এখন পড়ছেন
হোম > বিশেষ খবর > নির্বাচনের পূর্বে কোথা থেকে আসছে এতো বোমা? উদ্বেগ বাড়ছে নির্বাচন কমিশনের

নির্বাচনের পূর্বে কোথা থেকে আসছে এতো বোমা? উদ্বেগ বাড়ছে নির্বাচন কমিশনের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজ্যের নানা স্থান থেকে বারবার বোমা, বন্দুক, কার্তুজ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ভাঙ্গড় থেকে একাধিকবার, নানুর থেকেও সম্প্রতি বোমা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বর্ধমানে বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় এক শিশুর দেহ। বারবার এভাবে বোমা মেলায় যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে বৈঠক চলে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা শাসকের।

উত্তরবঙ্গের জেলাগুলির পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার ও জেলা শাসকের সঙ্গে সরাসরি ও দক্ষিণ বঙ্গের জেলা শাসক, পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করে বৈঠক চলে কমিশনের। এই বৈঠকে বোমার প্রসঙ্গ উঠে আসে। এ বিষয়ে বিশেষ সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হলো কমিশনের পক্ষ থেকে।

গত সোমবার বর্ধমানের রসিকপুরে বল ভেবে বোমা হাতে নিয়ে যেভাবে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে, তাতে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের পূর্বে এত বোমা কিভাবে আসছে রাজ্যে? সেই প্রশ্ন উঠেছিল বৈঠকে। নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচন চলাকালীন যদি বারবার এরকম বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে, তবে ভোটদানের হার কমে যাবে বলে জানাল নির্বাচন কমিশন। সেদিন, রসিকপুরে বিস্ফোরণে আহত হয়ে যাওয়া শিশুর ব্যাপারে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিস্ফোরণের ঘটনায় বর্ধমানের পুলিশ সুপারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে নির্বাচন কমিশনকে। জানা গেছে, বর্ধমানের পুলিশ সুপারকে, জেলা পুলিশের শীর্ষ পদাধিকারীকে অপসারণ পর্যন্ত করা হতে পারে। আবার ব্যারাকপুর, হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে সতর্ক করা হয়েছে বৈঠকে। তবে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের উপরে সন্তুষ্ট নির্বাচন কমিশন। হাওড়ার পুলিশ সুপার(গ্রামীণ)কে বিশেষভাবে সতর্ক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

এই বৈঠকে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, রাজ্যে যতগুলি স্পর্শকাতর বুথ আছে, তার মধ্যে ৫০ শতাংশ বুথে ওয়েব কাস্টিং করতে হবে। নির্বাচন চলাকালীন কোথাও ঝামেলা হলে, যদি নির্বাচন কমিশন তার ফুটেজ না পায়, সে ক্ষেত্রে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের দায়ী থাকতে হবে। তাই, এ বিষয়ে বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, এবারের নির্বাচন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলবে। তাই সমস্ত বুথেই উপযুক্ত আলোর ব্যবস্থা করতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!