এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পেগাসাদের তদন্তে গঠিত রাজ্যের তদন্ত কমিশন আদৌ কি কোন সুরাহা দিতে পারবে? তীব্র সন্দেহ আইনজ্ঞদের

পেগাসাদের তদন্তে গঠিত রাজ্যের তদন্ত কমিশন আদৌ কি কোন সুরাহা দিতে পারবে? তীব্র সন্দেহ আইনজ্ঞদের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পেগাসাদের তদন্ত করতে গতকাল তদন্ত কমিশন গঠন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৬ মাসের মধ্যেই যা রিপোর্ট প্রকাশ করতে চলেছে। বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য ও মদন বি লোকুর নেতৃত্বে এই কমিশন গঠন করা হয়েছে। এই কমিশন তদন্ত করে দেখবে যে, কোন ব্যক্তির ফোনে নজরদারি হয়েছে কিনা? ফোনে ম্যালওয়ার কাজ করেছে কিনা? কি কারনে নজরদারি করা হয়েছে? নজরদারি করে পাওয়া তথ্য কোথায় পাঠানো হয়েছে? এই কাজে কারও উস্কানি আছে কিনা? এই বিষয়গুলি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর গঠন করা এই তদন্ত কমিশন নিয়ে সংশয় প্রকাশ করতে দেখা গেছে একাধিক আইনজ্ঞদের।

এ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অশোক গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, রাজ্যের এই ধরনের কমিশন গঠন করার কোন এক্তিয়ার নেই। রাজ্যের কোন বিষয়ে রাজ্য সরকার কমিশন গঠন করতে পারে। যেমন, বানতলা কান্ড, একুশে জুলাই এর দিনে গুলি চালানো ইত্যাদি। সংবিধানে বলা হয়েছে, ডাক ও তার বিভাগ, টেলিফোন সহ যোগাযোগের মাধ্যম কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ। তাই তদন্তে যে অফিসারদের তলব করা হবে, তাঁরা কেন আসবেন? তিনি জানিয়েছেন, প্রয়োজন মনে করলে কেন্দ্রীয় সরকার এই কমিশনের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে পারে। কিন্তু তার কোন প্রয়োজন হবেনা। আধিকারিকেরা সাক্ষ্য দিতেই উপস্থিত হবেন না।

আবার এ প্রসঙ্গে আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ জানালেন যে, কিসের উপর ভিত্তি করে এই তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে? একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে কি তদন্ত কমিশন গঠন করা যায়? কমিশন কাউকে যদি তলব করে, তবে কি তিনি সাক্ষ্য দিতে আসবেন? ইজরায়েল সরকার কি সাক্ষ্য দিতে আসবে? যে কেউ কমিশন ঘোষণা করতেই পারেন। কিন্তু তার কার্যকারিতা বা কার্যকারণ বলে তো একটা কিছু থাকবে? তিনি আরো জানান যে, সংবাদমাধ্যমে বলা হয়েছে ৩০০ লোকের ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। কিন্তু কেউ কি বলেছেন যে, যে আড়ি পেতেছেন? কেন্দ্রীয় সরকার কি বলেছে? তাঁর প্রশ্ন, তবে কাদের সাক্ষ্য দিতে ডাকা হবে?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এ বিষয়ে জনৈক আইনজীবী জানিয়েছেন যে, এ বিষয়ে কলকাতা হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টে যদি কেউ আবেদন করেন। তবে এই কমিশন খারিজ হয়ে যাবার যথেষ্ট রকম সম্ভাবনা আছে। রাজ্যের অপর এক আইনজীবী জানিয়েছেন যে, বিষয়টি টেলি যোগাযোগের চেয়েও বেশি কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র দপ্তরের বিষয়। টেলি যোগাযোগ তার একটা অংশ হতে পারে। হয়ত, এর সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ জড়িত আছে। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকারের সহায়তা ছাড়া এখানে কোন কিছুই করা সম্ভব হবে না। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রও জড়িত আছে। দেশের একটি অঙ্গরাজ্যতে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে এর সমাধান সম্ভব হবে বলে, মনে করছেন না তিনি।

তিনি আরো জানিয়েছেন যে, যদি ফোনে আড়িপাতার মতো অপরাধ করা হয়ে থাকে। তবে তা বিদেশে সংঘটিত হয়েছে। তাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারেন। কিন্তু তদন্ত হবে যে অপরাধের, সেটাতো এদেশে হয়নি। তৃণমূল সহ সমস্ত বিরোধী দল কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষী করেছে, কিন্তু সেটা শুধুমাত্র অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর নিয়ে রাজনীতির ধারণা তৈরি করা গেলেও, আইনের চোখে তা গ্রহণযোগ্য হয় না। ফলে সংবাদমাধ্যমের খবরের ভিত্তিতে তদন্ত কমিশন গঠন করলেও তাতে কাজের কিছু হবে বলে মনে হয় না।

গতকালের এই তদন্ত কমিশন গঠন বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছেন যে, কমিশন এনকোয়ারি অ্যাক্ট অনুযায়ী, এই ধরনের কমিশন গঠন করা সংসদ বা বিধানসভার এক্তিয়ারর্ভুক্ত। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে কমিশন ঘোষণা করেছেন, তা অবৈধ। এটা একটা রাজনৈতিক গিমিক মাত্র। টিভি চ্যানেল ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্ক হবে। এর বাইরে কোন কিছু হবে না। তিনি আরও জানিয়েছেন যে, তৃণমূলের শাসনকালে এরকম বহু কমিশন, বহু কমিটি গঠন করা হয়েছে। কিন্তু কোন রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা হয়নি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!