এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে তটস্থ মমতা! বিপাকে পড়তে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারও! স্পষ্ট ইঙ্গিত!

কেন্দ্রীয় এজেন্সির ভয়ে তটস্থ মমতা! বিপাকে পড়তে চলেছে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারও! স্পষ্ট ইঙ্গিত!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে ভয় দেখাচ্ছে, তৃণমূল এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তরফ থেকে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। তবে এজেন্সির তৎপরতার কারণে এবার কি নিজের পরিবারকে নিয়ে কিছুটা ভয়ে রয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী! প্রশ্নটার আলোকপাত এমনি এমনি হচ্ছে না। প্রশ্নটা উঠছে, তার কারণ, আজ একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এজেন্সির অতি সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলার পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উসকে দিয়েছেন আশঙ্কার সম্ভাবনাকে। যেখানে তিনি দাবি করেছেন যে, তার পরিবারকেও এজেন্সি দিয়ে বিরক্ত করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এদিন ব্যবসায়ীদের একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে কেন্দ্রীয় এজেন্সির সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ব্যবসায়ীদের এজেন্সি ভয় দেখাচ্ছে। আমার পরিবারকেও হয়রানি করা হচ্ছে। সবটাই রাজনৈতিক প্রতিহিংসা। জীবনে কারও কাছ থেকে এক কাপ চা খাইনি। তা সত্ত্বেও এমন করা হচ্ছে।” আর যে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আমার নিজস্ব কোনো পরিবার নেই, মানুষই আমার পরিবার। তিনি হঠাৎ করে নিজের পরিবারকে নিয়ে চিন্তিত হয়ে যাওয়ার কারণে নানা মহলে তৈরি হয়েছে গুঞ্জনের আবহ।

বলা বাহুল্য, লিপস এন্ড বাউন্স কোম্পানি নিয়ে বিস্তর জলখোলা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের একাংশ বলছেন, এর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের বেশ কিছু সদস্যও জড়িত। স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এজেন্সির বিরুদ্ধে তার পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ সেদিকেই ইঙ্গিত করছে কিনা, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। অনেকে আবার এটাও বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চট করে নিজের পরিবার সম্পর্কে ভালো, মন্দ প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্যই করতে দেখা যায় না। হয়তো পরিস্থিতি এতটাই সংকটজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে তার এবং তার পরিবারের ক্ষেত্রে, যার কারণে এবার বাধ্য হয়েই কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে নিজের পরিবারকে হয়রানি করার অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে সরব হতে দেখা গেল বাংলার প্রশাসনিক প্রধানকে।

বিরোধীদের দাবি, সবে তো খেলা শুরু হয়েছে। দুর্নীতির সঙ্গে যে মুখ্যমন্ত্রী এবং তার পরিবার আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়েছেন, তা তদন্তেই প্রমাণিত হবে। তাই ভয় থেকেই এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে মন্তব্য করে পালানোর রাস্তা খুঁজছেন মুখ্যমন্ত্রী।পর্যবেক্ষকদের মতে, নিয়োগ দুর্নীতি থেকে শুরু করে একাধিক বিতর্কিত বিষয়ে তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীদের জেলযাত্রা নতুন কিছু নয়। বিরোধীদের দাবি অনুযায়ী, যত সময় যাবে, ততই তৃণমূলের ওপর তলার হেভিওয়েট মাথারাও ফাসতে শুরু করবে। ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর এক ভাই এবং তার স্ত্রীকে নিয়ে মন্তব্য এবং কটাক্ষ করতেও দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে।

স্বভাবতই যে মুখ্যমন্ত্রীর কোনো পিছুটান নেই, মানুষই তার পরিবার, তিনি হঠাৎ করে পরিবারকে হয়রানি করা হচ্ছে বলে যে মন্তব্য করলেন, তাতে কিন্তু রাজনৈতিক মহলের একাংশ তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ মহলের কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখতে শুরু করেছে। তৃণমূল বিরোধী মহলের দাবি, খেলা এখন মধ্য পর্যায়ে, আর সেটা বুঝতে পেরেছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাই প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে সরব হলেও, তার যে কিছুটা হলেও ভয়ে রয়েছে, তা তার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ থেকে শুরু করে বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!