এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > বাংলায় বিজেপির ‘সার্কাস পার্টি’ কেন বাড়ছে ‘রহস্য’ ফাঁস করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

বাংলায় বিজেপির ‘সার্কাস পার্টি’ কেন বাড়ছে ‘রহস্য’ ফাঁস করলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়

হুগলী জেলার কোন্নগরে দলীয় কর্মসূচীতে উপস্থিত হয়েছিলেন রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিনের সভা অনুষ্ঠান থেকে গেরুয়া শিবিরকে কার্যত তোপের মুখে বসিয়ে কামান দাগলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব তথা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সমালোচনার সুরেই তিনি বললেন, “বিজেপি এ রাজ্যের দুই দল- সিপিএম এবং কংগ্রেসের অপদার্থতার সুযোগ নিয়ে ফুল ফোটানোর চেষ্টা করছে। অথচ প্রত্যেকটি নির্বাচনেই হেরে ধরাশায়ী হচ্ছে। কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। এটা রাজনৈতিক দল না অন্য কিছু ?‌” এদিন রাজ্যে সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাফল্যের তালিকায় বিজেপির দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে আসার প্রসঙ্গে বললেন, “যেহেতু এ রাজ্যে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি ক্রমাগত পিছোচ্ছে, সেই সুযোগে ওরা একটু এগিয়ে। অনেকটাই উত্‍সাহী হয়ে উঠছে। সিপিএম এবং কংগ্রেস সক্রিয়ভাবে বিজেপি-র ফুল ফোটাতে সাহায্য করছে। গোটা দেশে সাম্প্রতিককালে যে উপনির্বাচনগুলি হয়েছে, তাতে বিজেপি একবারে ধরাশায়ী। নির্বাচনের ফলেই তা মানুষের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। আর এ রাজ্যে ফুল কেন, কুঁড়িও ফুটবে না।’‌’

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

রাজ্যে বিজেপি দলের নেতা মন্ত্রীদের ভাষণে নানা আক্রমনাত্মক হুমকির কথা সাধারণ মানুষকে স্মরণ করিয়ে তার ব্যাখ্যায় বললেন, “এখন ওরা নানা ধরনের কথা বলছে। মাটির তলায় ঢুকিয়ে দেব। শ্মশানে পাঠিয়ে দেব ইত্যাদি। এ ধরনের কথা কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মকর্তার মুখে শোভা পায় না। রাজনৈতিক দল হলে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে হয়। বুঝতে পারছি না ওটা রাজনৈতিক দল নাকি সার্কাস পার্টি।” বিগত কয়েকদিন যাবত রাজ্যে পেট্রোপণ্যের ধারাবাহিকভাবে মূল্য বৃদ্ধির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে শিক্ষামন্ত্রী কেন্দ্রের মোদী সরকারের সমালোচনা করে বললেন, ” হঠাত্‍ গ্যাসের দাম এক ধাক্কায় প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে গেল। শুধু গ্যাসের দাম নয়, ভর্তুকি গ্যাসের দাম ৩ টাকা বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে কমার্সিয়াল গ্যাসের দামও। পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এর পরে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। গৃহস্থালিতে আগুন লাগবে। পেট্রল-ডিজেলের দাম ক্রমান্বয়ে বেড়েই চলেছে। সমস্ত ব্যবসায় ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। ফলে সাঙ্ঘাতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসায়ীরা। এই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ভাবার সময় নেই। তিনি এখন নীরব মোদি, বিজয় মালিয়া, ললিত মোদি, অমিত শাহের ছেলে আর নীতিন গাডকারির ছেলের জন্যে জীবন দিচ্ছেন।”  প্রধানমন্ত্রীর প্রসিদ্ধ স্লোগানের বিরুপ করে তিনি বললেন ” ‘‌অচ্ছে দিন‌ তো আর নেই, বর্তমানে গোটা ভারতজুড়ে আওয়াজ উঠছে ‘‌আমাদের বাঁচতে দিন’‌।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!