কি হবে অযোধ্যা মামলার রায়? আরএসএসের বড়সড় পদক্ষেপে বাড়ল জল্পনা জাতীয় October 31, 2019 2014 সালের পর 2019 সালে ক্ষমতায় আসার আগে দেশে রাম মন্দির করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। হিন্দু ভাবাবেগে স্থান করে নেওয়ার জন্যই বিজেপির পক্ষ থেকে প্রতিবার ভোটের সময় এই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় বলে দাবি বিরোধীদের। কিন্তু 2014 সালের নির্বাচনে জেতার আগে নরেন্দ্র মোদি এই হিন্দুত্বের তাস খেললেও পাঁচ বছরের মেয়াদকালে এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ করতে দেখা যায়নি দেশের বিজেপি সরকারকে। তবে আইনের বেড়াজালে দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা অযোধ্যা মামলার রায়দানের সময় এবার ধীরে ধীরে এগিয়ে আসায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই ব্যাপারে ঠিক কি রায় দেয় আদালত, তার দিকে যেমন তাকিয়ে রয়েছে সাধারণ মানুষ, ঠিক তেমনই আরএসএস এবং বিজেপি সতর্ক দৃষ্টি রেখে চলেছে। কেননা এই রায় যদি তাদের পক্ষে না আসে, তাহলে যে গেরুয়া শিবিরকে অনেকটাই ব্যাকফুটে চলে যেতে হবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা। আর তাই তো এবার সেই অযোধ্যা মামলা নিয়ে রায়দানের আগে নিজেদের সমস্ত কর্মসূচি বাতিল করে দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, আগামী 17 নভেম্বর সুপ্রিমকোর্ট এই রাম জন্মভূমি-বাবরি মসজিদ বিতর্কিত মামলার রায় ঘোষণা করবে। আর তাই সেদিন যেমন নিজেদের সব কর্মসূচি বাতিল করল আরএসএস, ঠিক তেমনই তার আগে গোটা নভেম্বর মাস জুড়েই সমস্ত কর্মসূচিকে বাতিল করে দিতে চলেছে তারা। আর সঙ্ঘের এই কার্যকলাপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। জানা গেছে, প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর অন্তর আরএসএসের যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়, তা আগামী 31 অক্টোবর থেকে 4 নভেম্বর পর্যন্ত হরিদ্বারে হওয়ার কথা ছিল। সেখানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল স্বয়ং আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত সহ অন্যান্য শীর্ষ নেতাদের। কিন্তু অযোধ্যা মামলার রায়দানের আগে নিজেদের কোনো কর্মসূচিকে না রেখে এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক পর্যন্ত বাতিল করতে দেখা গেল আরএসএসকে। কিন্তু বিতর্কিত মামলার রায়দানের সঙ্গে এত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বাতিল করার সম্পর্ক কি? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরি করা আরএসএসের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন। এমনকি সংঘ পরিবার থেকে গেরুয়া শিবির, বারবার এই রাম মন্দিরের কথা বলেই নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়েছে। ফলে সেই রায়দান যদি তাদের বিপক্ষে যায়, তাহলে নিজেদের অস্তিত্ব অনেকটাই ক্ষুণ্ন হতে পারে। আর তাই নিজেদের সবথেকে বড় লক্ষ্য এই অযোধ্যা মামলার রায়দান পর্বকে দেখে নিয়ে নিজেদের অন্যান্য কর্মসূচি করতে চাইছে সংঘ পরিবার। অনেকে বলছেন, অযোধ্যা মামলা নিয়ে রায়ের দিকে তাকিয়ে আরএসএস এখন কিছুটা সাবধানী ভূমিকা পালন করতে চাইছে। আর তাইতো রায়ে কি হবে, তা বলা না গেলেও সেই রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে যাতে কেউ তাদেরকে কাঠগড়ায় তুলতে না পারে, তার জন্য এখন এই রায়ের আগে নিজেদের সমস্ত কর্মসূচি বানচাল করে দিল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -