প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান করোনা পরিস্থিতি মোকবিলায় রাজ্য সরকার চূড়ান্ত ব্যর্থ, এমনি অভিযোগ যখন বারবার উঠে আসতে শুরু করেছে রাজ্যের বিভিন্ন বিরোধী দলের পক্ষ থেকে। ঠিক সেই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করল রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তি পরিষদের তরফ থেকে রাজ্য সরকারকে বার্তা দেওয়া হলো, ” আপনাদের হাতে নিরাপদে মানুষ “। ফলত করোনা সংকটের ভয়াবহতার মধ্যেও  আবার একটি আন্তর্জাতিক মহলের প্রশংসার পালক জুড়ে গেল রাজ্য সরকারের মুকুটে।

সংবাদ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের অনুমোদিত সংস্থা ওয়ার্ল্ড প্রিন্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে জাপানে একটি বিশেষ বৈঠকের আয়োজন করা হয়। আর এই বৈঠক মঞ্চ থেকেই দেশের সাম্প্রতিক করোনা সংকটকালে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রয়াসকে বিশেষভাবে প্রশংসা জানান হয়। ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ কতৃক রাজ্যকে পাঠানো হলো ‘সিম্বল অফ গ্র্যাটিটিউড’ এর বিশেষ শংসাপত্র।

গতকাল রাজ্যের মন্ত্রী ও সেইসঙ্গে রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল মাঝিকে ইমেলের মাধ্যমে রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তি পরিষদের পক্ষ থেকে এই বিশেষ বার্তাটি পাঠানো হয়। যেখানে লেখা হয়েছিল, “ আমাদের প্রতিনিধি মারফৎ আমরা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার এবং আপনার বিষয়ে জানতে পেরেছি। করোনা পরিস্থিতিতে আপনাদের মানবদরদী মুখ্যমন্ত্রীর দারুণ কৃতিত্বের বিষয়েও জেনেছি। মানবজাতি আপনাদের নিরাপদ হাতে রয়েছে। কৃতজ্ঞতা এবং প্রশংসার প্রতীক হিসেবে আপনাদের একটি শংসাপত্র তুলে দিতে পেরে আমরা গর্বিত। ”

এমনকি রাজ্যের প্রতিনিধিদের করোনা নিয়ন্ত্রণের কৃতিত্ব হেতু বিশেষ সন্মান জ্ঞাপনার্থে জাপানে আমন্ত্রণ পর্যন্ত জানানো হয়েছে ইউনাইটেড নেশন ওয়ার্ল্ড পিস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে। যা রাজ্য সরকারের গৌরব বৃদ্ধি করেছে।

অন্যদিকে রাজ্যের একজন বিশিষ্ট করোনা যোদ্ধা হিসেবে এবার আন্তর্জাতিক সম্মান পেতে চলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী ও সেইসঙ্গে রাজ্যের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্মল মাঝি। নিজের এই সন্মান প্রাপ্তি সঙ্গে নির্মল বাবু জানালেন, “ দিদির সততা এবং দায়বদ্ধতার কাজে আমি একজন সৈনিক মাত্র। দিদির কাছ থেকেই শেখা সারাদিন কীভাবে কাজ করে যেতে হয়।”

করোনা যোদ্ধা হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্মান প্রাপ্তির পূর্ণ লগ্নে উচ্ছ্বসিত মন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, “করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতে প্রায় ১৮ ঘণ্টাই বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরে বেরিয়েছি। কখনও মেডিক্যাল কলেজ, কখনও বেলেঘাটা আইডি, কখনও বা চিত্তরঞ্জনের মতো হাসপাতাল। সরকারি ক্ষেত্রে কীভাবে মানুষকে ভাল পরিষেবা দেওয়া যায় সেই দিকে খেয়াল রেখেছি, আজকের এই সম্মান আমি আমার পথপ্রদর্শক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করলাম।”

প্রসঙ্গত, করোনা সংকট কালে রাজ্য সরকারের প্রয়াসের এই আন্তর্জাতিক সন্মান ও স্বীকৃতির বিষয়টিকে বিশেষ তাৎপর্যবাহী বলেই অভিমত রাজ্যের বিভিন্ন মহলের। এর ফলে, একদিকে রাজ্য সরকারের যেমন গৌরব বৃদ্ধি পেল, তেমনি করোনা নিয়ন্ত্রণে রাজ্য সরকারের প্রতি বিরোধীদের অভিযোগও অনেকটাই ফিকে হয়ে এলো।