এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > বড় খবর: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের শেষে ইউরোপের এই দেশে মাইকে আজানের অধিকার ফিরে পেলেন মুসলিমরা!

বড় খবর: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের শেষে ইউরোপের এই দেশে মাইকে আজানের অধিকার ফিরে পেলেন মুসলিমরা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে মামলা লড়ার পর অবশেষে নিজেদের ধর্মীয় অধিকার ফিরে পেলেন ইউরোপের এক জনগোষ্ঠীর মানুষ। জানা গেছে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর শেষমেষ মাইকে আজান দেওয়ার অধিকার ফিরে পেলেন সেখানকার মুসলিম জনগোষ্ঠী। একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৫ সালে দিতিব জনগোষ্ঠীর মানুষ স্থানীয় এক মসজিদে মাইকে আজান দেওয়ার মাধ্যমে অন্যদের ধর্মীয় স্বাধীনতা হরণ করছে এই অভিযোগ ওঠে। ইউরোপের ওয়ের-এরকেন্সউইক শহরের প্রশাসনের কাছে অন্যদের ধর্মীয় স্বাধীনতা লঙ্ঘনের হচ্ছে বলে এটা বন্ধ করার আবেদনও জানানো হয়।

এরপরই সেখানকার প্রশাসন তুর্কিস ইসলামিক সম্প্রদায়ের মানুষদের দুপুর ১২ থেকে ২টোর মধ্যে মাত্র ১৫ মিনিট মসজিদের মাইক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিল। কিন্তু, মসজিদ থেকে মাত্র ৯০০ মিটার দূরে থাকা এক দম্পতি প্রশাসনের ওই অনুমোদনের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলা দায়ের করেছিল। ওই দম্পতির অভিযোগ ছিল, মাইকে আজান দেওয়ার কারণে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আর সেই মামলার ভিত্তিতেই দিতিব জনগোষ্ঠীর ওই মসজিদে আজান দেওয়ার উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। সম্প্রতি সেই মামলার শুনানিতে আদালত ওই মামলাকারী দম্পতির আবেদন খারিজ করে দিয়ে দিতিব সম্প্রদায়ের মানুষদের মাইকে আজান দেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

ঘটনাটি ঘটেছে, জার্মানির উত্তর রাইন-ওয়েস্টফালিয়া প্রদেশের ওয়ের-এরকেন্সউইক শহরে। এদিন আদালতের তরফে জানানো হয় যে, আমরা সমাজবদ্ধ জীব। আর সমাজে অনেক ধর্মেরই মানুষ বসবাস করেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক ধর্মের মানুষকেই এটা মেনে নিতে হবে যে অন্যরাও তাঁদের ধর্মীয় আচরণ পালন করবেন। যতক্ষণ না অন্যদের ওই ধর্মীয় আচরণ মানতে বাধ্য করা হচ্ছে, ততক্ষণ অভিযোগ করার কোনও সুযোগ নেই। যদিও বিষয়টিকে কেন্দ্র করে খুশির আমেজ বইছে স্থানীয় তুর্কিস ইসলামিক সম্প্রদায়ের ‘দিতিব জনগোষ্ঠীর মানুষদের মনে, তবুও অন্য ধর্মের মানুষদের মধ্যে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলেই জানা গেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আজান শব্দের অর্থ, ঘোষণা ধ্বনি। সাধারণত আরবী বাক্য সমূহের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে উচ্চকণ্ঠে আহবান করাকে ‘আজান’ বলা হয়। ১ম হিজরী সনে এর প্রচলন হিয়েছিল বলে জানা যায়। আজান শব্দের মূল উদ্দেশ্য হল অবগত করানো। এই শব্দের আরেকটি বুৎপত্তিগত অর্থ হল “শোনা”। পবিত্র কোরানে মোট পাঁচবার এই শব্দটি এসেছে বলে জানা যায়। এছাড়া এরসময় হিসেবে প্রতিদিন সকাল এবং রাতের বিভিন্ন সময়ে পাঁচ বার আজান দেওয়া হয়। তবে নামাজের সময় আজান দেওয়া হয়। সূর্য উদিত হওয়ার আগের মুহূর্তে, সূর্য অস্ত যাওয়ার কিছু আগে, সূর্যের প্রখরতা থাকতে থাকতে, সূর্য অস্ত যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার পর রাতের এক তৃতীয়াংশে নামাজ পড়া হয়ে থাকে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!