এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ঔদ্ধত্যের শেষ সীমা লঙ্ঘন!ব্রাত্যকে দিয়ে ভয়ঙ্কর কাজ করালেন মমতা? সোচ্চার বিজেপি!

ঔদ্ধত্যের শেষ সীমা লঙ্ঘন!ব্রাত্যকে দিয়ে ভয়ঙ্কর কাজ করালেন মমতা? সোচ্চার বিজেপি!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যপালের কাজকর্ম তাদের পছন্দ নয়। আর সেই কারণে এবার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে শেষ সীমা লংঘন করলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু। অন্তত বিশেষজ্ঞরা তেমনটাই বলছেন। সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী বললেন, কেন্দ্রীয় সরকার নাকি প্রাচীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের মতো বাংলায় একজন বিদূষক পাঠিয়ে দিয়েছেন। অর্থাৎ এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে বাংলার বর্তমান রাজ্যপালকে গোপাল ভাঁড়ের সঙ্গে তুলনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভার এই হেডিওয়েট মন্ত্রী। যা দেখে অনেকে বলছেন, এতটা ঔদ্ধত্য না দেখালেই ভালো হত। সাংবিধানিক প্রধানকে ন্যূনতম সম্মান না দেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু করেছে রাজ্য সরকার, তার খেসারত দিতে হতে পারে রাজ্যকে।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় গুলোকে নিয়ে রাজ্যপালের একের পর এক সিদ্ধান্ত রীতিমতো সরকারের বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে শেষ কথা বলবেন উপাচার্য। এক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশ মানতে বাধ্য নন তারা। আর এই নির্দেশিকায় রীতিমতো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠেছে রাজ্য সরকার। এর মাঝেই রাজ্যের 16 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্তি উপাচার্য নিয়োগ করেছেন রাজ্যপাল। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আর চুপ থাকতে না পেরে রীতিমত সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। যেখানে গোপাল ভাঁড়ের নাম উচ্চারণ না করলেও, তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, প্রাচীন রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজসভায় যে বিদূষক ছিল, সেই বিদূষককেই কেন্দ্রীয় সরকার বাংলায় পাঠিয়ে দিয়েছেন।

বিজেপির দাবি, রাজ্যের কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সঠিকভাবে চলুক, তা কোনোমতেই চাইছে না রাজ্য সরকার। তাদের ইচ্ছেমতো তারা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে পরিচালনা করতে চাইছে। তবে এক্ষেত্রে রাজভবনের সঙ্গে তাদের মতপার্থক্য হলেও যে কায়দায় শিক্ষামন্ত্রীকে দিয়ে রাজ্যপালকে আক্রমণ করালেন মুখ্যমন্ত্রী, তা নিন্দা জানানোর বাইরে চলে গিয়েছে। একজন সাংবিধানিক প্রধানকে ন্যূনতম সম্মান না দিয়ে তাকে বিদূষকের সঙ্গে তুলনা করে মুখ্যমন্ত্রী থেকে শিক্ষামন্ত্রী এবং সর্বোপরি রাজ্যের শাসকদল ঔদ্ধত্যের শেষ সীমা লঙ্ঘন করেছেন বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, হয়তো মুখ্যমন্ত্রী নিজে সাংবাদিক বৈঠকে সমস্ত কথা বলেননি। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে কেউ কোনো মন্তব্য করলে তা যে মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি ছাড়া করেন না, তা বুঝতে বাকি নেই কারোরই। সেদিক থেকে ব্রাত্য বসু রাজ্যপালের উদ্দেশ্যে যে মন্তব্য করেছেন এবং যে ভাষা প্রয়োগ করেছেন, তার দায় যে মুখ্যমন্ত্রীর ওপরেও বর্তায়, তা কিন্তু ভুললে চলবে না শাসক শিবিরকে। আর একজন সাংবিধানিক প্রধানকে এইরকম অপমানের মাশুল হয়তো ভবিষ্যতে চোকাতে হতে পারে সরকার বাহাদুরকে। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!