এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > বিরোধের পালা কি শেষ? লোকসভাকে নজরে রেখে এবার মাদারকে শক্তিশালী করতে বড় সিদ্ধান্ত যুব তৃণমূলের

বিরোধের পালা কি শেষ? লোকসভাকে নজরে রেখে এবার মাদারকে শক্তিশালী করতে বড় সিদ্ধান্ত যুব তৃণমূলের

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে টার্গেট করেই এবার জেলার মাদার গোষ্ঠীর সংগঠনকে মজবুত করার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিল উত্তর দিনাজপুরের যুব তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। জেলায় যেসব ব্লকে এখনো কমিটি তৈরি হয়নি সেখানে কমিটি তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে।

যুব তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের খবর,চাকুলিয়া ব্লক এবং ডালখোলা পুরসভা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই সংগঠনের কোনো কমিটি নেই। আগের কমিটি বহুদিন আগেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগে কমিটি তৈরি করা না গেলো কর্মীদের একাংশের ক্ষোভ কিছুতেই দমন করা যাবে না। তাছাড়া কমিটি গঠন না হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কর্মসূচি পালন করতে নানানরকম সমস্যা হচ্ছে। কোন কর্মসূচিতে কে প্রতিনিধিত্ব করবে তা নিয়ে কোনো নিশ্চিত সিদ্ধান্তে আসা যাচ্ছে না। তাই এবার এই দুই এলাকায় কমিটি গঠন নিয়ে তৎপরতা শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের যুবরা।

এ প্রসঙ্গে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছে,সম্প্রতি চাকুলিয়া ব্লকের জন্য সভাপতি সহ অন্যান্য পদের দায়িত্ব নতুন মুখ আনা হয়েছে। ডালখোলায় খুব জলদি কমিটি গঠন করা হবে। প্রসঙ্গত,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রক্ষাপট থেকেই এলাকার ক্ষমতাদখল নিয়ে তৃণমূলের মাদার বনাম যুবদের দ্বন্দ্ব রাজ্যনেতৃত্বের নজরে আসে।

খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বহুবার গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রোখার কড়া নিদান দিয়েছেন। তৃণমূলের বর্ষীয়ান এবং অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নেতাদের সম্মান করেই ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন যুবদের। দলনেত্রীর সেই নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে লোকসভা ভোটের মুখে মাদারকে শক্তিশালী করতে বড় সিদ্ধান্ত নিল উত্তর দিনাজপুর জেলার যুব তৃণমূল।

টিএমওয়াইসি’র উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি গৌতম পাল জানিয়েছেন,চাকুলিয়া ব্লকের আগের যুব সভাপতি আনোয়ার আলম কয়েকমাস আগেই মূল সংগঠনে ঢুকেছেন। এতোদিন সভাপতির পদটি ফাঁকাই পড়ে ছিল। কার্যকরী সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ফারুকজামাল নূরিকে।

এছাড়াও সাধারণ সম্পাদক পদে সুরেশ পোদ্দার, মাণিরুল জামালকে সহ সভাপতি এবং সম্পাদক পদে মসরুল আলমকে আনা হয়েছে। ডালখোলা টাউন টিএমওয়াইসি’র সভাপতি সম্প্রতি নিজেই দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। খুব শীঘ্রই ওই পদে যোগ্য কাউকে বসানো হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি। তবে,ডালখোলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি মর্শেদ আলম নিজে থেকে পদ ছাড়েননি বলেই জানালেন। প্রসঙ্গে বললেন,বিহারে তাঁর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছিল। তারপরই দল থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও ওই মামলাটির এখন মিটে গিয়েছে। এদিকে সংগঠনের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত সভাপতি আনোয়ার আলম সংগঠনকে আরো মজবুত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সূত্র থেকে জানা গিয়েছে,এবছরই ডালখোলা পুরসভার নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। কারণ দীর্ঘদিন ধরেই এই এলাকায় সংগঠনের সভাপতি পদটি ফাঁকা রয়েছে। মুর্শেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে ওই পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকেই ওই পদে শূন্যস্থান তৈরি হয়। তারপর থেকেই ওই পদে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজ চলছে। যুব সভাপতি হওয়ার জন্যে অনেকেই সংগঠনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু ওই পদে কাকে নিয়োগ করা হবে তা নিয়ে এখনই কিছু প্রকাশ্যে আনতে চাইছেন না তাঁরা।

এ নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে দলীয় অন্দরে৷ অন্যদিকে,সংগঠনের সূত্র থেকে আরো জানা গিয়েছে,মুর্শেদকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও তিনি দলের উপরমহলের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ রেখেছেন৷ তাকে ফের পুরানো পদে ফিরিয়ে আনা হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিকমহলের একাংশ।

উল্লেখ্য,গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাকুলিয়াতে ভালো ফলাফল করেছিল তৃণমূল। কিন্তু তারপর থেকেই এলাকায় বিজেপির শক্তিবৃদ্ধি হতে থাকে। অন্যদিকে,এই এলাকার বিধানসভা আসনটি দীর্ঘদিন ধরেই ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে রয়েছে। কিছুতেই সেটা করায়ত্ত্ব করতে পারেনি তৃণমূল।

তাই লোকসভা ভোটের আগে চাকুলিয়াতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে ব্লক থেকে বুথস্তর পর্যন্ত সংগঠন মজবুত করার কাজ শুরু করেছে শাসকদল। মাদার গোষ্ঠীকে শক্তিশালী করার প্রতিশ্রুতি নিয়েছে যুবরা। ইতিমধ্যে চাকুলিয়াতে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সংগঠনের দায়িত্বে নতুন মুখ এসেছে। তিনি এবার লোকসভা ভোটের প্রেক্ষিতে দলীয় সংগঠন মজবুত করতে কতোটা সফল হন সেদিকেই নজর রয়েছে সংগঠনের নীচু তলার কর্মীদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!