“প্রধানমন্ত্রী থেকে কিছুই পাই না” আবারও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর! জাতীয় রাজ্য May 12, 2020 বিগত 2011 সালে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই বিগত বাম সরকারের দেনা শোধ করতে হচ্ছে তৃণমূল সরকারকে বলে দাবি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কংগ্রেস হোক বা বিজেপি, কেন্দ্রে যে সরকারই আসুক না কেন, প্রায় প্রতিটি সরকারের কাছেই রাজ্যের জন্য বারবার আর্থিক প্যাকেজ দেওয়ার আবেদন করেছেন তিনি। অনেকের কাছে সহযোগিতা পেয়েছেন, আবার অনেক ক্ষেত্রে তিনি সহযোগিতা পাননি। তবে বর্তমানে কেন্দ্রে বিজেপি সরকার থাকায় সেই বিজেপি সরকার রাজ্যকে সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ জানিয়েছেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। বর্তমানে করোনা ভাইরাস গোটা দেশ তথা রাজ্যকে ভাবিয়ে তুলেছে। লকডাউন থাকায় রাজ্য এবং দেশের আর্থিক পরিস্থিতি অত্যন্ত বিপন্ন। এই পরিস্থিতিতে বারবার কেন্দ্রের কাছে সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি বাস্তবে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে করোনা মোকাবিলার জন্য আর্থিকভাবে সাহায্য করাও হয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সাহায্য না পাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ফের কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আর্থিক বঞ্চনার অভিযোগ জানালেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নবান্ন সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দুই মাস ধরে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ। প্রত্যেকের রুজি-রোজগার শেষ হতে চলেছে। করোনা ছিল, আছে, থাকবে। করোনাকে সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে।” আর এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর থেকে কিছুই পাই না। কেন্দ্রের কাছে খালি থালা নিয়ে ফিরতে হচ্ছে।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতদিন বাড়ি বাড়ি কেন্দ্রের কাছে আর্থিক সাহায্যের দাবিদার নিয়ে সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যকে সহযোগিতা করা হয়েছে। তবুও রাজ্য কেন্দ্রকে ঠিকভাবে সাহায্য করছে না বলে দাবি করেছিলেন বাংলার প্রশাসনিক প্রধান। আর এবার মঙ্গলবারের সাংবাদিক বৈঠক থেকেই ব্যাপারে কেন্দ্রের কাছ থেকে তিনি কিছুই পাননি বলে অভিযোগ করে শোরগোল তুলে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এখন এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নেতারা কি বক্তব্য প্রদান করেন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -