প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পেগাসাস কাণ্ডে মোদি-শাহের বিরুদ্ধে একেবারে হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া। একসময় তাঁর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের প্রধানের পদেও একসময় ছিলেন পেশায় চিকিৎসক প্রবীণ তোগাড়িয়া। তবে দীর্ঘ সময় থেকেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে। একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করতে দেখা গেছে তাঁকে। এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর বিরুদ্ধে পেগাসাস নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন তিনি।

পেগাসাস ইস্যুতে যখন বিরোধীরা কোণঠাসা করে দিয়েছে বিজেপিকে। এমনকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ইস্তফার দাবি যখন উঠেছে। ঠিক সেইসময় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া জানালেন যে, মোদি-শাহেরা যখন ক্ষমতায় ছিলেন না। তখন তাঁরা তাঁকে পছন্দ করতেন। কিন্তু ক্ষমতায় এসে তাঁকে আর দেখতে পারেন না। তবে, তাঁর কথা শুনতে খুব পছন্দ যে করেন, সেটা বোঝাই যাচ্ছে। এ কারণেই ফোনে আড়িপাতা হয়েছে। তবে দেশের রাজনৈতিক দলের নেতা অথবা দেশভক্ত সাধারণ নাগরিকের ফোনে নজরদারি না করে, যদি কোন পাকিস্তানী এজেন্টের ফোনে ঠিকঠাকভাবে আড়িপাতা সম্ভব হতো। তবে, পুলওয়ামার মতো ঘটনা ঘটতে পারত না।

বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া আরও জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে তাঁর যে কথা হয়েছে, তা হাজার ঘন্টা পার করে যাবে। এতসব কথার পরেও, তাঁদেরকে লুকিয়ে তাঁর কথা শুনতে হচ্ছে। বিষয়টি তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি জানালেন, ইজরায়েলী যে সংস্থার স্পাইওয়্যার নিয়ে কথা উঠেছে, তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, এই স্পাইওয়্যার শুধুমাত্র সরকারকে দেয়া হয়। কোন বেসরকারি সংস্থাকে তা দেওয়া হয় না।

তাহলে কারা ফোনে আড়িপাতার পেছনে আছে? এই সফটওয়্যার কিনতে কত টাকা খরচ হয়েছে? কারা এত টাকা আদায় করেছে? এসব জানতে সরকারের উচিত তদন্তের নির্দেশ দেওয়া। এভাবেই সম্পূর্ণ বিরোধীমহল যখন পেগাসাস কাণ্ডে চেপে ধরেছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। ঠিক তখনই এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করে দলের অস্বস্তি অনেকটা বাড়িয়ে দিলেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা প্রবীণ তোগাড়িয়া, এমনটাই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।