এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পাহাড়ে চুপিসারে নিজেদের সংগঠন সাজিয়ে নিচ্ছে বিজেপি! মমতা ঘনিষ্ঠ দুই হেভিওয়েটের উড়ছে ঘুম?

পাহাড়ে চুপিসারে নিজেদের সংগঠন সাজিয়ে নিচ্ছে বিজেপি! মমতা ঘনিষ্ঠ দুই হেভিওয়েটের উড়ছে ঘুম?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত দু দশক ধরেই দার্জিলিং জেলার পার্বত্য অঞ্চল নিয়ে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্য গঠনের দাবি জানিয়ে আসছে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এ নিয়ে বহুবার দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি অঞ্চলের অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তবে শেষ পর্যন্ত রাজ্য সরকার পক্ষে তখনকার মতো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভবও হয়েছে। কিন্তু গত ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে আবার পৃথক রাজ্যের দাবিতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠতে দেখা যায় দার্জিলিংএর পাহাড়ি অঞ্চলে। বিক্ষোভ, মিছিল, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ত্রস্ত হয়ে ওঠে পর্বত। সম্পূর্র্ণভাবে স্তব্ধ হয়ে পড়ে পাহাড়ের জনজীবন।

এই পরিস্থিতিতে পাহাড়ের জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতাদের গ্রেপ্তারে সচেষ্ট হয় রাজ্য পুলিশ। এসময়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা বিমল গুরুংকে গ্রেফতার করতে গিয়ে রাজ্য পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর অমিতাভ মালিকের গায়ে গুলি লেগে মৃত্যু হয়। এরপর রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিমল গুরুং এর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়। সেই সময় থেকেই বিমল গুরুং লুক্কায়িত আছেন। এছাড়া তার অন্যতম সহযোগী রোশন গিরিও বিপন্ন হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে, দার্জিলিঙে গৈরিক শিবিরের অন্যতম সহযোগী হলো গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা ও জিএনএলএফ। তবে দার্জিলিঙে বিজেপির জয়লাভের মূল কান্ডারি এই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দলটি। গতকাল শুক্রবার গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অন্যতম নেতা রোশন গিরি এক বিশেষ সাংবাদিক সম্মেলনে জানালেন যে, গত ২০০৯ সাল থেকে শুরু করে গত ২০১৯ সাল পর্যন্ত একাদিক্রমে ১০ বছর ধরে যে লোকসভা আসনটি বিজেপি ধরিয়া রাখতে পেরেছে, তার অন্যতম কারণ হলো বিমল গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিশেষ অবদান। কিন্তু যশবন্ত সিংহ বা সুরিন্দর সিংহ আলুওয়ালিয়া যখন দার্জিলিংয়ের সংসদ ছিলেন তখন পাহাড়ে নিজেদের সংগঠন বৃদ্ধির দিকে কখনো মন দেয় নি বিজেপি ।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কিন্তু সম্প্রতি যখন গ্রেফতার হওয়ার ভয়ে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার অধিকাংশ নেতা লুকিয়ে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। সেই অবস্থাকে কাজে লাগিয়েই বিজেপি পার্বত্যাঞ্চলে নিজেদের সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। দার্জিলিং এর বর্তমান সংসদ বিজেপিকে এই কাজে যথেষ্টভাবে সাহায্য করছেন। নাম না নিয়েও তিনি দার্জিলিং বিজেপি সংসদ রাজু বিস্টকেই এক্ষেত্রে নির্দেশ করেছেন। সেইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করে জানিয়েছেন, নির্বাচন এর সময়কার বিভিন্ন নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এখনো পর্যন্ত পালন করেনি বিজেপি।

গোর্খাদের জন্য ১১ জনজাতি প্রদানের স্বীকৃতি বা পাহাড়ি অঞ্চলের সমস্যার স্থায়ী সমাধান এই বিষয়গুলি বিজেপি এখনো পর্যন্ত করার কোনো চেষ্টা করেনি। এর জন্য তিনি বিজেপির উদ্দ্যশ্যে জানিয়েছেন যে, অন্যদল ভেঙে নিজেদের সশস্য বৃদ্ধি না করে নিজেদের পূর্ব প্রতিশ্রুতি গুলি যথাযথভাবে পালন করতে। গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার নেতা রোশন গিরির এই বক্তব্যের পর শোরগোল পড়ে যায় গোটা দার্জিলিং জুড়ে।

এই ঘটনার অল্প কিছুদিন আগে বিজেপির অপর জোট সঙ্গী জিএনএলএফ বিজেপির সাম্প্রতিক বিভিন্ন কাজ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। এই সঙ্গীও বিজেপিকে পাহাড়ের সমস্যাবলীর স্থায়ী সমাধানের আর্জি জানিয়েছিল। এভাবে পরপর দুই জোট সঙ্গীর বিরুদ্ধাচারনে পার্বত্য অঞ্চলে যথেষ্ট বিপাকে পরে গেল বিজেপি, এমনটাই মতামত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে জোট সঙ্গীর এই বিরুদ্ধাচারণের বিষয় নিয়ে বিজেপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো বক্তব্য জ্যাপন করা হয় নি। তবে বিজেপির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই বিষয়টি নিয়ে উপযুক্ত আলোচনা করে তবেই এ বিষয়ে বক্তব্য রাখা হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!