এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ফের দিলীপ মুকুলকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন নেতারা

ফের দিলীপ মুকুলকে বড়সড় ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে ফিরলেন নেতারা


2019 সালের লোকসভা নির্বাচনের পরেই বিজেপি দলে যোগ দেওয়ার প্রবণতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল। অন্যান্য দল এবং তৃণমূল থেকে বহুল পরিমাণে সদস্যরা বিজেপিতে যোগদান করেন। ফলে রাজ্যের বহু পুরসভা পঞ্চায়েতের রং পাল্টায়। লোকসভা ভোটের আগে থেকেই বিজেপি তাদের সংগঠন বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল এই রাজ্যে। কিন্তু সংগঠন গড়ে উঠলেও তাকে ধরে রাখতে পারে না বিজেপি।

বিজেপি দলে যোগদান করার কিছুদিনের মধ্যেই ঘরওয়াপসির ফলে বিজেপি দলে বিপর্যয় নেমে আসে। একের পর এক সদস্যরা আবার শাসক দলে চলে আসে। ফলে দখলীকৃত পঞ্চায়েত, পৌরসভা গুলি বিজেপির হাতছাড়া হয়ে যায়। ঠিক একইভাবে হাতছাড়া হলো এবার পুরাতন মালদহের ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত। তবে এই গ্রাম পঞ্চায়েতটি লোকসভা ভোটের অনেক আগে থেকেই বিজেপির অধিকারে ছিল।

গত পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করে। 14 টি আসনের মধ্যে নটি আসন দখল করে বিজেপি এই ক্ষমতা পায়। কিন্তু দেড় বছরের মাথায় পঞ্চায়েত প্রধান সহ বিজেপির তিনজন ও কংগ্রেসের একজন চলে এলেন তৃণমূল কংগ্রেসে। ফলে পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বিজেপির।

জানা গিয়েছে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি আসন দখল করেছিল এবং কংগ্রেস একটি আসন দখল করেছিল। ও বিজেপি যথারীতি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় নটি আসনে জয় লাভ করে। কিন্তু এখন পরিবর্তিত ছবির জন্য এই মুহূর্তে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা ভবুক গ্রাম পঞ্চায়েতে আট এবং বিজেপি সদস্য সংখ্যা হয়ে গেছে ছয়।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি জানান, বিজেপিতে থেকে উন্নয়নের কাজ করা সম্ভব হচ্ছিল না। অন্যদিকে, দলীয় নেতৃত্ব থেকে ক্রমাগত চাপ আসছিল উন্নয়নে বাধা দেওয়ার জন্য। তাই সমগ্র পরিস্থিতি বিচার করে তিনি বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। অন্যদিকে, জেলা বিজেপি নেতৃত্ব দাবি করেছে, ভয় দেখিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস দল ভারী করছে। যদিও বিজেপির এই দাবিকে সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি নিশিগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির হাত ছাড়া হয়ে যায়। লোকসভা নির্বাচনের পর এই পঞ্চায়েতটি দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু পরিবর্তিত সময়ে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সহ 11 জন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিতেই এই পঞ্চায়েত তৃণমূলের হয়ে যায়। মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোসলেম মিয়াঁ, মোজাফফর রহমান প্রমুখ এর উপস্থিতিতে পঞ্চায়েত সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেন।

লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া ঝড়ে দেখা যায়, পশ্চিমবঙ্গের 19 টি আসন দখল করেছে বিজেপি। অর্থাৎ বিজেপির এই ফলাফলের কারণে পশ্চিমবঙ্গের অনেক পুরসভা, পঞ্চায়েত বিজেপির আওতায় চলে আসে। যার ফলে শাসকদল যথেষ্ট চিন্তিত হয়ে পড়ে। কিন্তু সময়ের সাথে শাসকদল পাল্টা রাজনৈতিক চাল দেয়। ফলস্বরূপ, একের পর এক হাতছাড়া হওয়া পুরসভা পঞ্চায়েতগুলিকে তৃণমূল দখল করতে শুরু করে বিজেপির হাত থেকে।

লোকসভা ভোটের পর থেকে যে পরিমাণ সদস্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাতে বিজেপির সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে আবার দলবদলকারীরা পুরনো দলে ফেরার রাস্তা ধরায় গেরুয়া শিবিরে চিন্তার ভাঁজ।

অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য হলো এইভাবে যদি একে একে বিজেপির হাত থেকে পুরসভা পঞ্চায়েতগুলি হাতছাড়া হয়ে যায় তাহলে 2021 এর বিজেপির জন্য যে কোন অঘটন ঘটা অসম্ভব নয়। ফলে অবিলম্বে বিজেপির উচিত নিজেদের সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করে তোলা। এদিকে রাজনৈতিক মহলের দাবি, পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে তৃণমূল আবার পুরনো শক্তি ফিরে পাচ্ছে একের পর এক পঞ্চায়েত, পুরসভা গুলি দখল করার ফলে। আপাতত পরিস্থিতির ওপর নজর রেখেছে রাজনৈতিক শিবিরগুলি।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!