করোনা আবহে সিগারেট-বিড়ি বিক্রিতে এবার আসতে চলেছে বড়সড় পরিবর্তন! পুরোটা জানলে চমকে যাবেন! অন্যান্য জাতীয় শরীর-স্বাস্থ্য September 27, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে ধূমপান থেকে শুরু করে যেকোনো মাদকদ্রব্য সেবনের ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি মূলক প্রচার দেখা যাচ্ছে সর্বত্র। তবে এমন খুব কম মানুষই আছে যাদের মধ্যে এই সচেতনতা মূলক প্রচার সাড়া ফেলেছে। বহু সমীক্ষায় দেখা গেছে সচেতনতা মূলক প্রচার চালানো হলেও মানুষের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা গড়ে উঠতে পারে না। ফলত ধূমপান থেকে শুরু করে সমস্ত কার্যও চলে তার নিয়মে। তবে এর কারণ স্বরূপ বহুদিন যাবৎ ধূমপানের খারাপ লক্ষণগুলিকেই বোঝানো হয়েছে। যার ফলে মানুষের মস্তিষ্কের আকার পরিবর্তন থেকে শুরু করে অনেক কথাই সামনে এসেছে। তবে, মানুষের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে দেশের প্রথম রাজ্য হিসেবে প্যাকেট ছাড়া বিড়ি-সিগারেট বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে চলেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের জনস্বাস্থ্য বিভাগ কর্তৃক জারি হওয়া ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, খোলা সিগারেট, বিড়ি আর বিক্রি করা যাবে না। আর এর উদ্দেশ্য হিসেবে মানুষের মধ্যে ধূমপান বিরোধী সচেতনতা গড়ে তোলাকেই নির্দেশ করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মহারাষ্ট্রের ধূমপায়ীদের সংখ্যা গোটা দেশের মধ্যে সবচেয়ে কম বলেই জানা গেছে ২০১৬ সালের এক সমীক্ষায়। এবার সেখানে তারা আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলো বলেই জানা গেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, সিগারেট এবং অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্য, যেমন নিষিদ্ধ বিজ্ঞাপন এবং বাণিজ্য, উৎপাদন, সরবরাহ ও বিতরণ নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৩-এর ৭ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারার আওতায় খোলা সিগারেট ও বিড়ি বিক্রিতে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বস্তুত প্যাকেট কিনলে প্যাকেটের গায়ে মুদ্রিত বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ সংক্রান্ত তথ্য গ্রাহকদের নজরে আসবে। এর ফলে তাঁরা নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে পারবেন। কিন্তু খোলা সিগারেট, বিড়ি ক্রয় করলে এমনটা হবে না। তাই এমন সিদ্ধান্ত বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে এই বিষয়ে বলতে গিয়ে ডাক্তারদের তরফে জানা গেছে, অনুমান করা গেছে এই নিয়মের ফলে কমবয়সি ক্রেতারা মুশকিলে পড়তে পারেন। তাদের কাছে সাধারণত গোটা প্যাকেট কেনাটা আর্থিকভাবে সমস্যার হতে পারে। তবে বড়দের ক্ষেত্রেও এটা একটা চাপ তৈরি করতে পারবে। কেননা খোলা সিগারেট কিনলে করবৃদ্ধির বিষয়টা ততটা বোঝা যায় না। অথচ গোটা প্যাকেট কিনলে সেটা বোঝা যায়। ফলে ১০ শতাংশ করবৃদ্ধিতে ধূমপায়ীদের সংখ্যা ৮ শতাংশ কমে বলেই দেখা গিয়েছে। তাই অনেকেই কর এড়াতে গোটা প্যাকেট কেনেন না। এবার এই নিয়মে তাঁরা গোটা প্যাকেট কিনতে বাধ্য হবেন। ফলে করের সঙ্গে সঙ্গে সতর্কতাও বাড়বে। আর পকেটে টান পড়বে। তাই মানুষের মধ্যে এটা কাজ করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -