উপনির্বাচন: বাংলায় বিজেপির ঠিক করা ২ নামের মধ্যে ‘আটকে’ যেতে চলেছেন একজন? বিশেষ খবর মেদিনীপুর রাজ্য October 28, 2019 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এক্সক্লুসিভ – জমজমাট বঙ্গ-রাজনীতি – লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই গোটাবাংলা জুড়ে যে তুমুল রাজনৈতিক ওঠাপড়া লেগেছিল, তা উৎসবের মরশুমে কিছুটা যেন স্তিমিত হয়ে পড়েছিল। কিন্তু, সেই উৎসব মিটে যেতেই বাংলায় একসঙ্গে ৩ বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন। উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জ, নদীয়ার করিমপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর। আর এই উপনির্বাচনে – এবার লড়াই হতে চলেছে ত্রিমুখী। রাজ্যের প্রধান দুই যুযুধান দল তৃণমূল ও বিজেপির পাশাপাশি, আমজনতার নজর থাকবে ২০১৬ এর পরে আবারো জোট বাঁধতে চলা বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের দিকে। গতকালই এক প্রতিবেদনে আমরা জানিয়েছিলাম, বিজেপি এই উপনির্বাচনে কালিয়াগঞ্জ থেকে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে না পারলেও, করিমপুর ও খড়্গপুরে প্রার্থী ‘প্রায়’ চূড়ান্ত করে ফেলেছে। ‘প্রায়’ কথাটি লিখতে হচ্ছে এই কারণে, কেননা এখনও ওই নামে কেন্দ্রীয় অনুমোদন আসে নি। সূত্রের খবরানুযায়ী, দুই আসনেই বিজেপি, বর্তমান রাজ্য সভাপতির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত দুই নেতাকে টিকিট দিতে চলেছে। করিমপুরের জন্য নাম গেছে রাজ্যের সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদারের। অন্যদিকে, খড়্গপুরের জন্য নাম গেছে খড়্গপুর শহর বিজেপির সভাপতি প্রেমচাঁদ ঝায়ের। কিন্তু, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় বিজেপির অন্দরমহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, জয়প্রকাশবাবুর নাম নিয়ে সেরকম কোনো আপত্তি না থাকলেও, প্রেমচাঁদবাবুকে খুব সম্ভবত টিকিট দেওয়া হচ্ছে না! দিল্লির বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিজস্ব রিপোর্ট অনুযায়ী, উপনির্বাচন হতে চলা ৩ আসনের মধ্যে সবথেকে ‘পজিটিভ’ আসন এই খড়্গপুর। এখানে কংগ্রেসের জ্ঞান সিংহ সোহনপালকে হারিয়ে দিলীপ ঘোষ বিজেপি বিধায়ক হওয়ার পর থেকেই, কার্যত হাওয়া ঘুরে গেছে। একদা কংগ্রেসের গড় বলে পরিচিত এই আসনে বিগত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি প্রায় ৪৫ হাজারের মত লিডে ছিল। সুতরাং এই আসন থেকে বিজেপি জিতবে ধরেই নেওয়া হচ্ছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তাই, এই আসন থেকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এমন একজন কাউকে প্রার্থী করতে চায়, যিনি নাকি বিধানসভায় গিয়ে ছাপ ফেলবেন! এমনিতে, বর্তমানে বিধানসভায় বিজেপির ‘সরকারিভাবে’ শক্তি ৭। ২০১৬ তে নির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন মনোজ টিগ্গা ও স্বাধীন কুমার সরকার। পরে উপনির্বাচনে জিতে বিধায়ক হন নীরাজ তামাং জিম্বা, জুয়েল মুর্মু, আশীষকুমার বিশ্বাস ও পবনকুমার সিং। এছাড়াও, তৃণমূলের বহিস্কৃত বিধায়ক শুভ্রাংশু রায় যোগ দেন বিজেপিতে। এছাড়াও যে ৮ জন বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁরা ‘সরকারিভাবে’ দলত্যাগ করেননি। কিন্তু সাত-সাতজন বিধায়ক নিয়েও সেভাবে পরিষদীয় রাজনীতিতে ছাপ ফেলতে পারছে না রাজ্য বিজেপি বলে অভিযোগ। সেক্ষেত্রে, খড়্গপুর থেকে যদি এমন কাউকে জিতিয়ে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া যায়, যিনি কার্যত নাকের জলে-চোখের জলে করে দিতে পারবেন রাজ্য সরকারকে, তবে তা জনমানসে ভালো ছাপ ফেলবে। আর তাই, খড়্গপুর আসন থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব একজন ‘দাপুটে’ নাম চাইছে। দিল্লির বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, সেক্ষেত্রে খড়্গপুরের প্রার্থী বয়সে তরুণ হওয়াও দরকার বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কেননা, তাঁকে পরিষদীয় দল নিয়ে রাজ্যের যে কোন ঘটনা ঘটলেই, যে কোন প্রান্তে ছুটে যেতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে উদয়াস্ত। যদি সঠিকভাবে প্রধান বিরোধী দলের কাজ বিজেপি এখন করে দেখাতে পারে, তাহলে তার পুরস্কার বিধানসভার সাধারণ নির্বাচনে মিলতে বাধ্য। আর তাই, অনেক ভেবেচিন্তেই এই আসনে প্রার্থী ঠিক করতে চায় বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাহলে কে হতে পারেন এই আসনে বিজেপির মুখ? প্রাথমিকভাবে ভারতী ঘোষের নাম শোনা যাচ্ছিল এই আসনের জন্য। কিন্তু, ভারতীদেবী নাকি জানিয়েছেন, তিনি ঘাটালে পরে থেকেই সেখানকার সংগঠন গড়ে তুলতে চান। সুতরাং তিনি হচ্ছেন না – এটা মোটামুটি নিশ্চিত! তাহলে কে? এই নিয়ে কেউ মুখ খুলতে না চাইলেও, বিজেপির একটা সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে, এখানে থাকতে চলেছে বড় চমক! জেলার সঙ্গে যোগ আছে ও দাপুটে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা রাখে – এই সমন্বয়েই এক ‘চমক জাগানো’ মুখই বিজেপির প্রার্থী হতে চলেছেন খড়্গপুর উপনির্বাচনে! আপনার মতামত জানান -