প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –   2014 সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, সবকা সাথ সবকা বিকাশ। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর তাদের নানা সিদ্ধান্তকে নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। সাম্প্রদায়িক আখ্যা দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে। তবে তা সত্ত্বেও প্রথমবার ক্ষমতায় আসার পর আবার দ্বিতীয়বার অর্থাৎ 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বর্তমানে তারাই দেশের শাসনভার পরিচালনা করছে। কিন্তু 2019 সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর কার্যত অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে রীতিমত তোলপাড় হয়ে উঠেছে গোটা দেশ। প্রথম ঢেউয়ের পর আবার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে মৃত্যু-মিছিল আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া কার্যত অস্বস্তিতে ফেলে দিচ্ছে কেন্দ্রের মোদী সরকারকে।

সেদিক থেকে 2014 সালের মে মাসের 30 তারিখে যখন মোদী সরকার প্রথম শপথ নিয়েছিল, তখন আবার 2021 সালের মে মাসের 30 তারিখে নয়া পরিকল্পনা নিতে চলেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। করোনা ভাইরাসকে কেন্দ্র করে বিজেপির দিকে নানা প্রশ্ন আসতে শুরু করেছে। এই অবস্থায় বর্ষপূর্তির সময় মানুষের পাশে থাকতে পরিকল্পনা গ্রহণ করল গেরুয়া শিবির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আগামী 30 মে দ্বিতীয় মোদি সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে একগুচ্ছ জনহিতকর কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যেখানে গ্রামের মানুষের কাছে করোনা ভাইরাস আটকানোর জন্য মাস্ক-স্যানিটাইজার পৌঁছে দেওয়া হবে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের দুটি করে গ্রামে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বিরোধীদের পক্ষ থেকে যখন একগুচ্ছ অভিযোগ করা হচ্ছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে, তখন বর্ষপূর্তির সময় যাতে মানুষের পাশে থেকে নিজেদের জনতার সরকার বলে প্রতিষ্ঠা করা যায়, তার জন্যই বিজেপির এই উদ্যোগ বলে মনে করছেন একাংশ।

কেননা বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে অনেক মানুষ জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছেন। রুজিরুটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাই সেখানে বর্ষপূর্তির দিনে সেই করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করার উদ্যোগ যে বিজেপিকে কিছুটা হলেও স্বস্তি পাইয়ে দেবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত একাংশ। আর সেই কারণেই মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে জনসংযোগের মধ্যে দিয়ে করোনা ভাইরাসকে বিলীন করতে মাস্ক-স্যানিটাইজার বিতরণ করার পরিকল্পনা নিচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এবার 30 মে আসলে মোদী সরকারের সাত বছর পূর্তি হবে। সেদিক থেকে এই বর্ষপূর্তিকে অন্য মাত্রায় নিয়ে যাওয়ার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু বিরোধীরা যে 7 বছরে মোদী সরকার দেশের জন্য কিছুই করেনি, সেই ব্যাপারে সোচ্চার হবে, তা বলাই যায়। পাশাপাশি করোনা ভাইরাসকে আটকাতে বিজেপির পক্ষ থেকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলেও অভিযোগ করবে বিরোধীরা।

তাই বিরোধীদের আক্রমণকে কেড়ে নিয়ে আগেভাগেই মানুষের পাশে দাঁড়াতে গেরুয়া শিবিরের এই পদক্ষেপ এবং গ্রামে গ্রামে পরিদর্শন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপি কতটা জনসমর্থন আদায় করতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।