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের দিন যত এগিয়ে আসছে, ততই তৃণমূলের একের পর এক বিধায়ক দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শুরু করেছেন। রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী থেকে শুরু করে মিহির গোস্বামী, শীলভদ্র দত্তের মত হেভিওয়েট তৃণমূলের নেতারা এখন প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যার ফলে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। আশঙ্কা করা হচ্ছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করতে পারেন। আর এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের ভাঙ্গন নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, শুক্রবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “তৃণমূলের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। যেভাবে একের পর এক নেতা দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে বোমা ফাটাচ্ছেন, তাতে স্পষ্ট, বিধানসভা ভোটের পর আর পার্টিটা থাকবে না।” এদিকে তৃণমূল যারা বিক্ষুব্ধ, তাদের সকলকেই বিজেপিকে স্বাগত জানানো হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্বভাবতই বিধানসভা নির্বাচনের আগে দিলীপ ঘোষের এই মন্তব্য নিঃসন্দেহে চর্চার কেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলা রাজনৈতিক মহলে।

এদিকে তৃণমূলে পিসি ভাইপো ছাড়া আর কেউ থাকবে না বলেও খোঁচা দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, “তৃণমূলে কোনদিন ভদ্রলোক থাকতে পারবে না. যাদের মান সম্মান আছে, তাদের পক্ষে তৃণমূলে থাকা সম্ভব না। ওটা পিসি ভাইপোর পার্টি হয়ে গেছে।” অনেকে বলছেন, দলের পুরোনো নেতাকর্মীদের অপেক্ষা নতুন নেতা কর্মীদের উত্থান নিয়ে অনেকেই ক্ষুব্ধ হতে শুরু করেছেন।

এমনকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত শীর্ষস্তরের নেতার দ্রুতগতিতে উত্থান নিয়ে দলের অনেকেই আড়ালে-আবডালে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। যার ফলে তৃণমূলের দ্বন্দ্ব ক্রমশ বাড়ছে। একের পর এক বিধায়ক থেকে শুরু করে মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে এমন কিছু মন্তব্য করছেন, যা বিধানসভা নির্বাচনের আগে অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে ঘাসফুল শিবিরের। আর এই অবস্থায় দাড়িয়ে তৃণমূলের ভবিষ্যৎ নিয়ে দিলীপ ঘোষের গলায় বিস্ফোরক মন্তব্য শাসকদলের চাপকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে তার গাড়ির উপর হামলা নিয়েও এদিন তৃনমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “আমার ওপর আগেও হামলার চেষ্টা করেছে। কিন্তু এভাবে আমাকে আটকানো যাবে না।” তবে বিজেপির দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে সরব হলেও, তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, “বাংলার মানুষ বিজেপিকে চিনে গিয়েছে। দিলীপবাবুদের বোঝা উচিত, সমুদ্র থেকে এক বালতি জল তুলে নিলে জল কমে যায় না। তৃণমূল ঠিক তেমনই।”

অর্থাৎ স্বাভাবিকভাবে এই ধরনের মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন যে, তৃণমূলের কেউ যদি দলবদল করেন, তাহলে শাসকদলের কোন্দল ক্ষতি হবে না। কেননা তাদের মাথার উপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছে। তবে দলের পুরোনো কর্মীদের একের পর এক সরব হওয়ার ঘটনা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে সেই সমস্ত নেতাকর্মীদের নিজেদের দলে আসবার আহ্বান জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বিধানসভা নির্বাচনের আগে শোরগোল তুলে দিলেন। যদি সত্যি সত্যিই এই সমস্ত দলের নেতাকর্মীরা দিলীপ ঘোষের আহ্বানে বিজেপিতে যোগ দেন, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস যে অত্যন্ত চাপে পড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে পরিস্থিতি গোটা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!