এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নির্দোষ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা বালুর, তবে আসল দোষী কারা? বড় প্রশ্ন বিজেপির!

নির্দোষ প্রমাণের মরিয়া চেষ্টা বালুর, তবে আসল দোষী কারা? বড় প্রশ্ন বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় সম্প্রতি গ্রেপ্তার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তারপরেই তিনি একটি বিস্ফোরক দাবি করেছিলেন যে, তাকে ফাঁসানো হয়েছে এবং সবটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন। আর মন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরেই বিরোধীদের তরফে দাবি করা হচ্ছে, তাহলে যে দুইজনের নাম জ্যোতিপ্রিয়বাবু নিয়েছেন, তাদেরকে ডেকে এবার জেরা করা হোক। তাহলেই তো সঠিক তথ্য সামনে আসবে। আজ সেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ইডি হেফাজত শেষ হচ্ছে। আবার তাকে আদালতে তোলা হবে। আর আদালতে যাওয়ার মুখেই আবার নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে বসলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী এবং বর্তমান বনমন্ত্রী। তবে মন্ত্রী এই দাবি করার পরেই তার দিকে প্রশ্ন ছুড়ে তৃণমূলের অস্বস্তি বাড়িয়ে দিচ্ছে বিরোধীরা। বিরোধীদের তরফে এবার যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তাতে প্রচন্ড বিড়ম্বনায় পড়বে রাজ্যের শাসক দল।

প্রসঙ্গত,  আজ আদালতে যাওয়ার মুখেই সংবাদমাধ্যমের সামনে ফের দাবি করেন, তিনি নির্দোষ। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে দোষী কারা? জ্যোতিপ্রিয়বাবু রেশন বন্টন দুর্নীতিতে জড়িত বলেই তো তাকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করেছে। আর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গ্রেফতারি যদি ভুলই হত, তাহলে তো আদালত প্রথম দিনেই তাকে জামিন দিয়ে দিত। বরঞ্চ তাকে ইডি হেফাজতে রাখা হয়েছিল। ফলে আজ তিনি যতই নিজেকে নির্দোষ বলে চেঁচানোর চেষ্টা করুন, আদালতেই আসল বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। তার জামিন পাওয়ার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীন বলেই মনে করছেন একাংশ। তবে নিজেকে নির্দোষ বলে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অন্য কারও দিকে বড় ইঙ্গিত করার চেষ্টা করছেন বলেও দাবি বিরোধীদের। কিন্তু কার দিকে তিনি ইঙ্গিত করার চেষ্টা করছেন! কেই বা সেই ব্যক্তি?

বিজেপির দাবি, রেশন বন্টন দুর্নীতি যে হয়েছে, তা তো দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। ফলে কেউ না কেউ তো সেই দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক হয়তো নিজেই সবটা করেননি। কিন্তু তিনিও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এর পেছনে বড় কোনো মাথা না থাকলে একা এত বড় কাজ করা সম্ভব হত না মন্ত্রীর পক্ষে। তাই আসল মাথাকে এবং মূল পান্ডাকে এবার গ্রেফতার করতে হবে। কারা প্রকৃত দোষী, কারা এর পেছনে জড়িত, তাকে এই কাজ করতে কে বা কারা পিছন থেকে ইন্ধন দিয়েছে, সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনুন জ্যোতিপ্রিয়বাবু। তাহলেই আসল লোককে গ্রেফতার করে সাজা দেওয়া সম্ভব হবে বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এত ক্ষমতা, মন্ত্রী পদ, এসির হাওয়া, আরাম, বিরামে থাকা তো অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীদের। যার কারণে পার্থ চট্টোপাধ্যায় প্রথম জেলে যাওয়ার পর এই একই দাবি করেছিলেন। তিনিও বলেছিলেন, তিনি নাকি নির্দোষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিনি জেলে রয়েছেন। ফলে তার বিরুদ্ধে কোনো না কোনো প্রমান রয়েছে। তা না হলে তো এমনি এমনি তাকে জেলে রাখা হয়নি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকেরও সমান পরিস্থিতি হবে। তাকেও জেলেই থাকতে হবে বলেই দাবি বিরোধীদের। তবে নিজেকে নির্দোষ বলার পাশাপাশি কাদের দিকে দোষের আঙ্গুল তুলছেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক! এবার সেই রহস্য উদঘাটন করার দিকে নজর দেওয়া উচিত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। তাহলেই বড় কোনো রাঘববোয়াল ধরা পড়বে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!