এনআরসির হয়রানি থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীকে “পরামর্শ” সুজন চক্রবর্তীর কলকাতা জাতীয় রাজ্য September 25, 2019 এনআরসি নিয়ে বর্তমানে উত্তপ্ত রাজ্য রাজনীতি। অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশের পর আতঙ্ক ছড়িয়েছে এরাজ্যেও। বিজেপি নেতাদের অনেককেই দাবী করতে দেখা গেছে, এবার বাংলায় এনআরসি হবে। আর গেরুয়া শিবিরের নেতারা এই দাবি করায় 1971 সালের আগের প্রমাণপত্র জোগাড় করতে রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছেন অনেকেই। তবে বরাবরই তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন যে, বাংলায় তিনি কোনো এনআরসি হতে দেবেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও সেই 1971 সালের আগের কাগজপত্র না পেয়ে ইতিমধ্যেই সেই এনআরসির বলি হয়েছেন রাজ্যের প্রায় 10 জন মানুষ। আর এহেন একটা পরিস্থিতিতে কেউ কোনো গুজবে কান দিয়ে নিজের প্রাণ নষ্ট করবেন না। রাজ্য সরকার সব সময় সকলের সাথে আছে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এনআরসি নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষের উৎকণ্ঠা দূর করতে এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠি লিখলেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, সাধারণ মানুষ যাতে হঠাৎ করেই পুরনো ভোটার তালিকার কপি হাতে পেতে পারেন, সেজন্য রাজ্য সরকারের পদক্ষেপ করা উচিত বলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন সুজনবাবু। কেননা এই কপি পেয়ে গেলেই রাজ্যের অনেক মানুষের আতঙ্ক কেটে যাবে বলে মনে করেন এই বামনেতা। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা চিঠিতে সুজন চক্রবর্তী বলেন, “অসমের মত বাংলাতেও নাগরিকপঞ্জি নিয়ে বিভ্রান্তির জেরে মানুষের মধ্যে প্রবল আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এখনও পর্যন্ত 10 জন মানুষ আত্মঘাতী হয়েছেন। এই অবস্থায় রাজ্য প্রশাসনের উচিত বেশি করে সহযোগিতার হাত বাড়ানো। অবিলম্বে 1951 সালের পরবর্তী যাবতীয় ভোটার তালিকা সরকারি ওয়েবসাইটে আপলোড করার ব্যবস্থা করা দরকার। ওয়েবসাইটে আপলোড করার পাশাপাশি তালিকার প্রত্যয়িত নকল জেলাশাসক, এসডিও, বিডিওরা যাতে দিতে পারেন, তার জন্য ক্ষমতা প্রদানের ব্যবস্থা করুক সরকার।” তবে সুজনবাবু রাজ্যের মানুষের আতঙ্ক কাটাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই প্রস্তাব দিলেও এখন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান বিরোধী নেতার এই প্রস্তাব আদৌ গ্রহণ করে তা কার্যকর করেন কিনা, এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে। আপনার মতামত জানান -