এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > ফেলে আসা ছোটবেলাকে আরেকবার ছুঁয়ে দেখতে পাঁচ বছর পর মামাবাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, সাজো সাজো রব চারিদিকে

ফেলে আসা ছোটবেলাকে আরেকবার ছুঁয়ে দেখতে পাঁচ বছর পর মামাবাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী, সাজো সাজো রব চারিদিকে


তাঁর কাঁধে গোটা রাজ্যের দায়িত্ব। পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের শীর্ষে বসে আছেন তিনি। সামনে লোকসভা ভোটের কারণে ব্যস্ততা বহুগুন বেড়ে গিয়েছে এখন। তবুও হাজার ব্যস্ততাকে দূরে ঠেলে শৈশবের স্মৃতিচারণা করতে কুসুম্বায় পা রাখতে চলেছেন তিনি। কথা হচ্ছে রাজ্যের মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। রামপুরহাটের কুসুম্বা নেত্রীর মামাবাড়ি।

মুখ্যমন্ত্রীর জন্মস্থান রামপুরহাটের চাকাইপুর গ্রামে হলেও শৈশবের অনেকটা সময় তিনি কাটিয়েছেন কুসুম্বা গ্রামের মামাবাড়িতে। পাঁচ বছর পরে সেই মামাবাড়িতেই যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া মামবাড়ি লাগোয়া একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর।

কাজেই দুই বাড়িতেই এখন মুখ্যমন্ত্রীর আপ্যায়ণের প্রস্তুতি তুঙ্গে রয়েছে। কুসুম্বা গ্রামে যে বাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী বিয়ের নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে যাবেন সেই বাড়ির সামনেই তৈরি করা হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল। যে ঘরে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো হবে তাঁর দেওয়ালে সবুজ রং করা হয়েছে। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সান্নিধ্য পাওয়ার জন্যে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে গ্রামবাসীরাও।

আসলে,বহুবছর ধরে মুখ্যমন্ত্রীর কালিঘাটের বাড়িতে থাকেন কুসুম্বা গ্রামের মন্টু দাস। আগামী ৩০ জানুয়ারি তাঁর বড় ছেলে কৃশানু দাসের বিয়ে। সেই বিয়েতেই আসবেন নলে কথা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ঘুরে আসবেন মামাবাড়ি থেকেও। তবে তার আগের দিনই রামপুরহাট আসছেন তিনি।

রামপুরহাটের সানঘাটস ব্রিজ সংগ্ন মাঠে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীকে আপ্যায়ণের প্রস্তুতি কতদূর এগোলো তা খতিয়ে দেখতে গত সোমবার রাতেই কুসুম্বায় নিজের বাড়িতে এসেছেন মন্টু দাস। তিনি জানালেন, মুখ্যমন্ত্রীর পছন্দের সব খাবারই বউভাতের মেনুতে রাখা হবে। তবে নেত্রী কখন তাঁর বাড়িতে আসবেন সে সম্পর্কে কোনো সঠিক ধারণা দিতে পারলেন না মন্টুবাবু।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

উল্লেখ্য,গত নভেম্বর মাসেই মুখ্যমন্ত্রী মামিমা তাপসী মুখোপাধ্যায় গত হয়েছেন। সেসময় চূড়ান্ত ব্যস্ততার কারণে তিনি মামাবাড়ি আসতে পারেননি। সেজন্যে ওদিন তিনি মামাবাড়ি যাবেন বলেও জানা গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বারকয়েক মামাবাড়িতে এসেছেন নেত্রী। মামিমার হাতের মিষ্টি খেয়েছেন তিনি। তবে এবার মামিমার অবর্তমানে ভাগনিট আপ্যায়নে কোনো খামতি রাখতে চান না মামা অনিল মুখোপাধ্যায়।

তিনি জানালেন,’মমতা মুড়ির সঙ্গে ছোলাভাজা খেতে ভালোবাসে। এখানে এলেই মামিমার কাছ থেকে ছোলাভাজা ও মুড়ি চেয়ে খেত। তাই এবারও ওর পছন্দের ছোলাভাজা ও মুড়ি রাখা হবে।’ তিনি আরো জানালেন,২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটের আগে কয়েক মিনিটের জন্যে মামাবাড়িতে এসেছিলেম মমতা। তারপর এই পাঁচ বছর পর আবার আসছে। নেত্রীর মামাতো ভাই নীহার মুখোপাধ্যায় জানালেন,দিদি আসবেন এটা নিশ্চিত কিন্তু কখন আসবেন এটা তাঁর জানা নেই।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার খাতিরে পুলিশ প্রশাসনে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বারবার নেত্রী মামাবাড়ি এবং কুসুম্বা গ্রামের বিয়ে বাড়িটি ঘুরে দেখে গিয়েছেন। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর শুনে উচ্ছ্বসিত গ্রামবাসীরা। তাঁদের তরফ থেকে জানা গিয়েছে,নেত্রীকে স্বাগাত জানানোর জন্যে ওদিন রাস্তার দুধারে দাঁড়িয়ে থাকবেন স্থানীয়রা।

গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য আদিত্যনাথ দত্ত জানালেন,গোটা গ্রামকেই তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হবে। শুক্রবার থেকেই গ্রামের রাস্তাঘাট পরিষ্কারের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে,দুদিন আগেই রামপুরহাট শহর এবং ১ ব্লকের নেতাদের নিয়ে দলীয়স্তরে সভা করেছেন কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকসভা ভোটকে টার্গেট করে সোশ্যাল মিডিয়াতেও দলীয় প্রচার জোরদার করেছে তৃণমূলের আইটি সেল।

প্রশাসনিক সূত্রের খবর,বীরভূমে এসে তারাপীঠের মন্দিরেও পুজো দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। সেজন্যে গোটা মন্দিরে রং করা হয়েছে। গতকাল কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে তারাপীঠে মিটিংও করেন টিআরডিএর চেয়ারম্যান সুকুমার মুখোপাধ্যায়, জেলা সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব ভট্টাচার্যরা। রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রীর আসার খবর শুনে আশিসবাবু বলেন,’মুখ্যমন্ত্রীর সভায় লোক আনতে হয় না। শুধুমাত্র তাঁর আসার খবর পেলেই লক্ষ লক্ষ লোক জমায়েত করে। আমরা সেই খবরই সর্বত্র পৌঁছে দিচ্ছি।’

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!