এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > নির্বাচনের আগে ফের পরিবর্তনের স্লোগান রাজ্যে! নয়া সমীকরণে জল্পনা!

নির্বাচনের আগে ফের পরিবর্তনের স্লোগান রাজ্যে! নয়া সমীকরণে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –এককালে বিগত বাম সরকারের আমলে পশ্চিমবঙ্গে পরিবর্তনের স্লোগান তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। “পরিবর্তন চাই” স্লোগানে রাজপথের বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার আকারে চোখে পড়তে দেখা গিয়েছিল। তবে আবার কি একটা পরিবর্তনের স্লোগান উঠতে চলেছে রাজ্যে! বর্তমানে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে এবার বিরোধী হিসেবে রাজ্যে ফের “পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই” বলে শ্লোগান তুলতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

একসময় বিগত বাম সরকারের আমলে যে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় পরিবর্তন চাই বলে শ্লোগান তুলেছিলেন, এখন তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী আসনে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে তারা তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তৃণমূলের প্রতিপক্ষ বিজেপির পক্ষ থেকে পরিবর্তনের পরিবর্তন দরকার বলে দাবি করতে শুরু করেছেন। আর এখানেই প্রশ্ন তৈরি হয়েছে, তাহলে কি সত্যিই এবার আর একটা পরিবর্তন হতে চলেছে রাজ্যে!

পর্যবেক্ষকদের একাংশ বলছেন, যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙতে শুরু করেছে, তাতে এককালে তৃণমূল নেতারা এখন তৃণমূলের বিড়ম্বনার কারণ। মুকুল রায় থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী বিগত বাম সরকারের আমলে তৃণমূলের হয়ে যেভাবে ব্যাটিং করা শুরু করেছিলেন, তাতে বাড়তি মাইলেজ পেয়েছিল শাসকদল। একাংশের দাবি, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা লড়াই, আন্দোলন করে কখনই রাজ্যে পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারতেন না। এক্ষেত্রে তার দুর্দিনের সৈনিকরা তার যে বড় অবলম্বন ছিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

কিন্তু এখন সেই চাণক্য হিসেবে পরিচিত মুকুল রায় থেকে শুরু করে অর্জুন সিংহ, সৌমিত্র খাঁ থেকে শুরু করে শুভেন্দু অধিকারী, সকলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ক্ষমতাচ্যুত করতে তৎপর হয়ে উঠেছেন। যার ফলে সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তাহলে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত নেতাদের নিয়ে যেভাবে বামেদের অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন, এবার সেই সমস্ত নেতারাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধী টিমে নাম লিখিয়ে তাকে ক্ষমতাচ্যুত করার দিকে এগিয়ে যাবেন! কারা শেষ হাসি হাসবে, তা ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে। কিন্তু তার আগে যেভাবে আর একটা পরিবর্তনের দাবি উঠতে শুরু করেছে রাজ্যে, তাতে পরিবর্তন যে প্রতি বিধানসভা নির্বাচনে বড় শ্লোগান হয়ে দাঁড়াচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা।

একাংশের দাবি, বিজেপি রাজ্যে “পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই” দাবি তুললেও বাস্তব চিত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান মুখ, তা সকলেই জানেন। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে কে মুখ, বাংলার মানুষ এখনও পর্যন্ত জানতে পারেনি। স্বাভাবিক ভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যিনি টিম ক্যাপ্টেন হিসেবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাঁড়ান না কেন, তিনি এমনিতেই দশ শূন্য গোলে হেরে যাবেন বলে দাবি করছেন তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে বিজেপির পাল্টা দাবি, বাংলার মানুষ বিগত 10 বছর ধরে তৃনমূল সরকারের অত্যাচার দেখেছে। বাংলায় গণতন্ত্র বিপন্ন। তাই মানুষ জবাব দেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছে। এক্ষেত্রে মুখ নয়, বিজেপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই আগামী নির্বাচনে সকলেই বিজেপিকে সমর্থন করবেন। তবে দিনের শেষে জনতার মনে দুই প্রকারের প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, বামেদের সময় এই পরিবর্তনের আওয়াজ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় এসেছেন। তারপর বহু বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই দেখা গেছে রাজনৈতিক সন্ত্রাস, গন্ডগোল, এমনকি তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব।

অর্থাৎ বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অন্য দল থেকে আসা নেতাকর্মীরা তৃণমূলের শীর্ষ স্থানে বসে যাওয়ায় অশান্তি ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক্ষেত্রে বিজেপিতে এখন সেই প্রবণতাই দেখা দিতে শুরু করেছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকেই এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। স্বাভাবিকভাবেই দলের পরিবর্তন হলেও ব্যক্তিরা একই থেকে যাওয়ায় বিজেপি আসাতে আদৌ উন্নতি হবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে জনসাধারনের মনে। আর এই সংশয় ভোটবাক্সে কিভাবে প্রতিফলিত হয়, মানুষ আবার একটা পরিবর্তনের পক্ষে রায় দেন, নাকি 2011 সালে যে পরিবর্তন হয়েছিল, সেই পরিবর্তনের দিকেই সমর্থন করেন জনতা জনার্দন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!