এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > অন ডিউটি’ নিয়ে বিতর্কের জের – রাজ্যের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শিক্ষাদপ্তর

অন ডিউটি’ নিয়ে বিতর্কের জের – রাজ্যের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে শিক্ষাদপ্তর

দীর্ঘদিন ধরেই স্কুলের পরিচালন ব্যবস্থার অবনতি হচ্ছে প্রধান শিক্ষককে দুটি পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষক হিসাবে নিয়োগ করার জেরে। তাই প্রধান শিক্ষককে অবিলম্বে এই দায়িত্ব থেকে ভারমুক্ত করার দাবী উঠেছে শিক্ষামহল থেকে। শুধু প্রধান শিক্ষক নয়,সাবজেক্ট টিচারদেরও যাতে একই সঙ্গে দুই পরীক্ষার প্রধান পরীক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া না হয়,সে দাবীও তোলা হয়। স্কুলের পঠনপাঠনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার তাগিদেই এই দাবী তোলা হয়েছে। শিক্ষকমহলের মতে,একবারে না হলেও ধাপে ধাপে এই ব্যবস্থার বদল আনা জরুরি।

কারণ,বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় স্কুল পরিচালনা সংক্রান্ত অনেক কাজ বেড়ে গিয়েছে। নিত্যনতুন কোনো না কোনো প্রকল্প প্রায় চালু হচ্ছে। এর জেরে সেগুলল তদারকির জন্য স্কুলের শিক্ষকদের সক্রিয়ভাবে যোগদান করতে হয়। ফলত পড়ানোর পাশাপাশি এই কাজের জেরে বাড়তি চাপ থাকে তাঁদের উপর। তাছাড়া যে স্কুলে প্রধান শিক্ষক নেই,সেখানে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বা সহকারী প্রধান শিক্ষকের চাপটা আরো বেশি থাকে। এমতাবস্থায় একজন শিক্ষককে দুটো আলাদা আলাদ পরীক্ষার পরীক্ষক হিসাবেম্ভাবনা থেকে যায়।

এক্ষেত্রে নিয়মে বদল আনা একান্ত জরুরি। ডিসেম্বর নাগাদ প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করা হয়। শিক্ষকমহলের দাবী তার আগেই নিয় নিয়োগ করা হলে স্বাভাবিকভাবেই পঠনপাঠন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম পরিবর্তন করা হোক। একবারে না হলেও ধাপে ধাপে নিয়মে বদল আনতে সক্রিয় হলেও কোনো আপত্তি নেই তাঁদের।

সাধারণত একজন প্রধান শিক্ষককে ১৭ দিন পর্যন্ত ‘অন ডিউটি লিভ’ দেওয়া হয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকের প্রধান পরীক্ষক হলে সেই ছুটির দিনসংখ্যা ৩৪ দিন পর্যন্তও হয়ে যায় অনেক সময়। এক্ষেত্রে সমস্যা হল,কোনো স্কুলের প্রধান শিক্ষক এতোদিন পর্যন্ত স্কুলে উপস্থিত না হলে ক্ষতিগ্রস্থ হল স্কুলের পঠনপাঠন এবং পরিচলনার বিষয়টি।

শুধু এটাই নয়,প্রধান শিক্ষককে প্রায়শই প্রশাসনিক কাজে কখনো জেলা পরিদর্শকের অফিসে,কখনো আবার সার্কেল অফিসে বা বিকাশ ভবনে যেতে হয়। সেখানে ডিরেক্টরট বা কমিশনারেটে অনেক কাজ থাকে। স্কুল ছুটি করেই সেসব কাজ করতে হয় প্রধান শিক্ষককে। এই অনডিউটি ছুটির কোনো সময়সীমা উল্লেখ করা নেই।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে শিক্ষকমহলের একাংশের অভিযোগ,অনেক ক্ষেত্রে বেশ কিছু প্রধানশিক্ষকরা অফিসের কাজ বলে ছুটি নিলেও নিজেদের ব্যক্তিগত কাজ সারেন সেসময়। সুবিধা হয়, এআই,ডিআই অফিস বা বিকাশভবনে গেলে প্রামান্য তথ্য দেখাতে হয় না তাঁদের।

ফলত সুযোগের সৎ ব্যবহার অনেকেই ভালোভাবেই করেন। এক্ষেত্রে এই সমস্যা এড়াতে শিক্ষকমহলের তরফ থেকে দাবী উঠেছে,সমস্ত দপ্তরে একটি রেজিস্ট্রেশন রাখা হোক,যেখানে প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষর বাধ্যতামূলক করা হবে। সেটাই পরে প্রামান্য তথ্য হিসাবে উঠে আসবে। আপাতত চলতি বছরের ডিসেম্বেরের আগে প্রধান শিক্ষক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি বদল আনার ক্ষেত্রে ভালোই ব্যস্ততা রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!