এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পুরভোট নিয়ে এবার ফের বড়সড় চিন্তার মুখে শাসকদল, ধুয়ে মুছে সাফ হবে দাবি বিজেপির

পুরভোট নিয়ে এবার ফের বড়সড় চিন্তার মুখে শাসকদল, ধুয়ে মুছে সাফ হবে দাবি বিজেপির


এবারের লোকসভা নির্বাচনে বিভিন্ন জেলায় বেশ ভালো ফলাফলের আশা করেছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু ভোটবাক্স খোলার পর তৃণমূল নেত্রীর 42 এ 42 এর স্লোগান যেমন ধাক্কা খেয়েছে, ঠিক তেমনই বিভিন্ন লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা এবং পৌরসভাগুলিতে তৃণমূলের ভোট কমায় এবং বিজেপির উত্থান ঘটায় চিন্তা বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের কপালে।

ফলে যে সমস্ত পুরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে, সেখানে বিজেপি ব্যাপক ভোট পাওয়ায় সামনে পুরসভা ভোটে কি হবে তা নিয়ে ভেবে নাকাল হতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতারা। যেমন, বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভা। এখানকার 16 টি ওয়ার্ডের মধ্যে 11 টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। একইভাবে সিউড়ির 19 টির মধ্যে 16 টিতে এবং সাঁইথিয়ার 16 টির মধ্যে 14 টিতে এগিয়ে রয়েছে গেরুয়া শিবির।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বর মাসেই বীরভূমের দুবরাজপুর পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। পুর নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও লোকসভা নির্বাচনের দামামা বেজে যাওয়ায় তা এখনও সম্ভব হয়নি। এদিকে লোকসভার পরে পুরভোট হতে পারে তা নিয়ে লোকসভার আগে থেকেই দুবরাজপুরে নিজেদের সংগঠনকে সাজাতে শুরু করেছিল তৃণমূল।

কিন্তু লোকসভা ভোটের ফলাফলে সেই দুবরাজপুরে যেভাবে শাসকদল ধাক্কা খেল, তাতে যদি এখন এই পুরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে দুবরাজপুর পৌরসভা দখল করা আদৌ তাদের পক্ষে সম্ভব হবে কিনা! তা নিয়ে নানা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তৃণমূল সূত্রের খবর, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে 16 ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই দুবরাজপুর পৌরসভায় মোট ভোটার 30 হাজার 81 জন। এবারে এখানকার 24 হাজার 842 জন ভোটার তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করেছেন। যার মধ্যে বিজেপি পেয়েছে 12 হাজার 450 টি ভোট। অন্যদিকে তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোটের সংখ্যা 9 হাজার 938 টি। এদিকে সিপিএম এবং কংগ্রেস মিলে ভোট পেয়েছে 1340 টি। আর লোকসভা ভোটে দুবরাজপুর পুরসভায় নিজেদের এহেন অবস্থা দেখে এখন কপালে চোখ উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল নেতাদের। কেন এরকম ফলাফল হল?

এদিন এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুর পৌরসভার বিদায়ী পুরপ্রধান পীযূষ পান্ডে বলেন, “পুরভোট আর লোকসভা ভোট এক নয়। চরিত্রগত দিক থেকে পুরভোট অনেক আলাদা।” এদিকে এই প্রসঙ্গে দুবরাজপুর শহর তৃণমূল সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মেরুকরণের ভোট ও পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে ফাঁকফোকরে জন্যই এত খারাপ পরিস্থিতি হয়েছে। আমি এর সমস্ত দায় স্বীকার করে নিচ্ছি। জেলা নেতৃত্বের নির্দেশ মেনেই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”

এদিকে লোকসভা ভোটে বীরভূম ও বোলপুর লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল দখল করলেও যেভাবে অঞ্চল ভিত্তিক ফলাফলে যেভাবে তাদের পরাজয় ঘটেছে এবং দুবরাজপুর পৌরসভায় তারা যেভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে, তাতে এখন পৌরসভা ভোট হলে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, “খেলা তো সবে শুরু।”

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এবারের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্বপ্ন যেমন ভেঙে চুরে চুরমার হয়ে গিয়েছে, ঠিক তেমনই কিছু লোকসভা কেন্দ্র তৃণমূল দখল করলেও এলাকা গত ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে এখনই যদি সেখানে পুরভোট বা বিধানসভা ভোট অনুষ্ঠিত হয় তাহলে বিপর্যয় ঘটবে শাসকদলের। ফলে সেদিক থেকে দুবরাজপুর পৌরসভাও তার ব্যতিক্রম নয়। আর তাই তো এবার পৌরসভার নির্বাচনের যদি এগিয়ে আসে তাহলে তৃণমূলকে যে অনেকটাই বেগ দেবে গেরুয়া শিবির সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!