পাহাড় কি ক্রমশ চলে যাচ্ছে নিয়ন্ত্রণের বাইরে? গুরুং শিবিরের সঙ্গে হঠাৎ বৈঠকে বাড়ছে তীব্র জল্পনা উত্তরবঙ্গ তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য July 11, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – প্রায় তিন বছর ধরে অন্তর্ধান অবস্থায় ছিলেন বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। গত পঞ্চমীর দিনে বিমল গুরুংকে হঠাৎ কলকাতার রাজপথে দেখা যায়। যেখানে মূখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যায় তাঁকে। মূখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করার কথাও জানান তিনি। বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন জানান তিনি। আবার, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে পাহাড়ের কয়েকটি আসন ছেড়ে দেয় তৃণমূল। এদিকে, গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একটি শিবিরে বিমল গুরুং, অপর শিবিরে বিনয় তামাং গোষ্ঠী। উভয় শিবিরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থক হলেও, উভয়ের মধ্যে তেমন বনিবনা নেই। বিধানসভা নির্বাচনে পাহাড়ের তিনটি আসনের মধ্যে দুটি আসনই চলে গেছে বিজেপির হাতে। মাত্র একটি আসন রয়েছে বিনয় তামাং ঘনিষ্ঠ নির্দলের হাতে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে, দীর্ঘদিন পাহাড় থেকে দূরে থাকার কারণে পাহাড়ের রাজনীতিতে বিমল গুরুং এর প্রভাব পূর্বের তুলনায় কমে এসেছে, সেস্থান দখল করেছে বিনয় তামাং গোষ্ঠী। এদিকে সম্প্রতি রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গ সফরে এসে বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন জিটিএর বিরুদ্ধে। সিএজি দিয়ে অডিট করানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। যারফলে যথেষ্ট বিপাকে পড়েছে জিটিএ। এই পরিস্থিতিতে রোশন গিরির সঙ্গে বৈঠক চলল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও আইন মন্ত্রি মলয় ঘটকের। এ প্রসঙ্গে রোশন গিরি জানালেন যে, পাহাড়ের সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। তবে, অনেকেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিষয়ে কথা বলতেই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। পাহাড়ে বারবার গোর্খাল্যান্ডের দাবি উঠেছে। এই দাবি একাধিকবার করতে দেখা গেছে বিমল গুরুংকে। এদিকে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ জণ বার্লা একটা সময় বিমল গুরুংয়ের অনুগামী ছিলেন। তাঁর উত্তরবঙ্গ ভাগের দাবির পেছনে বিমল গুরুংয়ের সমর্থন রয়েছে কিনা? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ বিষয়ে তাঁকে সমর্থন করে পাহাড়ের রাজনীতি সরগরম করতে পারেন বিমল গুরুং,এমন একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আবার, জন বার্লার হাত ধরে বিমল গুরুং বিজেপির দিকে ঝুঁকতে পারেন, এমন সম্ভাবনাও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে গুরুং শিবিরের বৈঠক যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ বলেই, রাজনৈতিক মহলের ধারণা। অনেকে মনে করছেন, পাহাড়ের রাজনীতিতে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে এই বৈঠকে যোগদান করেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল। আপনার মতামত জানান -