এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > মুর্শিদাবাদে ভালো ফল করেও বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন করে জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী

মুর্শিদাবাদে ভালো ফল করেও বড়সড় সাংগঠনিক পরিবর্তন করে জল্পনা বাড়ালেন তৃণমূল নেত্রী

এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের স্লোগান ছিল 42 এ 42। কিন্তু বাস্তবে নেত্রীর সেই স্লোগান তো সার্থক রূপ নেইয়নি, উল্টে গতবার লোকসভা নির্বাচনে 2014 সালে তৃণমূল যে 34 টি আসন পেয়েছিল, তার থেকেও কমে তাদের এবারের আসন সংখ্যা দাঁড়ায় 22 টিতে।

অন্যদিকে রাজ্যে প্রবলভাবে উত্থান ঘটে বিজেপির। যেখানে গতবার বিজেপি দুটি আসন পেলেও এবার তাদের দখলে আসে 18 টি লোকসভা আসন। আর রাজ্যে বিজেপির এহেন প্রবল উত্থান এবং তৃণমূলের দ্রুত গতিতে নিচের দিকে নেমে আসায় হতবাক হয়ে যান অনেকেই। দলের অন্দরেই অনেকে দাবি জানাতে শুরু করেন, কিছু কিছু জায়গায় দলীয় নেতৃত্বের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল এবং সংগঠনে অমনোযোগী হওয়ার জন্যই এবারের নির্বাচনে দলের এই ভরাডুবি হয়েছে। আর এবার ফল ঘোষণার 48 ঘন্টা পর ভোটের ফল নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক করে বিভিন্ন জেলার ক্ষেত্রে বড় সিদ্ধান্ত নিলেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নানা জেলার পাশাপাশি মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদ থেকে সুব্রত সাহাকে সরিয়ে তার জায়গায় আনা হল সাংসদ আবু তাহের খানকে। পাশাপাশি এতদিন জেলার চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা বর্ষিয়ান তৃণমূল নেতা মহম্মদ সোহরাবকে সরিয়ে সেই জায়গায় আনা হল সুব্রত সাহাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিকে এদিনের বৈঠক থেকে বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অপূর্ব সাহাকে এনবিএসটিসির সভাপতি পদের দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মুর্শিদাবাদ জেলায় তৃণমূল নেত্রীর এই রদবদলের সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরেই এখন অনেকে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। কেননা যে জেলায় কংগ্রেসের সংগঠন ছিল, সেখানে এবার তিনটে লোকসভা আসনের মধ্যে দুটি লোকসভা আসন দখল করেছে তৃণমূল। সেদিক থেকে অন্যান্য জেলার তুলনায় মুর্শিদাবাদ জেলায় বেশ ভালো ফল করেছে শাসক দল।

তাই সেখানে দলীয় সভাপতিকে বদল করা হল কেন তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্নবোধক চিহ্নের সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, ভালো ফল করেও যদি দলীয় নেতাদের এইভাবে শাস্তির মুখে পড়তে হয়, তাহলে দলে বিদ্রোহী নেতাদের প্রভাব আরও বাড়তে পারে। আর যদি এই প্রবণতা দেখা দেয় তাহলে ভবিষ্যতে দলের বিদ্রোহকে কিভাবে সামাল দেবেন তৃণমূল নেত্রী, তা নিয়ে একটা চিন্তা থেকেই যাচ্ছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!