এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট করতে জানুয়ারির শেষ থেকেই পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন

নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তায় ভোট করতে জানুয়ারির শেষ থেকেই পুলিশ সুপার ও কমিশনারদের নিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় নির্বাচন কমিশন


লোকসভা ভোট একেবারে নাকের ডগায় এসে গিয়েছে বললেই চলে। মার্চের শুরুতেই নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। এই অবস্থায় দেশের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ততার শেষ নেই কমিশনের। কারণ একটি ভোটকে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে পরিচালনা করার দায়িত্বে থাকে নির্বাচন কমিশন।

নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রাথমিক পর্ব হিসাবে গতকাল দিল্লি থেকে রাজ্যে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের সুনীল অরোরা। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে আলোচনা পর্বও সেরে নেন তিনি। সেই আলোচনার সূত্রে উঠে এসেছে ভোটের প্রেক্ষাপটে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার প্রসঙ্গ।

ঠিক করা হয়েছে, আগামী ২৮ জানুয়ারি এই ব্যাপারে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্যে রাজ্যের সব রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে এবং ২৯ জানুয়ারি জেলাস্তরের সব পুলিশ সুপার এবং পুলিশ কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কমিশন। এছাড়া আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে কমিশনের ফুল বেঞ্চ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসবে বলেও জানিয়েছে।

এদিন বেলা তিনটে নাগাদ নবান্নে ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং রাজ্য পুলিসের ডিজি বীরেন্দ্র। এছাড়া একইসময়ে নির্বাচন কমিশনের কলকাতার অফিসে বসে ভিডিও কনফারেন্সে হাজির হন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাব এবং অতিরিক্ত সিইও শৈবাল বর্মন। এছাড়াও ছিলেন এক্সাইজ কমিশনার রনধীর কুমার।

প্রায় আড়াই ঘন্টা ধরে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারে আলোচনা হয়েছে গতকালের ভিডিও কনফারেন্সে। বুথের পরিকাঠামো থেকে শুরু করে ভোটকর্মীদের তালিকা সহ রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা র অবস্থা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ আলোচনা হয় সেখানে। ইভিএমের কারচুপি নিয়ে অভিযোগ প্রসঙ্গে কমিশন জানিয়ে দেয় ইভিএম সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।

চূড়ান্ত নিরাপত্তার মধ্যে ইভিএম রাখা হবে। নির্বিঘ্নে ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিপ্রায়ে সশস্ত্রবাহিনীকে নজরদারিও কড়া করার কথা জানানো হয়েছে। তিন বছর এক জায়গায় থাকা অফিসারদের বদলি করতে হবে। সব রাজনৈতিক দলকেই সমানভাবে প্রচারকর্মসূচি করতে দিতে হবে। অপরাধীদের গতিবিধির উপর কড়া নজরদারির সঙ্গে মদ বিক্রির উপর নিয়ন্ত্রণ জরুরি বলে জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়া,যাদের বিরুদ্ধে বর্তমানে জামিন অযোগ্য ধারার অভিযোগ রয়েছে তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার ফতোয়া জারি করেছে কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ভিডিও কনফারেন্সে বেশ কিছু বিষয়ে জোর দেওয়া দেখে রাজ্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মনে হয়েছে লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হওয়ার আর বেশি দিন বাকি নেই। কমিশনের নির্দেশ পাওয়ার পর সেই অনুযায়ী কাজ করতেই তৎপর হয়েছে প্রশাসন।

এছাড়া কমিশন জানিয়েছে,ভোটার তালিকা সংশোধন বা সংযোজনের ক্ষেত্রে ভালো কাজে নজির সামনে রাখার জন্যে ছ’জন জেলাশাসককে পুরস্কৃত করা হবে। ১৮-২৬ বছর বয়সি নতুন ভোটারদের নাম তোলা থেকে শুরু করে মৃত বা ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া,নাম তোলার জন্যে লিটার‍্যা সি ক্লাব তৈরি করে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা সহ ভোটার তালিকায় নাম তোলার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্যে জেলাশাসকদের পুরস্কার প্রদান করা হবে কমিশনের তরফ থেকে।

আগামী ২৫ জানুয়ারি জাতীয় ভোটার দিবসেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে তাঁদের হাতে। এই তালিকায় রয়েছেন মুর্শিদাবাদ, নদীয়া, কালিম্পং, পূর্ব বর্ধমান, পুরুলিয়া, দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলাশাসকরা। উক্ত কাজগুলো সঠিকভাবে করার জন্যে জেলার কর্মকর্তাদের উৎসাহ বাড়িয়ে তুলতেই এই পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন,এমনটাই জানা গিয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!