এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুকে নিয়ে চুপ বাবা শিশির, ক্ষোভ,উদ্বেগের দোলাচলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, বাড়ছে জল্পনা !

শুভেন্দুকে নিয়ে চুপ বাবা শিশির, ক্ষোভ,উদ্বেগের দোলাচলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব, বাড়ছে জল্পনা !


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে দিনকে দিন জল্পনা বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজ্য রাজনীতিতে। প্রায় বেশ কিছুদিন ধরেই দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব অবলম্বন করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই হেভিওয়েট শীর্ষ নেতা। বিভিন্ন অরাজনৈতিক সভাতে গিয়ে তার নানা রকম মন্তব্য ইঙ্গিতবাহী বলেই দাবি করছে একাংশ। আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে সম্প্রতি তার বাড়িতে উপস্থিত হন তৃণমূলের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর।

কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের সঙ্গে দূরত্ব পালন করছেন, তখন তার পিতা তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির অধিকারীর নীরবতা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী যখন দলের সঙ্গে দূরত্ব অবলম্বন করছেন, তখন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে শিশির অধিকারী তাকে সতর্ক করে দেবেন, এমনটাই চেয়েছিল রাজ্য নেতৃত্ব। কিন্তু এখনও পর্যন্ত শিশিরবাবু তেমন কিছু করেননি। যার ফলে তৃণমূলের একাংশ কিছুটা হলেও ক্ষুব্ধ।

স্বাভাবিকভাবেই এতদিন শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও এখন গোটা অধিকারী পরিবার নিয়েই জল্পনা তৈরি হয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। সম্প্রতি নন্দীগ্রাম দিবসে অরাজনৈতিক সভায় উপস্থিত হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে “13 বছর পর নন্দীগ্রামের কথা মনে পড়ল!” এমন ইঙ্গিতবাহী বক্তব্য দিতে দেখা গেছে তাকে। একাংশ বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই কথা তৃনমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্য করেই বলতে চেয়েছেন। অন্যদিকে শুভেন্দুবাবুকে পাল্টা জবাব দিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নন্দীগ্রাম দিবসে একটি সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যাকে নিয়ে টালমাটাল হয়ে ছিল রাজ্য রাজনীতি।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দুবাবু যখন একের পর এক পুজো উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন, তখন দল বা নেত্রীর নাম না নেওয়ায় আরও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সামনে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যদি শুভেন্দু অধিকারীর মত হেভিওয়েট নেতা দলবদলের মতো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, তাহলে তা যে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে খুব একটা সুখকর হবে না, তা কার্যত স্পষ্ট বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আর এই পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সমস্ত রকম দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নিয়ে তাকে যাতে আরও বেশি করে দলের সক্রিয় করা যায়, তার জন্য প্রশান্ত কিশোরের মত রাজনৈতিক পরামর্শদাতা উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তারপরেও অবস্থার কোনো রকম পরিবর্তন হয়নি। তাই এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের একাংশ চাইছেন, পিতা বা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীকে সক্রিয় করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুন শিশির অধিকারী। তবে এখনো পর্যন্ত শিশিরবাবু নীরব। যার ফলে তার এই নীরবতা আরও বেশি করে জল্পনা তৈরি করছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ইতিমধ্যেই শুভেন্দু অধিকারীকে নিয়ে যখন জল্পনা তৈরি হয়েছে, তখন শিশির অধিকারী বিভিন্ন জায়গায় জানিয়ে দিয়েছেন যে, শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের রাজ্য স্তরের নেতা। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি। স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে সতর্ক বার্তা দেওয়ার মত তিনি কেউ নন। আর তার এই মন্তব্য আরও অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। তাহলে কি ছেলের বিরুদ্ধে কোনো রকম পদক্ষেপ বা কোনোরকম সতর্কবার্তা জারি করবেন না শিশির অধিকারী। বরঞ্চ গোটা পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা তৈরি হলেও, তিনি নিজের মত করেই রয়ে যাবেন! এখন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবেই যদি পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে শুধু শুভেন্দু অধিকারী নয়, গোটা অধিকারী পরিবারকে নিয়েই অস্বস্তি তৈরি হতে পারে শাসকদলের। কেননা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে শিশির অধিকারী তার ছেলে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক, এমনটাই চাইছেন তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু শিশির অধিকারী এই ব্যাপারে এক পাও যে এগোতে চাইছেন না, তা তার নীরবতাতেই কার্যত পরিষ্কার।

স্বাভাবিকভাবেই এমত পরিস্থিতিতে একদিকে শুভেন্দু অধিকারীর দলের সঙ্গে দূরত্ব স্থাপন করে একের পর এক কর্মসূচি এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তার বাবা শিশির অধিকারীর নীরবতা ক্রমশ গুঞ্জনের সৃষ্টি করছে শাসকদলের কাছে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!