এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনলো নতুন নির্দেশিকা

পার্শ্ব শিক্ষকদের জন্য দুঃসংবাদ বয়ে আনলো নতুন নির্দেশিকা


পেয়েও হারানোর যন্ত্রণা! হ্যাঁ এমনটাই অনুভব করছেন এই মুহূর্তে রাজ্যের পার্শ্ব শিক্ষকরা। সম্প্রতি এ বছরের মার্চেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাথমিক এবং উচ্চ প্রাথমিক স্তরের পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন। স্কুল শিক্ষা দফতরের সচিব মণীশ জৈন একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির দাবী জানালে সে দাবী মেনে নিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেন নেত্রী।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

 এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এর জেরে প্রাথমিক পার্শ্ব শিক্ষকদের বেতন ৫৯৫৪ থেকে বেড়ে ১০ হাজার এবং উচ্চ প্রাথমিকে ৮১৮৬ থেকে বেড়ে ১৩ হাজার করা হয়েছে। বর্ধিত বেতন কার্যকর হয়েছে ১ মার্চ থেকেই। এমনটাই জানিয়েছিলেন নেতাজী ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দাঁড়িয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তবে খুশির মধ্যে দুঃখের ঢেউ বয়ে আনলো একটা খবরে। সচিবের বিজ্ঞপ্তিতে কোনো রকম উল্লেখ না করেই জানানো হল যে পার্শ্ব শিক্ষকরা আর কোনো ধরণের ইনক্রিমেন্টের জন্য তালিকাভুক্ত হবেন না। এ কথা শুনেই মাথায় হাত পড়ল রাজ্যের ৪৮,০০০ পার্শ্বশিক্ষকদের। রীতিমতো বিক্ষুব্ধ তাঁরা।

কারণ আইনে আছে, প্রতি বছর বা দু-তিন বছর বাদে বেতন বৃদ্ধি করা হয়। এটা সব ধরণের চাকরির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পার্শ্ব শিক্ষকরা আশা করেছিলেন যে সেই নিয়ম মেনেই তাঁদের বেতন তিন বছর অন্তর ৫% করে অন্তত বাড়বে। কিন্তু সে সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিয়ে সামনে এল সরকারি নির্দেশিকা। এর জেরে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়ে শাসকদলের পার্শ্বশিক্ষক সংগঠন।

এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেস পার্শ্বশিক্ষক সমিতির আহ্বায়ক গোপাল দেবনাথও তিন বছর অন্তর বেতন বৃদ্ধির নিয়মটির কথা উল্লেখ করে জানান যে সরকারের কাছে তিন বছরের বদলে প্রতি বছর বেতন বৃদ্ধির আবেদন করা হয়েছিলো। সেটা তো মুকুব করলোই না,বরং ইনক্রিমেন্টই বন্ধ করে দিলো! নিয়মানুসারে ২০১৫ সালের পরে এই বছর থেকই ইনক্রিমেন্ট চালু করার কথা ছিল। এমনটাই বলেন তিনি।

ওদিকে, পার্শ্ব শিক্ষক ঐক্য মঞ্চের পক্ষ থেকে ভগীরথ ঘোষ জানান যে,সরকার মাছের তেলেই মাছ ভাজল। বেতন বৃদ্ধি শিক্ষকদের অধিকারের মধ্যেই পড়ে। সেটা বাড়িয়ে একরকম জনসমর্থনই আদায় করলো। তখন কেউ আর ভাবেনি যে এভাবে বেতন বাড়িয়ে ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করে দেওয়ার ছক কষেছে রাজ্যসরকার! সরকারের এই ধরণের সিদ্ধান্তকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ বলেই মনে করেছেন তিনি। কারণ বর্ধিত বেতনের উপর ৫% বাড়লে প্রাথমিক শিক্ষকদের ৫০০ টাকা এবং উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষকদের ক্ষেত্রে ৬৫০ টাকা হয়।

সরকারের নতুন সিদ্ধান্তের জেরে পার্শ্ব শিক্ষকরা সেই অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। তবে এটা তাঁরা মেনে নেবেন না বলেও তিনি জানান। ইনক্রিমেন্ট পার্শ্বশিক্ষকদের অধিকার। এমনটাই জানালেন ভগীরথ বাবু। সরকারের এই নতুন সিদ্ধান্তের জেরে আইনি জটিলতার সৃষ্টি হওয়ারই আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন শিক্ষক নেতা স্বপন মন্ডল।

ওদিকে প্রশ্ন উঠেছে, ৯ জুলাই শিক্ষামন্ত্রী পার্শ্বশিক্ষকদের সঙ্গে সম্মেলন যোগ দিয়েছিলেন আর স্কুল শিক্ষা দফতরের বিজ্ঞপ্তি বেরিয়েছিলো ২ জুলাই। তাহলে সম্মেলনের দিন নতুন নির্দেশিকা সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করলেন না কেন? এর উওর পাওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলেও ফোনে পাওয়া যায়নি তাকে এমনকি মেসেজেও জবাব মেলেনি তাঁর। আপাতত এই ইস্যু নিয়ে পার্শ্ব শিক্ষকদের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে রয়েছে। তাঁরা কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে এর ভিত্তিতে,তা এখনো জানা যায়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!